আমি একজন অগোছালো মানুষ। নিজে সবসময় ভাল থাকতে চাই, এবং অন্যকে তাই বলি। জীবনে যত দুঃখ আসুক তার পর ও ভাল থাকতে চেষ্টা করবেন,আপনার পাশের দুঃখে জর্জরিত মানুষ টির দিকে তাকাবেন দেখবেন আপনার সব দুঃখ কমে গেছে। আবার যাদের অন্যের দুঃখ দেখে নিজের দুঃখ বাড়ে,তাদের কথা আলাদা। আমার জন্ম অজপারাগায় একটা গ্রামে।
গ্রামের কাদা,দুলা-বালি খেয়ে আমার জন্মে। আচ্ছা একটা প্রশ্ন মনে পরলো বলেন তো “গ্রামের দুলা-বালি বেশি ভাল নাকি শহরের?” আমি বলব গ্রামের, কারণটা হল নিজের জন্মস্থান বলে কথা । অবশ্য আমি যুক্তিও দেখতে পারব। যুক্তি দিয়ে আমি বিপদে পরতে চাই না। বাংলাদেশ এর রাজনীতিবিদ দের থেকে শুরু করে আমি পর্যন্ত যুক্তিতে পাকা।
রাজনীতিবিদ দের কথা আনলাম এই কারনে তারা যুক্তিতে পাকা। তাছাড়া আমার ও রাজনীতিবিদ হবার ইচ্ছা আছে। বলেন ক্ষমতার লোভ কার না আছে।
আমি যখন খুব ছোট ছিলাম কোন ক্লাস এ পরি মনে নাই। আমার আবার একটা সমস্যা মানুষের নাম ভুলে যাই এবং স্কুল লাইফ এর কোন কথা সহজে মনে পরে না।
আমাদের একজন বন্ধু ছিল নাম মনে নাই,সে ছিল দরিদ্র ঘরের ছেলে। সবাই আমরা তারে অবঘ্যা অবহেলা করতাম…তার বাবা মানুষের বাড়িতে বছর চুক্তিতে কাজ করত। আমরা তাকে খেলায় নিতাম না। কোন কিছু খেলে অকে তারিয়ে দিয়ে খেতাম,অনেক সময় জগরা করতাম। এর জন্য মা আমাকে বকছে, মাইর ও দিছে ।
এখন নিজের ভুল বুঝতে পারি…। আমি তাকে এখন মনে মনে সরি বলি। যদিও সে কোথায় আছে তা জানি না। কোন এক সময় তার মা মারা যায়…তার পর তার বাবা তাকে নিয়ে কোথায় যে চলে গেল…তা এখনো জানিনা। বাবা মারা গেলে মা হয়ত তার বাচ্চা নিয়ে চলে যায়,এটা সাবাবিক কিন্তু মা মারা যাবার পর বাবা যে তার সন্তান নিয়ে ওদাও হয় তা কমই ঘটে।
বাংলাদেশ ডিজিটাল হচ্ছে, আমি এবং আমরা সবাই সাধুবাদ জানাই দেশের বর্তমান সরকার কে এবং বিরুধি দলের সরকার সহ রাজনৈতিক মহল কে। এবং আমরা নিজেরা নিজেদের কেই কৃতঘ্যতা জানাই বাংলাদেশকে ডিজিটাল করার লক্ষে কাজ, চিন্তা এবং সহযোগিতা করি বলে। গেল কয়েক দিন আগে চালু করা হয়েছে প্রাইমারী এবং সেকেন্ডারি লেভেলের বইগুলো নিয়ে ই-বুক ওয়েব সাইট। যেখানে প্রাইমারী এবং সেকেন্ডারি লেভেলের বইগুলো আর্কাইভ আকারে থাকবে এবং স্টুডেন্টসরা সেখান থেকে ফ্রি ডাউনলোড করে নিতে পারবে এবং পড়তে পারবে। এটা নিয়ে আনেক লেখা লেখি হয়েছে সরকার সাধুবাদ জানানো হইছে অনেক মহল থেকে।
আমি নিজেও এ সরকার ধন্যবাদ জানাই।
আমরা যারা ঢাকা শহর এ থাকি, তাদের যানজট নিত্য দিনের সঙ্গী। আমরা সময় কাটানোর জন্য পেপার কিনে শেয়ার বাজার,সর্বশেষ রাজনৈতিক নিউজ ইত্যাদি দেখি। কিন্তু কখনো ভাবিনী যে ছেলেটির কথা যার কাছ থেকে নিউজ পেপার টা কিনলাম। আমারদের ছেলেমেয়ে রা হয়ত এখন স্কুলে গিয়েছে,বাসায় প্রাইভেট সার পরাচ্ছে বা টিভি তে গানের প্রতিযোগিতার প্রোগ্রাম দেখছে।
কখনো কি ভাবি এই ছেলেটার কথা বা যে মেয়েটা আপনার কাছে ফুল বিক্রি করতে চাচ্ছে তার কথা, কখনওই ভাবি না। হয়ত আমার মত ব্লগ এ লিখবেন,পেপার এ লিখবেন। তার পরই শেষ। কোন দিনই ওই মেয়েটির কাছ থেকে ফুল কিনবেন না। যদিও কিনেন তাহলে কাউকে গিফট দেবার উদ্দেশ্যে অথবা নিজের বাচ্চা ফুল কিনবে বায়না ধরেছে তার জন্যে।
একটা প্রশ্ন করি, কে কে ফুল কিনছেন?? বলবেন আমি আমি আমি…যদি বলি কেন?? বলবেন মামার বিয়ের বাসর ঘর সাজাতে বা কাউকে গিফট দিতে। সত্যি বলতে আমি নিজেও আজ পর্যন্ত ওই মেয়েটির কাছ থেকে ফুল কিনিনি।
নোংরা শহর গুলোর মধ্যে ঢাকা শহর একটি। বলতে খারাপ লাগলেও কথাটা সত্যি। বিকেল যখন রেল লাইন এর পাশদিয়ে হাঁটবেন, বা কোন কারণে আবর্জনা ফেলে রাখছে এমন যায়গা দিয়ে হেটে যাবেন, দেখবেন ছোট ছোট বাচ্চারা বিশাল থলে কাঁদে নিয়ে ওই ময়লা থেকে কি যেন খুজতেছে।
কিছু খন পর পর কি যে থলে তে ভরতেছে। কখনো কি আমরা ভাবছি তারা কি খুঁজে…???। হয়তো দুয়েক জন ভাবি…। আর আমরা নাকে হাত দিয়ে চলে আসি বা মাস্ক মুখে দিয়ে আমাদের গন্তব্যে চলে যাই। আমরা তো কেউ তাকাই না আবর্জনায় পরে থাকা সেই ছোট শিশুটির দিকে।
কিন্তু কেন?????
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।