রক্ত পদ্ম একদিন ফুটাবই ৭১এর বিপ্লবী চেতনায়
সত্যি এক ইউনিক ব্যাপার ঘটে গেল। ননীর সাধের প্রেমের তরনী নাকি এবার বড় ধরণের ঝাঁকুনি খেল। মসাররফ হোসেন ননী। আমার বন্ধু। মাথা ও মুখভর্তি উস্কোখুস্কো চুল দাড়ি।
হলুদ বড় বড় দাঁত কতোদিন ধরে ব্রাস করে না আল্লাই ভালো জানে। আর ইচ্ছে হলে ফরাসিদের মত মাসে দু’একবার গোসল। তবে পারফিউম ব্যাবহারে সে আপসহীন। মুখমন্ডলে গাম্ভীরযের ছাপ আনার চেষ্টা করে কিন্তু সেটা শেষমেষ হাঁস্যকর একটা রুপ ধারণ করে। এমন অস্থির প্রকৃতির ছেলে আমি দ্বিতীয়টি দেখিনি।
ক্যাম্পাসে এমন কোন সুন্দরী মেয়েকে খুঁজে পাওয়া যাবে না যার পিছনে ননী অন্তত এক সপ্তাহ ঘুর ঘুর করে নি। সুন্দরী কোন মেয়ের ক্যাম্পাসে আগমন আর কাঁঠালের মাছির মতো ননীর উপস্তিতি একই কথা। তবে আশার কথা হলো কোন সুন্দরীর প্রতি ননীর প্রেম এক মাসের মধ্যেই তুচ্ছ কিছু কারণে আলগা হয়ে যায়। ওর ভাষায় ‘দ্যা গেম ইজ ওভার’। একদিন এসে বলবে আরে দোস্ত বি.বি.এ তে একটা জোশ মেয়ে দেখে আসলাম,গতানুগতিক সুন্দরী নয় তবে দূরদান্ত ফিগার।
আবার হঠাৎ এসে বলবে আরে ওর সবই ঠিক ছিল কিন্তু নাকটা কেমন যানি লাম্বা,বিচ্ছিরি লাগে বাদ দিয়ে দেই কি বলিস?কিন্তু সে ইদানীং ভীষণ বদলে গেছে। ওকে শেষ কবে সেন্ট্রাল ফিল্ডে দেখেছি মনে পরে না। আর সেই ছেলে এখন সারাক্ষণ সেন্ট্রাল ফিল্ডের এক কোণায় বসে কী যেন ভাবে সারাক্ষণ।
রাত ২টা১৫বাজে। ননী ফোন করল সেন্ট্রাল ফিল্ড থেকে।
আমাকে সেই মুহুর্তে হুমায়নকে সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে। হুমায়নকে দেখলে আমার কলিজা জ্বলে যায়। মেয়েদের সামনা সামনি দাঁড়িয়ে কথা বলার সময় হাত পা এমনভাবে কাঁপায় যেন সুনামি শুরূ হতে আর দরি নাই,সেই আবার প্রেম সম্পর্কিত বড় বড় বাণী দেয়। আজও দিবে। তাকে এই জন্যই ডাকা হয়েছে।
বিশাল মাঠ, পশ্চিম দিকে সবুজ পহাড়,মানুষজন একেবারেই নেই। গভীর নির্জন চারিদিক। মাঠের মাঝখানে একজন যুবক অর্ধ-উলঙ্গ হয়ে শুয়ে আছে। হালকা চাঁদের আলোতে দৃশ্যটা মন্দ লাগছে না। আমাকে দেখে ননী উঠে বসে একটা দীঘশ্বাষ ছড়ে,কথা বলতে গিয়ে ওর চোখ বাস্পাচ্ছন্ন হয়ে ওঠে।
ননীর এই নিঃশব্দ বেদনার দিকটি আমার কাছে আগে কখনো সেভাবে ধরা পরে নি। বুঝে গেলাম স্মৃতি রোমন্থনের জন্য বা সময় কাটানোর জন্য আমাদের এতরাতে ডাকে নাই সত্যিই ওর একটা কিছু হয়েছে। লম্বা কাহিণী। কিন্তু আমি শুনলাম মন দিয়ে। সারা জীবনে এত লম্বা কাহিণী এত ধৈর্য নিয়ে এর আগে শুনেছি কি না মনে করতে পারলাম না।
