এসো হে বৈশাখ এসো এসো
তাপস নিশ্বাস বায়ে, মুমুর্ষরে দাও উড়ায়ে.......
আর মাত্র তিনদিন পর পহেলা বৈশাখ। আরও একটি বাংলা নতুন বছরের সূচনা।
Click This Link
কিন্তু এই গানটি ছাড়া কি নতুন বছরে আসে?
সাথে আরও কিছু বৈশাখী গান.......
Click This Link ( এই গানটা ছাড়াও আজকাল আর বৈশাখী নাচ হয়না)
Click This Link ( বৈশাখী ভালোবাসা )
Click This Link ( ছেলেবেলার কথা)
Click This Link ( একটি প্রিয় নজরুল)
Click This Link (আজকের জনপ্রিয় বৈশাখী গান)
ইদানিং কালের বৈশাখী নানা আয়োজনে ফেস পেইন্টিং একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে নিয়েছে। ফেস পেইন্টিং এখন বৈশাখী ফ্যাশন...
আর অবশ্য অবশ্য লাল সাদা শাড়ি।
সাথে অবশ্যই রেশমী চুড়ি
চুলে থাকা চাই ফুলের মালা...
বৈশাখ আর পান্তা ইলিশ এটাও এখন বাঙালীর ফ্যাশন।
তাই নতুন রাঁধুনীদের জন্য দিচ্ছি ইলিশের একটি নয়, দুটি নয়, পাঁচ পাঁচটি পদ।
ইলিশ সরষে
ইলিশ মাছ ১ টা
রসুন বাটা ১/২ চা চামচ।
আদা বাটা ১/২ চা চামচ।
জিরা বাটা ১/২ চা চামচ।
হলুদ বাটা ১/২ চা চামচ।
মরিচ বাটা ১ চা চামচ।
সরিষা বাটা ২ টেঃ চামচ।
পিঁয়াজ বাটা ৩ টেঃ চামচ।
লবন পরিমান মত।
কাঁচা মরিচ( মাঝে চিরে দেওয়া) ৮ টা।
সরিষার তেল ৪ টেবিল চামচ।
পানি পরিমান মত।
কড়াই এ মাছের টুকরোগুলো নিয়ে রসুন, আদা, জিরা, হলুদ, মরিচ,
সরিষা বাটা,পিঁয়াজ বাটা, তেল আর লবন দিয়ে ভালো ভাবে মাখিয়ে নিতে হবে।
তারপর কড়াই এ মাছের টুকরোগুলো সাজিয়ে উপরে কাঁচামরিচ আস্ত বা ফালি করে কাটা সাজিয়ে দিতে হবে।
আঁধা কাপ পানি আর ঢাকনি দিয়ে ঢেকে মাছগুলো চুলোয় চাপিয়ে দিতে হবে।
মাঝারী আঁচে রেখে দিয়ে কিছুক্ষন পর মাখা মাখা হয়ে গেলে নামিয়ে ফেলতে হবে। কাঁচামরিচ সব শেষেও দেওয়া যায়।
ভাঁপা ইলিশ
সব মশলা আর মাছ এক সাথে মাখিয়ে অল্প পানি দিয়ে একটা স্টিলের বক্সে (একটি বাটি) সাজিয়ে দিতে হবে।
তারপর বড় একটা পাত্রে পানি ফুটতে দিয়ে তার মধ্যে বসিয়ে দিতে হবে।
খেয়াল রাখতে হবে যেন পানি টিফিন বক্সে না ঢুকে।
উপরে শিলনোড়া বা ভারী কিছু চাপিয়ে দিলে এই ভয় কম থাকে।
২০-২৫ মিনিট পর নামিয়ে একটু চেক করে নিতে হবে মাছটা সিদ্ধ হয়েছে কিনা। তবে ইনশাল্লাহ ২০ মিনিটই ভাপে ইলিশ সিদ্ধ হবার জন্য যথেষ্ঠ।
ইলিশ মাছের পাতুরী
ইলিশ মাছ ৮ টুকরো,
সাদা সরষে বাটা ২ টেবিল চামচ,
কাঁচামরিচ বাটা ২ চা চামচ,
আস্ত কাঁচামরিচ ৮টা,
আদা বাটা ২ চা চামচ,
হলুদ বাটা আধা চা চামচ,
পেঁয়াজ কুচি ৪ টেবিল চামচ,
লবণ পরিমান মতো।
ইলিশ মাছের টুকরাগুলোর সাথে সব মসলা মিশিযে ১০ মিনিট রাখতে হবে।
মাখানো মাছ আর একটা করে কাঁচামরিচ লাউপাতায় মুড়ে ভাত হয়ে আসার মুখে ভাতের উপর বসিয়ে ঢাকনী চাপা দিয়ে ভাতে সিদ্ধ করা যায়/ ভাঁপা ইলিশের মত টিফিন বক্সে নিয়ে পানিতে বসিয়ে সিদ্ধ করা যায় আবার ফ্রাইপ্যানে গরম তেলে অল্প আঁচে ভেজেও নেওয়া যায়।
কাঁটাগলানো আস্ত ইলিশ
ইলিশ মাছ ১টি,পেঁয়াজ বাটা ১ টেবিল চামচ, হলুদ বাটা ১ চা চামচ, মরিচ বাটা ১ চা চামচ, সরষে বাটা ২ টেবিল চামচ, জিরা বাটা ১ চা চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণ মতো, তেল ১ কাপ, কাঁচামরিচ ৫-৬টি ।
ইলিশ মাছের পেটের একপাশ লম্বা করে চিরে নাড়ীভুড়ি বের করে নিয়ে সব মসলা দিয়ে মাখিয়ে ২ লিটার পানি দিয়ে চুলায় বসিয়ে দিতে হবে। হাঁড়ির মুখের ঢাকনা ময়দা দিয়ে এঁটে দিতে হবে। মৃদু আঁচে ৬ ঘণ্টা রাখতে হবে।
পানি শুকিয়ে তেলের ওপর এলে আধা কাপ টমেটোর সস দিতে হবে।
রুপালী ইলিশ
ইলিশ মাছ ১টা, আদা বাটা ১ চামচ, কাঁচা মরিচ ৮টি,পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, সয়াবিন তেল আধা কাপ, লবণ পরিমাণ মত।
কড়াইয়ে তেল দিয়ে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে অল্প ভেজে নিতে হবে। মাছের টুকরা গুলোয় লবণ আদা, মাখিয়ে একটা একটা করে পেঁয়াজের মাঝে ছেড়ে দিতে হবে। কিছুক্ষণ নেড়ে অল্প পানি দিয়ে মৃদু আঁচে ৩০ মিনিট রান্না করতে হবে।
নামানোর আগে আগে কাঁচা মরিচগুলো দিয়ে দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে নামিয়ে নিতে হবে।
এবারে খানাপিনাগুলো আমার মত সুন্দর করে মাটির পাত্রে পরিবেশন করতে হবে
নয়তো কাসা তামা, পেতলের পাত্রেও এইভাবে পরিবেশন করা যাবে।
তবে অবশ্যই আমাদের আশেপাশে যারা কম সামর্থ্যবান আত্নীয় স্বজন, বন্ধু বান্ধব, পাড়া প্রতিবেশী আছেন তাদের কথা খাবার সময় ভুলে যাবোনা।
সবাইকে জানাই নতুন বছরের শুভেচ্ছা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।