আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ড্র্যাগরেসিং রানি অ্যাসলে বার্ট

চলছে গাড়ি যাত্রাবাড়ি।

০০ প্রাঞ্জল সেলিম ০০ Click This Link ড্র্যাগরেসিং বিষয়ে পড়াশোনা, ব্যাপারটা কেমন অদ্ভুত শোনাতে পারে। কিন্তু সত্যিই এমনটা ঘটে চলেছে প্রতিনিয়ত। তেমনই একটি স্কুলের ছাত্রী অ্যাসলে বার্ট। মাত্র ১৬ বছর বয়সে সে ড্র্যাগরেসিং বিষয়ে পারদর্শিতা অর্জন করে।

এই স্কুলে সর্বপ্রথম তাকে শেখানো হয় কিভাবে টায়ার পোড়াতে হয়। এ বিষয়ে নিজেকে একজন এক্সপার্ট প্রমাণ করার পরই পরের কৌশল শিখতে দেওয়া হয়, তার আগে না। মাত্র কয়েক মাসের প্রচেষ্টাতেই অ্যাসলে এই পুরো ব্যপারটিতে দক্ষতা নিয়ে এসেছে। এবং সেই সাথে রেসিং জগতে সকলের কাছে সে ‘ড্র্যাগরেসিং রানি’ হিসেবে অতি পরিচিত একজন। রেসিং জগতের সাথে অ্যাসলের পরিচিতিটা পারিবারিকভাবেই।

তিন প্রজন্ম ধরে চলে আসছে এ ব্যাপারটি। অ্যাসলে তার ৮ বছর বয়স থেকে রেসিং শুরু করে। মাত্র ১৬ বছর বয়সে সে ড্র্যাগ রেসিং বিষয়ে পারদর্শিতা অর্জন করে। মাত্র কয়েক মাসের প্রচেষ্টাতেই অ্যাসলে রেসিং-এর পুরো ব্যাপারটিতে দক্ষতা নিয়ে এসেছে। এবং সেই সাথে রেসিং জগতে সকলের কাছে সে ‘ড্র্যাগরেসিং রানি’ হিসেবে অতি পরিচিত একজন।

সে ট্যালেন্টেড, ফিট ও নির্ভীক। সেই সাথে অদম্য গতি ও দক্ষতা নিয়ে সে দুর্জয়। তার সাথে যারা রেস করে এসেছেন, তাদের সকলেরই একই মতামত অ্যাসলে সম্পর্কে। একবাক্যে সবাই বলে, ‘শি ইজ সামথিং’। রেসিং জগতের সাথে অ্যাসলের পরিচিতিটা পারিবারিকভাবেই।

তিন প্রজন্ম ধরে চলে আসছে এ ব্যাপারটি। অ্যাসলে তার ৮ বছর বয়স থেকে রেসিং শুরু করে। একবার স্কুলে ‘কিটি ক্যাট’ নামের এক রেসিং প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয় ছোট শিশুদের জন্য। কিন্ট একটি ছেলে রেস করতে ভয় পেয়ে যাওয়াতে অ্যাসলের বাবার কাছে অনুরোধ আসে অ্যাসলেকে দিয়ে সেই রেসটিতে অংশ নেওয়ার জন্য। সেখান থেকেই মূলত এ জগতের সাথে পরিচয় অ্যাসলের।

এরপর রেসিং স্কুলে ভর্তি হওয়া, পড়াশোনা করা তার জন্য অনেক আনন্দের ব্যাপার ছিল। স্কুল থেকে পাশ করে প্রথমেই একটি রেসিং লিগ এ নাম লেখায় সে। সেখানেই একটি রেসিং-এ অংশ নিয়ে প্রথম স্থানে চলে আসে অ্যাসলে। সেটি ছিল ‘স্ট্যানলি কাপ অব ড্রাগ রেসিং’। ১৬ বছর বয়সে তাকে তার পরিবার থেকে পারিবারিক ঐতিহ্য সম্বলিত রেসিং কার উপহার হিসেবে দেওয়া হয়।