হুমায়নও শুনল,কেউ কোন কথা বললাম না কথা যা বলার ননীই বলল।
হুমায়ন তোকে তো বলেছি মিলির সাথে আমার সম্পর্ক তুচ্ছ কিছু কারণে ক্লীক করে নি। এ জন্য পুরটা দায় মিলির। তবুও ওকে হারিয়ে আমার এমন অবস্থা হল যে জোর করে দিন পার করি কিন্তু রাত আর কিছুতেই পার হয় না এক একটা রাত বছরের মতো দীর্ঘ মনে হতে লাগল। বিছানায় শুয়ে এপাশ ওপাশ করছি এমন সময় টিং টিং করে মোবইলের রিংয়েরা মাতামাতি করা শুরু করল।
আমি মোবাইলের গলা চেপে ধরলাম ওপ্রান্ত থেকে একটা অচেনা মেয়েলি কন্ঠ ভেঁসে আসল,কিছুতেই নাম বলে না। কিছুক্ষণ কথা বলার পর বিরক্ত হয়ে ফোন রেখে দিলাম। ক্রমে এমন হল মেয়েটি রোজ ঐ সময় ফোন করতে থাকল,কিছুতেই নাম বলে না শুধু এটুকু বলেছে যে সেও আমাকে দেখে নাই তবে আমার সম্পর্কে অনেককিছুই সে জানে আর তাই কথা না বলে থাকতে পারে না। ফোন নাম্বার কোথায় পেয়েছেন?ওপ্রান্ত থেকে নারী কন্ঠ রসিকতা করে বলে,আমি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোড দিয়ে হাঁটছি এমন সময় দেখি আপনার নাম্বার বতাসে উড়ে আমার দিকে আসছে। কি আর করা ধরে ফেললাম।
এইবার খুশি তো। এর পর সে সিরিয়াস হয়ে বলে কেন বেঝেন না,পছন্দের মানুষের নাম্বার সংগ্রহ করা কঠিন কিছু না। এর পর সে যা বলল তার সরলার্থ হল যে সে আমার ভাবীর কাছ থেকে আমার সম্পর্কে জেনেছে। অমার মতো এলেবেলে ধরণের একজনকেই নাকি সে এতোদিন খুঁজছিল। ওর মতে আমার মতো উদ্দেশ্যহীনভাবে ঘুরাঘুরি করার সৌভাগ্য ক’জনার হয়?এই জগৎ সংসারের ব্যাস্ত মানুষজন কারণে অকারণে শুধু ছুটছে আর ছুটছে ।
এর মধ্যে দু’একজন খুবই প্রয়োজন যারা বনবন করে ছোটার প্রয়োজন বোধ করে না। অল্প বয়সের আবল তাবল মেযেরা সাধারণত এমন আবেগ দেখায় আবার কিছু দিনের মধ্যেই আবার হারিয়ে যায় এর ক্ষেত্রেও এমন হবে ভেবেছিলাম। কিন্তু তা হচ্ছে না বুঝতে পেরে একদিন আমার অতীতের সব প্রেম কাহিনী বলে দিলাম। কিন্তু তাতেও কাজ হলো না। ওর যুক্তি হলো-পুরুষ মানুষ জীবনে একটু ফোনে কথা,একটু হাঁসি এসব একটু করেই এসব তো আর পাত্তা দিলে চলে না।
