০০
জুলুমপুরের ভিতরে বছরে ২দিন বিরানী বিতরন নিয়ে কিচ্চা ।
সারা বছর পান্তা ভাত মরিচ দিয়ে খেয়ে অভ্যাস যাদের তারা যদি বছরে এক বেলা বিরানী বা মোরগ পোলাও পায় কি রকম খুশী প্রকাশ করবে তা আমার বলে দিতে হবে না। তুমুল আন্দোলন বিরাণী দিতে হবে মেনে নাও মানতে হপে
জুলুম পুর থেকে ভুকানাঙ্গা ভাই আন্দোলনের লাঠি নিসে , হঠাৎ টেকো মাথা হাজির প্রতিবাদের মধ্যে
টেকো মাথা :
ওরে এ এমন কি আমরা তো প্রতিদিন বিরাণী খাই(মানে হাই স্প্রিডে ইন্টারনেট), আগে আম্মু নারকেল তৈল দিয়ে রানতো ভাল চলত , তারপর সরিষা আহা আহা কি কমু আর কম তেলে বেশী বিরানী মজা মজা .. এহন তো মিয়া আম্মু সোয়াবিন দিয়ে রান্ধে স্বাদে অনন্য , এখন তো বিরানীর দোকান দিবে আব্বু চিন্তা করতেছে
ভুকানাঙ্গা :
অন্নের কষ্ট বুঝবার খমতা অন্নেগোর হোন দিন হয় নাইক্কা
দ্যাশ অনেক পরে ।
আরেক ভাই আসল খুবই শিক্ষিত তিনি নিজেকে মনে করেন
এরা আসলে মানুষকে তাদের লজ্জা স্থান দেখায় কথা বলতে ভাল বাসে
মধু বাইন:--
কিরে তোরা বিরানি খাওয়া চিন্তা করস কেন পান্তা খা লবন দিয়ে মরিচ তো তোদের শোভা পায় না মরিচের দাম অনেক। খালের পাড়ে লুঙ্গি তুলে হাগস তোরা আবার বিরানীর স্বপ্ন দেখিস ।
ভুকানাঙ্গা : কিতা কন উতা কতা কন কিলা , হামরা খালের পাড়ে লুঙ্গি তুলি কাওরে তো কাছ থেকে দেহায় না ,ফুডুক তুলি না , শুধু ছাড়ি , হিন্তু খালাশ হবার পরে যেই পানি অন্নেরা লন হেয় পানি তো হামরাও লই পার্থক্য হামরা খালের পাড়ের (যেই টাকা আপ্নেরাও দেন সেই টাকা আমরাও দেই অল্প হলেও দেই পরিমান একটু কম , তয় ধান চালের ফলন ভালা হইলে ফুরা আনলিমিটেড লই < মাইড খাইয়েন না কইলাম ক্যালাস ৫পাস এক দুই টা হিংলিস আমরা পারি )
বিপ্লবী নামক মহাহিপ্লবীর আগমন
সরকারের কত খরচ পড়বে জানেন এই সব বিরানীর জন্য । চিন্তা করে কথা বলেন , এক কেজি কালাজিরা চালের দাম কতত জানেন , আর মসলা তো আসেই , , সরকার নিজের পকেট থেকে দিবে নাকি ।
ভুকানাঙ্গা : হ রে বাই বড়ই চিন্তার কথা সরহারের ক্ষ্যাতি , সরহার নিজের পকেট থেকে তো আর টাকা দিবেনা হাচা কথা কিন্ত সরহারি লোক আর সরহার কেন আমাগোর পহেটের টাহা লইয়া আমাগোর বিরানী দিবে না । কেল্যা সহকার বিরানী সিঙ্গাপুরে , ভারতের ৮টি রাজ্যে দিবো?? হেই হানে কি বিরানী নাইক্কা ?? হেরা তো বিরানী ভালা রান্ধে , ও বুচ্চি এই বার পুরাই হিনটার ন্যাশনাল বিরাণী পাক করবো তারা এই লাইগা তারা আমাগোর মুখেরটাও তাদের দরহার , হামাদের তো গোস্তছাড়া বিরানী সরকার দিতাসে ,
ভুকানাঙ্গার চাচাতো ভাই সুজামিয়া সরল ভাষায় বললেন ওই মিয়া চালের দাম ৫৫টাকা কেজি ভাত পাই না , আমাগোরে ৩০০টাকায় সারা বছর ফাস্ট ক্লাস বিরানীর ব্যবস্থা করেন
-----------------------------------------------------------------------
আমাদের দাবি আগে এই বিরাণী বাংলাদেশের সর্বত্র পৌছাক , সবাই পেট ভরে খাক , পরে খেতে না পারলে পাড়ার কুত্তাটা বিড়ালটাকেও দিয়েন তারপর আসেন সবাই চিন্তা করি এই মোরগ পোলাও বিদেশে রফতানী করতে পারি নাকি ।
বি দ্র: বিরানী > হাই স্পিড ইন্টারনেট , থ্রিজি যেটা মনে করেন
আমার প্রশ্ন: কতদিন ধরে এই ধরনের স্পিড আমরা ব্যবহার করতেছি ???
