৪২০
টাঙ্গাইল জেলার দেলদুয়ার উপজেলার বিশ্বাস বাথুলী গ্রামের এক ধনাঢ্য ও সম্ভ্রান্ত পরিবারে নারায়ণ বিশ্বাস ১৯০৮ সালে জন্মগ্রহণ করেন। নারায়ণ বিশ্বাসের ছেলেবেলা কেটেছে বিশ্বাস বাথুলী গ্রামে। তাঁর শিক্ষাজীবন শুরু হয় নিজ গ্রাম বাথুলীর প্রাইমারি স্কুলে। প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষা শেষ হলে কয়েক মাইল দূরে জামুর্কীর নবাব স্যার আব্দুল গণি উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। মেধাবী ছাত্র নারায়ণ বিশ্বাস নিয়মিত স্কুলে যেতেন এবং মনোযোগ দিয়ে লেখাপড়া করতেন।
এ স্কুল থেকে তিনি কৃতিত্বের সঙ্গে ম্যাট্রিক পাস করেন। পাসের পর ১৯২৫ সালে ঢাকায় জগনড়বাথ কলেজে ভর্তি হন। কলেজে ভর্তি হওয়ার আগেই তার রাজনীতিতে হাতেখড়ি। ১৯৩০ সালে মাস্টার দা সূর্যসেনের নেতৃত্বে অভ্যুত্থানের সূচনা করে। শহর ১০ দিন পর্যন্ত বিদ্রোহীদের দখলে থাকে।
নারায়ণ বিশ্বাস এ সময় খুব সাবধানে চলাফেরা করতে আরম্ভ করেন। সাবধানে চলাফেরা করলে কী হবে? একসময় ঠিকই নারায়ণ বিশ্বাস পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যান। ১৯৩০ সালে কার্জন হলে তাঁর অনার্স ফাইনাল পরীক্ষা চলছে। তিনি খুব সাবধানে এসে পরীক্ষা দিচ্ছেন। পরীক্ষা প্রায় শেষ, আর একটা পরীক্ষা হলেই শেষ হবে অনার্স ফাইনাল।
নারায়ণ বিশ্বাস কার্জন হলে বসে পরীক্ষা দিচ্ছেন। গ্রেফতার হওয়ার আশঙ্কায় খাতায় নামও লেখেন নি কিন্তু নাম না লিখলেও পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাঁকে পরীক্ষার হল থেকে ধরে নিয়ে গেল। সে কারণে তাঁর পদার্থ বিজ্ঞানে অনার্স পাস করা আর হলো না। বিজ্ঞানের ছাত্র নারায়ণ বিশ্বাস পরের বছর ঢাকা জেলখানায় বসে বিএ পরীক্ষা দিয়ে ভালো ফল করেন। ঢাকা জেলে পরীক্ষা শেষ হলে তাঁকে রাজশাহী জেলে স্থানান্তর করা হয়।
জেলে কমিউনিস্ট নেতাদের সংস্পর্শে এসে তিনি মার্কসবাদ-লেনিনবাদের আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগদান করেন। জেলখানার ভিতরেও কর্তৃপক্ষের অনিয়মের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছেন। নারায়ণ বিশ্বাস রাজশাহী জেল থেকে মুক্তি পেলে কিছুদিন পর আবার গ্রেফতার হয়ে বীরভূমের সিউড়ি এবং কলকাতা সেন্ট্রাল জেলে কাটান। কয়েক বছর জেল খেটে মুক্তি পান।
View this link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।