ফুলটাইম ক্রুয়েল জোকার, পার্ট টাইম সিরিয়াস
অতীব ডালভাত টাইপের রান্না । যাহাদের পেমিকা ভাগিয়া গিয়াছে, ছ্যাকা খাইয়ে ব্যাকা হয়ে গিয়েছেন। । বউ ভাগি গ্যাছে, ধুকা দিয়ে বুকা বানায়া দিছে , কিমবা আমার মতো যারা স্টুডেন্ট হলে বা মেসে থাকে ; কিমবা যারা ব্যচেলর, পাতি ব্যচেলর এবং রিটায়ার্ড ব্যচেলর এবং মাঝে মাঝে ভালো মন্দ খাইতে মুনচায় তাদের দুক্কের কতা স্মরণ কইরা, কিমবা যারা আপচুচ করতাছেন রান্না জানেন না বইলা, তাগো কাটা ঘায়ে আয়ুডিন নুন মারার জন্যিই আমার এই পোস্ট নাজিল হচ্ছে । ।
তরুণ প্রজন্মের হৃদয়ে যদি এই খিচুড়ি ইসথান কইরা নিবার পারে তাহলেই আমার এই পুস্ট দেয়া ছার্থক হপে । । হাতের কাছে কিছু না পাইলে, হলের ডাইনিং ক্যান্টিন বন্ধ থাকলে , লেডিস হল থেকে খাবার না আসলে , কিমবা মাসের শেষে আজাইরা ফুটানি বন কইরা যদি কেউ শর্ট টাইমে খাইতে চান । তারা আমার এই সচিত্র রেসিপি ক্যামোফ্লেজ পইড়া অনুসরণ করেন। ।
এইটার নাম শখের রান্না না , কামের রান্না । । টোটাল টাইম লাগবে ৩৫ মিনিট যদি হিটার টা ১৫০০ ওয়াটের হয় । । --- (মামুন ইসটোনকুল্ড খিচুরেটোগ্রাফি)
কথা না বাড়ায়ে কামে আসি ।
। পাবলিক চেইত্যা যাইতাছে বুজবার পাইছি
১.
প্রথমে চাল,ডাল,আলু, সবজি সব খিচুড়ি বানায়া ধুইয়া লইবেন। । থুক্কু পরিমাণ মতো সাইজ কইরা সবজি কাইটা সব মিশায়ে নিবেন । ।
আলু চাকু দিয়া কুচি কুচি কইড়া দিবেন । তারপর (যদি আমার রুমের মতো রাইস কুকার নষ্ট হয় তাহলে) ইরাম একখান কড়াইয়ে সব ঢালবেন। ইয়ারপর, আগে থেকে মনের সুখে কুচিকুচি কইরা কাইট্যা রাখা, মরিচ, পিয়াজ, রসুন, আদাবাটা (না থাকলে আজাইরা পেইনের দরকার নাই, খালি পিয়াজ মরিচ হইলেও হপে) ইত্যাদি দিয়া কিনচিত সয়াবিন সহযোগে লবন দিয়া ইচ্ছা মতো মাখাইবেন । । সইষ্যার ত্যাল ও দিবার পারেন ।
। ব্যাফারনা তারপর হিটারে তুইল্যা দিবেন । ।
মরিচ কাটতে চাকু ব্যবহার করুন । ।
মেয়েরা বটিতে দক্ষ হয় । । ছেলেরা চাক্কুর কাম ভালা পারে । । এবার দুই নং পিকচারে যান
২.
ওই মিয়া হিটার না জালায়া হুদাই যদি এলিমেন্ট মাখায়া তুইল্যা দেন তাইলে আপনের নাতিপুতিরাও এই খিচুড়ির মুখ দেখতে পারবো না ।
। আগে হিটার জ্বালান । । তার আগে দেইখ্যা লইয়েন কারেন্ট আছে কিনা । ।
কারেন্ট না থাকলে জন্মেও হিটার লাইন পাইবো না । । পরে আমার দুষ দিয়েন না । । এবার একটু খানি কষিয়ে নিন (আই মিন ভাজা ভাজা করেন) ।
। কড়াইয়ের ছবি ১ নং পিকচারে দ্রষ্টব্য
৩.
