আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ঢাকা-বুড়িমারি-শিলিগুড়ি-দার্জিলিং-মানেভঞ্জন



ভারতীয় কাষ্টম আর ইমিগ্রেশন পার হতে সাহায্যে করলো আমাদের কালা দা আর তার সঙ্গীরা । ডলার বদলিয়ে চলে আসলাম জিপ রির্জাভ করতে । শিলিগুড়ি পৌছানোর আগেই প্রচন্ড ঝড়ো বাতাস বইতে শুরু করলো । এর কিছু সময় পর শুরু হলো প্রচন্ড ঝড় আর বৃষ্টি । প্রায় দুই ঘন্টায় জিপ পৌছালো শিলিগুড়িতে ।

সারাপথ মজা করতে থাকলো সবাই মিলে । আর আমি ঘুমে । কেক আর পানি নিয়ে বৃষ্টিকে সঙ্গী করে দার্জিলিং এর জিপে উঠলাম । রাস্তার অবস্থা ভাল না । আস্তে আস্তে চলতে লাগলো জিপ ।

ঢ্রাইভারের খইনি খা্ওয়া দেখে সুমন জানতে চাইলো ও কি খায় ? পথে টয়লেট সারা আর খাবারের বিরতিতে খেলাম মম । সাথে বুট আর আলু চপ আর চা যে থাকবে তা তো বলার অপেক্ষা রাখে না । আকাঁ-বাঁকা পাহাড়ী পথ বেয়ে গাড়ি যখন উপরে উঠছিল তখন দেখলাম কারো কারো মুখ ছোট হয়ে আসছে । পল্লব ভাই দার্জিলিং এ ছিল তখন । তার সাথে দেখা করার কথা ছিল হোটেল কৃষ্টাল এ ।

আগে একটা ইমেইলে ফো নাম্বার দিয়েছিল সে । সেই নাম্বারে কল করে তাকে পেলাম না । ইচ্ছা ছিল তাকে ঘুম ষ্টেশন থেকে তুলে নিয়ে মানেভঞ্জন যাব । কিন্তু ফোনে তাকে না পেয়ে গেলাম দার্জিলিং । গিয়ে অনেক কষ্টে হোটেল কৃষ্টাল পেলাম ঠিকই কিন্তু সেটা ছিল বন্ধ ।

মেজাজ খারাপ করে চলে আসলাম জিপ ষ্ট্যান্ডে । পথে জিপের ড্রাইভারকে বলেছিলাম মানেভঞ্জন নামিয়ে দিতে সে রাজি হয়েছিল । পল্লব ভাইকে না পেয়ে মনটা খারাপ হল । কি আর করা ? চলে গেলাম মানেভঞ্জনে । এবার অন্যায় কাজ হলো !!! নেপালীর বাসায় জায়গা হলো ।

ভিসা ছাড়া নেপালে প্রবেশ । মানেভঞ্জনের এক পাশ নেপাল আর অন্যপাশ ভারত । রাতের খাবারের অর্ডার দিলাম ভেজিটেবল চাউমিন আর চা । খেয়ে জব্বর এক ঘুম ।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।