নিজের সম্পর্কে লেখার কিছু নেই । সাদামাটা ।
কম্প্যুয়ুটার জগতে নামের শানে-নযুল
এ্যাপল (Apple Computers) – এ্যাপল কম্প্যুয়ুটারের প্রতিষ্ঠাতা ষ্টীভ জোবস এর প্রিয় ফল ছিলো আপেল (এ্যাপল)। তার এই বিজনেস শুরুর সময় প্রতিষ্ঠানটির নাম রেজিষ্ট্রেশান করতে গিয়ে হলো বিপত্তি । একটা ভালো নাম খুঁজে পেলেন না ষ্টীভ ।
তিন তিনটি মাস চলে গেলেও মন মতো নামের হদিশ মিললো না । রেগেমেগে তিনি তার বিজনেস এ্যাসোসিয়েটসদের এই বলে হুমকি দিলেন যে, আজ বিকেল ৫টার মধ্যে কেউ যদি কোনও যুৎসই নাম হাজির করতে না পারে তবে তার প্রিয় ফল আপেলের নামেই নাম রাখবেন কোম্পানীর । হলোও তাই । আমরা Apple Computers পেলাম ।
এডোব/এডোবী (Adobe) – Adobe এর জনক ‘জন ওয়ার্নক’ এর বাড়ীর পিছন দিকে বয়ে যাওয়া “Adobe Creek” নদীর নামে এই নাম ।
গুগল (Google) – সার্চ-ইঞ্জিনটি কি বিপুল পরিমানের তথ্য খুঁজে দেখার ক্ষমতা রাখে এটি নিয়ে হাসি মষ্করা করতে গিয়ে নামটি এসেছে । শুরুতে মষ্করা করে এর নামটি দেয়া হলো 'Googol' । এটি একটি শব্দ যা ১ এর পরেও একশতটি শুন্য নিয়ে তৈরী সংখ্যাটিকে নির্দেশ করে । হয়েছে কি, এর উদ্ভাবকদ্বয়, স্ট্যানফোর্ড ইউনির ছাত্র সের্গেই ব্রীন আর ল্যারী পেজ যখোন একজন ইনভেষ্টরের কাছে তাদের প্রজেক্টটি পাঠালেন তখোন তারা যে চেক (cheque)টি পেলেন তা ছিলো এই নামে “Google” । সেই ভুল বানানটিই আমরা সবাই কী-বোর্ডে লিখে থাকি ।
হটমেইল (Hotmail)- জ্যাক স্মীথ, যিনি এর জনক , তার মাথার মধ্যে একদিন ঢুকলো এক অদ্ভুত ইচ্ছা । ওয়েব এর মাধ্যমে পৃথিবীর যে কোন জায়গার একটি কম্প্যুয়ুটার এর ই-মেইল এ্যাকসেস করা । যখোন সাবির ভাটিয়া নামের একজন মেইল-সার্ভিসের একটি বিজনেস প্লান নিয়ে হাজির হলেন তার সামনে তখোন জন হাযারো চেষ্টা করলেন এর একটি নাম দিতে যার শেষে “মেইল” শব্দটি থাকবে । এবং শেষ পর্যন্ত থামলেন গিয়ে “Hotmail” নামটিতে কারন –ওয়েব পেজ লিখতে যে প্রোগ্রামিং ভাষা ব্যবহৃত হয় এতে সেই “html” অক্ষরগুলো আছে । প্রথম দিকে বানানটি ছিলো এরকমের –“HoTMaiL” যেখানে html অক্ষরগুলো নির্দিষ্ট ভাবে বড়হাতের ছিলো ।
ইন্টেল (Intel)- বব নয়েস আর গর্ডন মূর তাদের কোম্পানীটির নাম ঠিক করলেন “Moore Noyce” । কিন্তু বাধ সাধলেন এক হোটেল চেইন মালিক । উনি আগেই “Moore Noyce” এই নামেই তার হোটেলের ট্রেডমার্ক নিয়ে ফেলেছেন । কি করা ? যা নিয়ে কাজকারবার তাকেই কাটছাট করা যাক । কেটেকুটে “INTegrated ELectronics” থেকে বেরুলো – INTEL.
ইয়াহু (Yahoo) – এটা হলো “গালিভার্স ট্রাভেলস” বইটির লেখক জোনাথন স্যুইফট এর অরিজিনাল আবিষ্কার ।
লিলিপুটদের মুখে তিনি অনেক শব্দ শুনিয়েছেন আমাদের । এই স্ব-আবিস্কৃত শব্দটি দিয়ে উনি বোঝাতে চেয়েছেন, এমন এক ব্যক্তি (লিলিপুটদের চোখে গালিভার) যিনি আকার আকৃতিতে ভয়াবহ, কাজকর্মে আতংক সৃষ্টিকারী আর আদপেই মনুষ্য গোত্রীয় নন ।
ইয়াহুর পিতৃদ্বয় জেরী ইয়াং আর ডেভিড ফিলো এই নামটিই বেছে নিয়েছেন কারন তারা নিজেদের কে ভাবতেন “ ইয়াহুস”।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।