আর আমি আগুন নিয়ে খেলতে পছন্দ করি,আমি আগুনে লাফ দিয়েই নিজে খাঁটি বানাতে চাই। ক্ষনকালের মায়ারুপে হলেও আমি তোমাকে পেতে চাই। না হয় তুমি গর্ত থেকে বের হওয়া কোন ক্ষনিকের চিত্রা হরিণই হলে তাতে দোষ কী?এসব শুনে বেচারীর ভাগ্য সম্ববত মুচকি হেসেছিল। যাই হোক না দেখেও একজন আরএকজনকে যে এতো ভালোবাসতে পারে তা এর আগে কখনো কল্পনাও করতে পারি নাই। মেয়েটি আমাকে ফোন করে সকাল সকাল ঘুম ভাঙ্গায়,রাত বারটার আগেই ঘুমিয়ে পড়তে কড়া নির্দেশ দেয়।
মন খারাপ হলে শান্তনা দেয়,সামনে এগিয়ে যাওয়ার সাহস জোগায়। আমার কষ্টে আমি কাঁদি না কিন্তু মেয়েটি কাঁদে। সত্যিকথা বলতে কী মিলি চলে যাওয়ার পরে আমার জীবনে যে একটি শোকের নদী তৈর হয়েছিল তার সকল জল এই শ্রেষ্টা নামের মেয়েটি শুকিয়ে চর জাগানোর ব্যার্থ চেষ্টা চালাচ্ছিল। ওর ভালোবাসার হাওয়ায় আমি যে মাঝে মাঝে এলোমেলো হয়ে যাই নি তা নয়। রাত এগারোটা বাজলেই আমার হাত মনের অজান্তেই ফোনের দিকে চলে যেত।
তবে শ্রেষ্টাকে আমি জোর করেই আমার হৃদয় থেকে দূরে সরিয়ে দিয়েছি। আমাকে দেখার আগ্রহ শ্রেষ্টার কম ছিল না। অনেক দিন ধরেই একটা ছবি পাঠাতে বলছিল। মেয়েটিকে নিয়ে আমি এক নতুন খেলা শুরু করলাম। বি.বি.সি বাংলার আয়েজনে একটি সংলাপ অনুষ্টানে অংশগ্রণ করেছিলাম।
আমার পাশেই বসাছিল নওগাঁর এক ছেলে। ছেলেটির ছিল রবীন্দ্রনাথ স্টাইলের দাড়ি,মাজারের বাবাদের মতো জ্টাধরা চুল আর পরনে এক বিশষ ধরণের আলখাল্লা। ওর বর্ণনা দিয়ে বললাম ঐ ব্যাক্তিটিই আমি তুমি অনু্ষ্টানটি দেখে নিও। এর পর দু’দিন আর কোন ফোন কল পেলাম না। মনে করেছিলাম কাজ হয়ে গেছে কিন্তু তা আর হলো কই যা আশা করেছিলাম তার উল্টো ফল হলো শ্রেষ্টা ফোন করে বলল আমাকে ওর দারুন পছন্দ হয়েছে যেমনটি সে কল্পনা করেছিল ঠিক সেনকমই নাকি আমি।
IELTS পরীক্ষা দিতে বাসে করে যাচ্ছি এমন সময় মেয়েটির ফোন পেলাম। কোথাও যাচ্ছি কি না জিজ্ঞাসা করল। বললাম তোমাকে দেখার জন্য মনটা উতালা হয়ে উঠল তাই রাজশাহী আসছি রেডি থেকো। মনে করেছিলাম বিশ্বাস আর অবিশ্বাসের মাঝখানে হতবাক হয়ে যাবে। কিন্তু আমার আসার সংবাদে ও এতোটাই খুশি হলো যে কথা বলতে বার বার আটকে গেল।
কোথায়,কখন,কী পড়ে থাকবে,কিভাবে চিনব এমন হাজারটা প্রশ্নে আমাকে জরজরিত করল। শ্রেষ্টাকে জানালাম রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবাস বাংলাদেশের পার্শ্বে লাল টি শাটের সঙ্গে হালকা নীল জিন্স পড়ে থাকব ঠিক বিকেল পাঁচটায়।
