আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দেশ হইবে নিরক্ষর..

আমি ই লাদেন ভাই.. আপাতত বাংলাদেশে আছি। ওবামারে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠাইছি.. একছেপ্ট করলেই যামু গা..
হাসতে নাকি জানেনা কেউ..? কে বলেছে ভাই..? এই দেখ না কত হাসির খবর বলে যাই.. "দেশ নিরক্ষরমুক্ত করার দায়িত্ব পাচ্ছে ছাত্রলীগ: তিন হাজার কোটি টাকার প্রকল্প" পৃথিবীর অন্যতম সার্চ ইঞ্জিন গুগুল কোন দল করে কি না জানি না..। আর করলেও অন্তত বাংলাদেশে তার কোন সমর্থিত দল থাকার কথা না..। সেই গুগুল কে যদি ছাত্রলীগ লিখে বলা হয় কিছু ছবি দেখাও তাহলে সে কি দেখাতে বাধ্য তা আপনি এখনই পরখ করতে পারেন.. ক্ষমতাসীন দলের এই ছাত্রসংগঠনের একের পর এক অপকর্মের পর নানা বিচ্ছিন্ন(!!) ঘটনায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এর ছাত্র যথাক্রমে রাজিব, আবু বকর, আসাদ, কায়সার এর মৃত্যু, বিভিন্ন শিক্ষালয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্র“পের প্রকাশ্য ‘ব্যবচ্ছেদ কর্মকান্ড’ গুলোকে Biology বই এর Human Body অধ্যায়ের Practical class বলে উড়িয়ে দিলেও আমরা তা হাসির খবর মনে করতাম না..। তবে যখন তাদের সরাসরি দেশ শিক্ষিত করার শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার খবর পড়লাম তখন না হেসে পারলাম না।

যখন শুনলাম ছাত্রলীগের কর্মীদের গণসাক্ষরতাবিষয়ক স্কুলে নিয়োগ দিয়ে দুই বছরের মধ্যে শতভাগ সাক্ষরতা অর্জনের পরিকল্পনা করছে সরকার। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এ জন্য টোটাল লিটারেসি মুভমেন্ট (টিএলএম) নামের একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে। প্রায় তিন হাজার কোটি টাকার এ প্রকল্পের কাজ শুরু হবে আগামী বছরের জানুয়ারিতে। মাস দুয়েক আগে এক সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, দেশ থেকে নিরক্ষরতা দূরীকরণে ছাত্রলীগের কাজ করা উচিত। এর পরেই আনুষ্ঠানিকভাবে ছাত্রলীগ নিরক্ষরতা দূর করার কাজে হাত দেয়।

শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদকে দিয়ে টিএসসিতে ছাত্রলীগের নিরক্ষরতা দূরীকরণ কাজের উদ্বোধনও করানো হয়। এর ধারাবাহিকতায় নিরক্ষরদের স্কুলে ছাত্রলীগের কর্মীদের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে বলে জানান প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী। ছাত্রলীগকর্মীরা এসব স্কুলের নেতৃত্বে থাকবে। ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদ হাসান রিপন কালের কণ্ঠকে বলেন, 'প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পরই ছাত্রলীগ আনুষ্ঠানিকভাবে দেশকে নিরক্ষরমুক্ত করার কাজে হাত দেয়। এ জন্য ইতিমধ্যে বিভিন্ন এলাকায় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে ১০ থেকে ১৫ জনের কমিটি করা হয়েছে।

আমরা আশাবাদী, ছাত্রলীগের মাধ্যমে দেশকে নিরক্ষরমুক্ত করা সম্ভব..!! হাসতে হাসতে আমার কাইন্দা দিতে মন চাই তাছে.. জানিনা আর কত খেল দেখাইবি রে মা তুই... ছাত্রলীগের মাধ্যমে দেশটারে নিরক্ষরমুক্ত করা সম্ভব না হইলেও.. অন্তত নিরক্ষরমুক্ত শব্দটা থাইকা মুক্ত রে মুক্তি দিয়া দেশটারে নিরক্ষর করা সম্ভব.. না জানি সরকারের প্রকল্প শেষ হইতেই বিদেশের পত্রিকাগুলান বাংলাদেশ নিয়া হেড লাইন কইরা বসে..: দেশ হইছে নিরক্ষর..
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।