২০০৭,২০০৬ এই টাইপের স্পিড ব্যবহার করছি এখন যেমন করছি যেই লাও সেই কদু বার বার আমাদের দেখানো হচ্ছে ।
আজও ভিডিও কনফারেন্স করতে পারলাম না ঠিক মতন ।
৩০০টাকার আনলিমিটেড ব্যান্ডউইথ কিনে সারা মাস ভাত বানাইয়া খামু , তা না পারলে ৭৫০টাকায় দে না তাও দিবি না ।
আমরা কি আমাদের নিয়ে কখনও ভাবি , দেশপ্রেমিক ভাব মারাটা আমাদের মনে হয় ফ্যাশন হয়ে গেছে । আজ যখন ব্যান্ড উইথ বিদেশে রফতানির কথা হচ্ছে তখন কিছু পেট পুজা করা লোক কতিপয় অপারেটরের তৈল মাখাচ্ছেন যে ¯িপ্রড বাড়ছে ।
খালের পাড়ের মানুষদের জন্য চিন্তা করেন খাল পাড়ের মানুষ না থাকলে আপানাদের পেটে আলু ভাত যাবে না ।
এখনই প্রতিবাদ শুরু করা দরকার থ্রিজি দিতে হবে তা না হলে পরে পস্তাবেন ।
কেন আনলিমিটেড নামে লিমিটেশন ???
ডিজিটাল ডিজিটাল করতেছেন ডিজিটাল আমার পোলার নাম ।
আর আনলিমিটেড লাইন দিয়ে ৩০০টাকায় হোক আর ৫০০টাকায় হোক আমরা সারা মাস ভাতের বদলে ব্যান্ড উইথ খাবো ।
দেশের অব্যবহৃত ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ রফতানির উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। ভারত ও সিঙ্গাপুর বাংলাদেশের কাছে ব্যান্ডউইথ ক্রয়ের ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছে।
সিঙ্গাপুরের সিংটেল ২.৫ এবং ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় আটটি রাজ্য (এইট সিস্টার্স) ১০ গিগাবাইট ব্যান্ডউইথ নিতে চায়। এই পরিমাণ ব্যান্ডউইথ রফতানি করলে কোনো সমস্যা হবে না বরং দেশ আথির্কভাবে লাভবান হবে বলে মনে করে টাকা পকেট এ রাখার ধান্ধা , অতোসত বুঝি না থ্রিজি দিতে হবে , কম মুল্যে দিতে হবে অনলিমিটেড , খালের পাড়ের লোকদের ও প্রযুক্তির মধ্যে আনতে হবে ।
বর্তমানে বাংলাদেশ ৪৪.৬ গিগাবাইট ব্যান্ডউইথের মাত্র ১৭ গিগা ব্যবহার হয়। অবশিষ্ট ২৭.৬ গিগাবাইট অব্যবহৃতই থেকে যায়। প্রশ্ন:-- কেন থাকবে আমরা তো ভিডিও কনফারেন্স , ভয়েস চ্যাট,করতে পারি না ।
এই খানে দেখুন চা বানাতে দেয় না
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।