ঐ দিন বিকেল পাঁচটার সময় আমি শাহ্ আমানত হলের ২০২নং রুমে বিভোর ঘুমে আচ্ছন্ন। আমার ঐ মিথ্যা কথাটির উপর ভর করে যা ঘটতে থাকে তা আশ্চর্যের নায় অত্যাশ্চর্যর অথচ আমি জানতে পারি ঠিক এক মাস পর। এতোদিনে নীষা নামের অন্য একটা মেয়ের সাথে আমার সম্পর্কটা মধুর একটা পরিণতির দিকে যেতে শুরু করেছে।
এমন সময় শ্রেষ্টার ছোট বোনের একটা ফোন কল পেলাম। মেয়েটির কথা শুনে আমি স্তব্ধ হয়ে গেলাম। ঐ দিন যখন শ্রেষ্টা আমার সাথে সাবাস বংলাদেশের পদদেশে দেখা করা বিষয়ক কথা বলছিল তখন ওর বাবা পাশ থেকে সব শোনে। শ্রেষ্টা আমাকে না পেয়ে রিগান নামে ওর এক সহপাটির সাথে কথা বলছিল। ঠিক ঐ সময় শ্রেষ্টাদের সাদা গাড়িটি ওদের সামনে হাজির হয়,ভিতর থেকে ওর বাবা বেরিয়ে আসেএবং শ্রেষ্টা ও সঙ্গের ছেলেটিকে উঠিয়ে নিয়ে যায়।
গাড়িতেই শ্র্ষ্টোর বাবা ছেলেটিকে জিজ্ঞাসা করে যে সে শ্রেষ্টাকে বিয়ে করতে রাজি কি না। ছেলেটি শ্রেষ্টাকে প্রচন্ড ভালোবাসত কিন্তু সাহসের অভাবে এতদিন বলা হয়ে উঠেনি। এতবড়ো অভাবনীয় প্রস্তাব ছেলেটির কাছ ‘মেঘ না চাইতেই বৃষ্টির’ মত মনে হল। ঐ রাতেই রিগানের বাবা মাকে ডেকে ওদের বিয়ের আয়েজন করা হয়। শ্রেষ্টা ওর বাবাকে বুঝাতে অনেক চেষ্টা করছে যে এই ছেলে সেই ছেলে নয়।
একে আমি জীবন সাথী তো দূরের কথা বন্ধু হিসেবেও মেনে নেইনি কোনদিন। কিন্তু ওর বাবার এক কথা বড় মেয়েটা পালিয়ে বিয়ে করে আমার মুখে চুনকালি মাখিয়েছে তোকে আর সে সুযোগ দিতে চাই না। পিতার নিষ্টুর সিদ্ধান্তে থেমে যায় শ্রেষ্টার স্বপ্ন দেখা। এর মধ্যে সে কয়েকবার আত্নহত্যা করার চেষ্টা করেছে। এখন সে স্যাভলন খেয়ে ক্লিনিকে অজ্ঞান অবস্থায় আছে।
শ্রেষ্টার ছোট বোন আমাকে অনুরোধ করল একবারের জন্য হলেও যেন শ্রেষ্টার সাথে দেখা করি। হুমায়ন তুই তো জানিস গত রবিবার আমি ঢাকায় গেলাম একটা জরুরি কাজ আছে বলে। আসলে আমি গিয়েছিলাম নোসট্রাম হাসপাতালে। প্রথমে যে ছেলেটির সাথে আমার পরিচয় হলো ও রিগান। সহজ সরল টাইপের একটা ছেলে।
কপালের পাশে বড় একটা কালো দাগ,প্রায় নির্বাক বলা যায়। ছেলেটির আর্থিক অবস্থা যে খুব একটা সুবিধার নয় তা এক নজরেই বুঝা সম্ভব। ছেলেটির জন্য আমার একটু মায়া হল। ৫নং বেডে কোন রুগিকে অজ্ঞান অবস্থায় দেখলাম না। ২০-২২ বছরের একটি মেয়ে টানা টানা চোখে জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে আছে আর হাত দিয়ে উরুর কাছের শাড়ি প্লেন করছে।
