সূর্য মাথার উপর। মেঠো রাস্তায় লোকজন নেই বললেই চলে। সকালের হাট বাজার আর গৃহস্থের যাবতীয় কাজ সেরে হয়তো গোসল বা আহারের প্রস্তুতি নিচ্ছে সবাই। গরম যদিও আছে কিন্তু চৈতী হাওয়ার কারনে তেমন একটা লাগছে না। সে হাওয়ায় মেঠো পথের ধূলি উড়ে আসছে।
কিছু কিছু গাছে নতুন কচি পাতা । পূর্ব দিকে সবুজ ধানক্ষেত দিগন্ত জোড়া। ধানেক্ষেতের অপর পাশের অস্পষ্ট গ্রাম ছোট রেখা হয়ে দিগন্তে মিশে গেছে। সামনের শিমুল গাছটায় লাল ফুল। কোন একটা পাখি গাছে বসলো।
আরেকটু এগিয়ে গেলে গাছপালার ফাঁকে ফাঁকে অবস্থাপন্ন লোকেদের বাড়িঘর। সম্ভবত বাড়ির মালিকরা শহরবাসি। তাই এতো শুনশান। বাঁশ ঝাড় থেকে কোন ক্ষুদ্র পোকা তারস্বরে চিৎকার করছে দলবেঁধে। তীব্র আওয়াজের সাথে মিশেছে পাখির শব্দ মনে হয় ঘুঘু ডাকছে।
একটা টং দোকান চোখে পড়লো সামনে। বৃদ্ধ দোকানি আরো দু’জনের সাথে বসে অলস গল্পে মেতেছে। ডানপাশ দিয়ে একটা নদী চলে গেছে। একবারে শুকনো। কচুরিপানাগুলো পানির অভাবে শুকিয়ে লাল বর্ণ ধারণ করেছে।
তবে মাঝখানের গভীর জায়গাটায় কোমর সমান পানি, তাতে চার-পাঁচটা ছেলে ’খুইয়া’, ত্রিকোণ আকৃতির ঠেলা জাল, দিয়ে মাছ ধরছে। একটা বারতের বছর বয়সী একটা মেয়েও আছে ওদের মধ্যে। সামনে আরোও অনেকগুলো শিমুল গাছ পড়লো। শিমুলের ফুলে আকাশের এ অংশটুকু লাল রঙে ঢেকে আছে। ৃ
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।