এর পর পানি ঢাইলা দ্যান । । খাড়ান, ইচ্ছা মতো ঢাললেই হইবো ভাবছেন ?? জাউ হইয়া যাইবো খিচুড়ি । ।
এক পট চাল দিলে মোটামুটি তিনপট পানি দিলে আপনার খিচুড়ি মাখনের মতো নরম, এবং শুকানের পর তাগড়া ঘোড়ার মতো ঝরঝড়া হবে। আপনে নরম খাইবেন না ঝড়ঝড়া খাইবেন সেইটা আপনার ব্যপার । । ছবির মতো এইরাম হইলে বুঝবেন চাল ফুটে গেছে । রান্দন শেষের পথে ।
। মেন্টাল প্রিপারেশন নেন , খাইতে হইবো তো । চামচ দিয়া একটু ঘুটা মাইরেন । নাইলে কিন্তু কড়াইয়ের নিচে লাইগা যাইবো । ।
তখন মামুইন্যা তুই মর কয়া গাইল দিলেও লাভ হপে না
৪.
এরপর খিচুড়ি কোনো একটা প্লেটে ঢালেন । । তারপর কড়াই ধুইয়া হিটারের তাপে শুকনা করেন। কড়াই থেইকা ধুমা উড়া শুরু হইলে তারপর তেল ঢালেন । সয়াবিন বা সরিষা ঢাললেই হলো একটা ।
। পানির মধ্যে তেল ঢাইলেন না । । এক হাটু তেল দিয়েন না। ।
শইলে ছিটা লাগতে পারে। । এরপর ডিম ভাংইগা ছাইড়া দেন । । এট্টু লবনের ছিটা দেন ।
। (আজাইরা টাইম থাকলে পিআজ মরিচ ডইল্যা দিতে পারেন, আমি শর্ট কোর্স দিতাছি, ঐ্সব কাটোনের টাইম নাই হুহ কয়বার কমু এইটা শর্ট কোর্স )
৫.
ডিমটা ভাজার পর এই বর্ণ ধারণ করবে । এরচেয়ে বেশি দিয়েন না তাপ । । তাইলে তলা পুইড়া যাইবো ।
তাপ ঠিক মতো হইতাছে কিনা , এইটা বুঝার জইন্য ডাক্তরের দুকান থেইকা থার্মমিটার কিনে এনে কড়াইতে ছেড়ে দিয়ে এক মিনিট ঢেকে রাখেন । । (ভুলেই ওই কাম কইরেন না, ডিম কিরিস গেইলের খোমা মতান্তরে নিগ্রোবর্ণ ধারণ করবে । )) ইকানে ৭৮.০০০৩১২৫৬৯৭৪৫৫ ডিগরি সেলচিয়াচ তাপ আচে । ।
৬. এইবার খাওনের পালা । ।
আচার টাচার যদি কিছু না থাকে, কিমবা মুরগি কিনতে যাওয়ার এনারজি কিমবা মাস শেষে পকেটে টাকা না থাকে আমার মতো , তাইলে শুকনা মরিচ ভেজে নিয়ে সরিষার তেল আর পিয়াজের সাথে হালকা একটু লবণ দিয়ে খাইয়া দেকতে পারেন । । খোদার কসম, এইটা একটা ন্যাচারাল টেস্ট মেকার ।
বিশ্বাস না করলে আমার দুষ নাই । । (এরপর চাইলে কড়াইয়ের মধ্যেই খাওয়া শুরু করতে পারেন । । নয়তো আজাইরা ফটু শেষণের জন্য পেলেটে তুইলা পাব্লিক খেপানির জন্য সামুতে দিবার পারেন।
)
একটি মামুন স্টোনকোল্ড রন্ধন পরিবেশনা । ।
সবাই ভালু থাকপেন । । খেচুড়ি খাবেন ।
। পাব্লিক যদি দাবড়ানি না দেয় , তাঈলে সামনের মাসে মুরগি রান্দন দেখামু । । ওখন মুরগি কিনার ট্যাকা নাই
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।