ডানচোখের নিচে তিলটি দেখে শ্রেষ্টাকে সনাক্ত করলাম। এই প্রথম আমার মনে হল এমন একটি নিরাপদ আশ্রয়ইতো আমি মনে মনে খুঁজছিলাম। শ্রেষ্টাকে দেখতে যাওয়া হয়তো আমার ঠিক হয়নি,তবে ওকে দেখতে না গেলে সৃষ্টিকর্তার অসাধারণ একটি সৃষ্টি আমার দেখা হতো না। এমন সুন্দরী মেয়ের দিকে তাকিয়ে থেকেই সারাটা জীবন কাটিয়ে দেওয়া যায়। ইচ্ছে করছিল বলে ফেলি আমি তোমাকে এখনি বিয়ে করতে রাজি আছি।
বলা হল না। কিছু সুন্দর এমন সব জায়গায় থাকে যাদের কাছে যেতে ইচ্ছে করে,ছুঁয়ে দেখতে ইচ্ছে করে কিন্তু তাদের কাছে যাওয়া যায় না,দূর থেকেই দীর্ঘনিশ্বাস ফেলতে হয়। এদেরকে দেখলে নিজেকে কৃতদাসের চিয়েও অধম মনে হয়। । ভাবলাম সেদিন যা সহজ ছিল ছোটদের হাঁসির মতো সহজ আজ তা অসম্ভব।
কারণ শেষ্টা এখন রিগনের স্ত্রী। আমি শ্রেষ্টার কাছে হয়ত এখনও সুন্দর,মূল্যবান কিন্তু ছেলেটির কাছে আমি একটা ঘাতক ব্যাধি। ঝিনুকের কাছে যেমন মুক্তা। সে দিন পর্যন্তু সবই ঠিক ছিল কিন্তু এর পরের দুই রাত মেয়েটির কথা মনে হতেই যখন আমার এই পাষাণ চোখ ভাসিয়ে অঝোরে কান্না নামল ,রাতে ঘুম এল না আমি বুঝলাম ঘটনা মামুলি হলেও আমি একটা গ্যাঁড়াকলে পড়ে গেছি। এতো কোন নাটোকের চরিত্র নয়,যে মেয়েটি আমাকে জীবন দিয়ে ভালোবেসেছে তার জীবন ও দুঃখ নিয়ে ছেলেখেলা করা আমার ঠিক হয়নি।
এবার আমি সত্যি সত্যিই শ্রেষ্টার প্রেমে পড়ে গেছি। শ্রেষ্টাকে ছাড়া আমি আর বাঁচব না। রিগান গোল্লায় যাক,সমাজ সংসার গোল্লায় যাক। এখন আমি যেকোন মূল্যে শ্রেষ্টাকে চাই। আমি জানি কাজটা উচিৎ হবে না কিন্তু ভাল লাগা না লাগা যে উচিৎ অনুচিতের উপর নির্ভর করে না।
দীর্ঘ প্রেম কাহিনী শেষে ননী বন্যপশুর মতো ঐ মেয়েটিকে পাওয়ার জন্য চিৎকার করতে থাকে। আমার মনে হতে থাকে এক্ষনি বুঝি ওর গলা দিয়ে রক্ত বেরিয়ে আসবে সেই চিৎকারে। হুমায়ন ননীকে শান্তনা দেওয়ার জন্য কিছু অপ্রয়োজনীয় বণী শুনালো যা বর্ণনা করার প্রয়োজন বোধ করছি না।
অনেক দিন পর মেয়েটির সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করতেই ননীর অট্রোহাসি উথলিয়ে উঠল। হাসির ঝোঁকে আমার পিঠ চাপড়াতে চাপড়াতে বলল তুই সেই কয়লা সুন্দরীকে মনে রেখেছিস নাকি! আজব তো!পৃথিবীতে কতো কিছুই তো ঘটে এসব ছোটখাট ব্যাপার নিয়ে আবেগপ্রবন হলে কী চলে?সেই গেম কবেই ওভার হয়ে গেছে।
কী পাগলামোটাই না করেছিলাম সেদিন। চল বোটানিতে যাই নতুন একটা গেম শুরু করতে হবে,জোশ মেয়ে বলতে যা বুঝায়, তোর চোখ নিশ্চত কপালে উঠবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।