আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হিন্দুত্ববাদিরা নাস্তিকতা আর প্রগতিশীলতার ভেক ধরে থাকে কেন?

সবুজের বুকে লাল, সেতো উড়বেই চিরকাল

অনেকদিন আগে " ইসলাম কোন ল্যাম্পপোস্ট নয়" বলে একটা লেখা লিখেছিলাম। উদ্দেশ্যে ছিল ব্লগে দু পাতা পড়ুয়া বিশেষ জ্ঞানের অধিকারি ঘৃণাবাদিদের এ কথা বুঝিয়ে দেয়া যেন সারমেয়র মত ল্যাম্পপোস্ট জ্ঞানে ঠ্যাং উচু না করে। সাধারণ্ন ব্লগারদের "ঠ্যালা" এবং কখনো কখনো মডারেটরদের শাসনের কারণে কিছুদিন এরা নিবৃত্ত থাকে। আবার যেই কার সেই। এদের শিরোমণি জনৈক নেতাই ভট্টাচার্য্যকে সহব্লগার রাগ ইমন বেশ রগড়ে দেবার পর তিনি সেই যে প্রস্থান করলেন এর পর তাকে আর দেখা যাচ্ছে না।

ফলে কিছুদিন ব্লগের পরিবেশ ভালো ছিল। কিছু ঘৃণাবাদি প্রজাতিদের লজ্জা শরম নামক বস্তটি নেই বলে, মাছির মত ভন ভন করেই যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় বেশ কয়েকটি মাছিকে ব্লগে দেখা যাচ্ছে। এদের কয়্যেকজন আবার একটু অতিরিক্তই বাড়াবাড়ি শুরু করে দিয়েছে। কোন অজানা স্নেহে এরা মডারেটরদের বিশেষ নেকনজরে আছেন সেটা অনেকেরই প্রশ্ন।

ভুপেন হাজারিকার কথা মনে আছে? যিনি সারাজীবন কম্যুনিজমের গীত গেয়ে বাংলাদেশের কিছু বাম আর বাম ঘেষাদের প্রিয়পাত্রে পরিণত হয়েছিলেন? এই তো বেশিদিন তো হয়নি। তিনি যোগ দিলেন চরম হিন্দুত্ববাদি সংগঠন বিজেপিতে। এতদিন নাস্তিকতার ভেক ধরেছিলেন মাত্র। শীষ বেলায় জাত চিনিয়ে গেলেন। নাস্তিকতার আড়ালে হিন্দুত্ববাদিরা লুকিয়ে আছে, এমন কথা চালু থাকলেও, সমাজে সুশিল নয় বলে অনেকের মন্তব্য এতদিন গ্রাহ্য হয়নি।

তবে বাঙ্গালিত্বের আড়ালে কিছু বামপন্থি কিন্তু দিব্যি পৌত্তলিকতা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। ঘটপুজা, মঙ্গলপ্রদীপ প্রজ্জ্বলন, ইত্যাদি বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রচলিত না হলেও, এরা নাস্তিকতা আর প্রগতিশীলত্যার দোহাই পেড়ে এসব করে থাকেন। আর প্রত্যকে বছর মঙ্গল শোভা যাত্রা নামে যে অদ্ভুতুড়ে মিছিলের আয়োজন, সেটা ঠিক কোথাকার বাংলাদেশি সংস্কৃতি সেই ইতিহাস বর্ণনা করার মত কেউকে খুজে পাওয়া যাচ্ছে না। সকল ঢাক গুরগুরের অবসান ঘটিয়ে অবশেষে নোবেল বিজয়ি অর্থনীতিবিদ অমর্ত সেন বোমা ফাটিয়ে বলেই দিলেন যে নাস্তিকতা আসলে হিন্দুত্ববাদের একটি অংশ। এই বোমা ফাটানোর ফলে শ্রেফ সুশিল হবার গড্ডালিকা প্রবাহে গা ভাসানোদের মাথায়্ বাজ পড়ার দশা।

এতদিন তো প্রগতিশীলতা আর নাস্তিকতার আড়ালে হিন্দুত্ববাদিত্বের চর্চা করা যাচ্ছিল। জনাম সেনের সেই লেখার পর তাদের মুখোশ খুলে পড়াতে তারা অতিশয় অস্বস্তির মধ্যে নিপতিত। প্রশ্ন হচ্ছে অন্যান্য যে কোন ধর্মের মতই হিন্দুত্বও একটি ধর্ম। সেটা চর্চা ও পালনের অধিকার সবার আছে। কিন্তু এজন্য ভেক ধরার প্রয়োজনটা হচ্ছে কেন? বা যারা ভেক ধরছেন, তারা কোন উদ্দেশে এমন করছেন? অবশ্য এমন ভেকধরা অনেককেই কিন্তু সাধারণ মানুষ ভারতের দালাল হিসাবে গণ্য করে।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।