ফুল সাইজ ড্রাগস্টার রেসিং কার, কোয়ার্টার মাইল পার হতে পারে সাড়ে আট সেকেন্ডে। এবং তা ঘণ্টায় ১৬০ মাইল স্পিডে চলতে সক্ষম। উপহারটি সত্যিই তার জন্য অনেক বড় একটা সাফল্য ছিল। সে এই গাড়ি নিয়ে ড্রাগস্টার সুপার প্রো রেসিং শুরু করে। তবে তার জন্য এই রেসিং ব্যাপারটি কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।

কারণ, সেখানে কিছু মানুষ এমন ছিল যারা মেয়ে রেসারকে সহজে গ্রহণ করতে চায়নি। কিন্তু এক বছরের কঠোর শ্রম ও দক্ষতা প্রমাণ করে যে, অ্যাসলে অন্যান্য অনেক ছেলে রেসার থেকে এগিয়ে। সেবছর সে ‘অ্যাডাল্ট রকি অব দ্য ইয়ার’ পুরস্কার জিতে নেয়। সেই প্রতিযোগিতায় সে দ্বিতীয় স্থানে ছিল কিন্তু রেসিং জগতের ২৫ বছর ইতিহাসে সেই প্রথম মেয়ে যে এ ধরনের প্রতিযোগিতায় কিছু করে দেখাতে পেরেছে। তবে ব্যপারটির সাথে কিছু মানুষও জড়িত, যারা শুরু থেকেই সাপোর্ট দিয়ে এসেছে অ্যাসলেকে।

অ্যাসলের রেসিং নায়ক হলেন, ‘ফ্রাঙ্ক হাওলেই’। তিন দিনের এক রেসিং লেসন-এ তার সাথে দেখা হয়ে যায় তার। খুব খুশি হয়েই তাকে রেসিং সম্পর্কিত টিপস দেন তিনি। কথাটা অ্যাসলে নিজেও স্বীকার করে, সে বলে, ‘আমি কৃতজ্ঞ, তার কাছ থেকে আমি অনেক কিছুই শিখেছি’। ইতিমধ্যে অ্যাসলে তার লাইসেন্স হাতে পেয়ে যায়।

প্রায় সাথে সাথেই কেনি গিলমোর নামের এক রেসিং ব্যবসায়ী তাকে তার হয়ে রেস করার প্রস্তাব জানায়। সেই সাথে অ্যাসলেও সুযোগ পেয়ে যায় তার যোগ্যতা প্রমাণের। এরপর অ্যাসলে নাম লেখায় পোমেনা রেসিং-এ। এটা ড্রাগ রেসিং-এর মতোই কিন্তু পিচ্ছিল রাস্তার উপর করতে হয়। পৃথিবীর মোট ১৬টি দেশে থেকে আসা গাড়ির মধ্য থেকে প্রথম রাউন্ডে ১৩টি বাছাই করা হয়।

সেখানেও দক্ষতার পরিচয় দেখায় অ্যাসলে। মোট তিন দিনের রেস হলেও ২য় দিনেই সে রেস সম্পূর্ণ করে। ধাপে ধাপে উপরে উঠছিল সে। এরপর ২০০৯ সালটি তার জন্য খুব দুস্কর হয়ে ওঠে। মারাত্মক এক দুর্ঘটনা ঘটে তার।

গাড়ি প্রায় দুমরে যায়। তবে ভাগ্য সহায়ক ছিল। তার রেসিং স্পনসরগুলো তখনও তার পাশে ছিল। সেই সাথে তার বন্ধুরা। অবস্থা ধীরে ধীরে কাটিয়ে ওঠে সে।

এরপর আবার রেসিং-এ যোগ দেয় ২০১০ সালের শেষদিকে এসে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.