চলুন দেখি
রাজধানীর শ্যামপুর থেকে এক ছলনাময়ী প্রেমিকা মুক্তিপণের দাবিতে অপহরণ করে ৭ দিন আটকে রেখেছিল প্রেমিক ও তার বন্ধুকে। পরবর্তীতে ৭ দিন পর শুক্রবার রাতে শ্যামপুর থানা পুলিশ অপহূত হাসু শেখ ও কামরানকে শরীয়তপুর থেকে উদ্ধার করেছে। মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে উদ্ধার করা হয়। তবে ছলনাময়ী সীমা আক্তার (২২)-কে পুলিশ গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
অপহূত হাসু শেখের ভাই আওলাদ শেখ শীর্ষ নিউজকে জানান, অপহরণকারী তরুণী সীমার সঙ্গে কয়েক মাস পূর্বে হাসুর মোবাইলে রং নাম্বারে যোগাযোগ হয়।
একপর্যায়ে সীমা হাসুকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে মোবাইল ফোনে প্রেমালাপ শুরু করে। গত ৮ এপ্রিল জুরাইনের শিকদার নার্সিং হোমের সামনে তাদের প্রথম দেখা করার কথা হয়। পূর্বনির্ধারিত পোশাক ও গোলাপ হাতে তাদের সঙ্গে দেখা করে সীমা। হাসু ও তার বন্ধু কামরান সীমার সামনে নিজেদের পরিচয় দেয় এবং একত্রে হোটেলে খাবার খায়। এসময় সীমা তাদের বলে, ‘আমার বাসায় কেউ নেই, তোমরা দুজন বাসায় চল।
’ তারা প্রথমে যেতে না চাইলেও সীমার পিড়াপিড়িতে রাজি হয়। ট্যাক্সিক্যাবে করে তারা সীমার বাসার উদ্দেশে রওনা হয়। এরপর থেকে ওই দু’জনের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। গত ১০ এপ্রিল অপহূত দুজনের পরিবারের কাছে সীমা ফোনে সাড়ে ৩ লাখ টাকা করে ৭ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। টাকা না দিলে তাদের বড় ধরনের ক্ষতি হবে বলে জানায়।
ওই দিনই শ্যামপুর থানায় একটি অপহরণ মামলা হয়।
শ্যামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (অপারেশন) কুতুবুর রহমান জানান, মামলা দায়েরের পর মোবাইল ফোন ট্র্যাকিং করে পুলিশ জানতে পারে মোবাইলটি শরীয়তপুর জেলায় ব্যবহূত হচ্ছে। গতকাল শুক্রবার পুলিশ অভিযান চালিয়ে অপহূতদের উদ্ধার করে। তিনি জানান, ছলনাময়ী প্রেমিকা ও অপহরণকারী চক্রের সদস্যরা ওই দুজনকে অপহরণ করার পর শরীয়তপুর জেলার একটি বাড়িতে চেতনাহীন ইঞ্জেকশন দিয়ে অজ্ঞান করে রেখেছিল। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সীমাসহ অপহরণকারী চক্রের সদস্যরা পালিয়ে যায়।
সীমাসহ এই চক্রের সদস্যদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে বলে জানান তিনি
Source
ফ্রি বই ডাউনলোড করুন
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।