আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অবশেষে সিডন্সের বিদায় !



অবশেষে ক্রিকেটবোর্ড জেমি সিডন্সের সাথে চুক্তি নবায়ন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সিদ্ধান্তটা এক বছর আগে নিয়ে এক জন ভালো কোচ আনলে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের অবস্থা এতো কাহিল হতো না। ৫৮/৭৮ জাতীয় কোন দু:স্বপ্নের জন্মও হতো না। ব্যাটিং কোচ সিডন্সের ব্যাটিংয়ের এই হলো কারিশমা। সাথে অবশ্য বোলিং আর ফিল্ডিং কোচেরও বিদায় ঘন্টা বেজেছে।

যদিও নিউ জিল্যাণ্ডের সাথে বা আয়ারল্যাণ্ড,ইংল্যাণ্ডের সাথে জয়ের মূলে ছিলো বোলিং ফিল্ডিং। সাথে ছিলো বোলার সফিউলের ব্যাটিং কারিশমাও। কিন্তু নাটের আরেক গুরু নির্বাচকদের এখনো কিঝু হয়নি। বিসিবেতেও কোন বদলের হাওয়া নেই। বিশ্বকাপের টিকিট কেলেঙ্কারীর পরও সবাই বহাল আছেন।

নিরাপত্তার নামে মানুষকে যে অপমান করা হয়েছে, কিলোর পর কিলো হাঁটানো হয়েছে তার আসল চেহারাতো দেখা গেলো গেইলদের বাসের ওপর ঢিল পড়ার ভেতর দিয়ে। সিডন্স আমাদের ক্রিকেটের সুদুরপ্রসারী ক্ষতি করে গেলেন। দলের ভেতর দলাদলি, খেলোয়াড়দের মনোবল ভেঙ্গে দেয়া, ভালো খেলোয়াড়দের নষ্ট করে দেয়া-এরকম অনেক কাজ করেছেন। আশরাফুল শ্রীলঙ্কা, অস্ট্রেলিয়া, ভারত, ইংল্যাণ্ডের বিপক্ষে দারুন ইনিংস খেলেছেন। সেই আশরাফুলের বারোটা বাজিয়ে গেছেন।

যে মাশরাফিকে তার দেশের মিডিয়া নড়াইল এক্সপ্রেস নাম দিয়েছে সেই মাশরাফির কেরিয়ার নড়বড়ে করে রেখে গেলেন। নাফিস, কাপালী, আফতাবদের দফাও রফা করে ফেলেছেন। বোলিংয়ের বাকী ফিরিস্তি নাই দিলাম। কারণ তিনি তো ব্যাটিং (!) কোচ। সিডন্সের সমস্যা হলো, তিনি অস্ট্রেলীয় কায়দায় আমাদের ক্রিকেট গড়তে গেছেন।

সাদা চামড়াদের ক্রিকেট আর উপমহাদেশীয় ক্রিকেটরে মধ্যে মৌলিক প্রভেদ আছে। ওদের মতো যান্ত্রিক নয় আমাদের অঞ্চলের ক্রিকেট। আবেগ আর প্রতিভার মিশেলের ভেতরই আমাদের সাফল্য। ক্রিকেটের ব্যাকরণকে ভেঙ্গে চুরে নিজের ব্যাকরণ দিয়েই শেবাগ, জয়সুরিয়া বা আফ্রিদীরা বিশ্বকিকেটকে আলোকিত করেছেন। অসি আম্পায়ার মিডিয়া মিলে বহু অপপ্রচার আর মানসিক যন্ত্রনা দিয়ে মুরলীকে অনেকবার ক্রিকেট থেকে বাইরে ঠেলে দিয়েছিলো।

কিন্তু মুরলী হার মানেননি। ওয়ার্ণকে সকল অর্থেই ছাড়িয়ে গিয়ে বিশ্বক্রিকেটে সাফল্যের অমলিন সৌধ গড়ে গেছেন। সিডন্স তো গেলেন। তার জেট ল্যাগ কাটতে কতোদিন লাগে, নতুন কোচ কে আসেন তার ওপরই নির্ভর করবে আমাদের নতুন পথ চলা।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।