আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যমজদের মজার কথা (সংগ্রহীত)



যমজদের মজার কথা জুলকারনাইন মেহেদী's picture জুলকারনাইন মেহেদী Monday, 29 July 2013 - 12:32pm অনেক সময় একই চেহারার দুইজন মানুষকে দেখে আমরা থমকে যাই। কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকার পর বুঝে নেই যে তারা যমজ। যমজ মানুষদেরকে নিয়ে কিন্তু আমাদের সবারই কিছুটা কৌতূহল কাজ করে, আর সেটাই মনে হয় স্বাভাবিক। যমজ সন্তান জন্মদানকারী মায়েদের উপর গবেষণা চালিয়ে একজন ওবস্টেট্রিসিয়ান এক চমকপ্রদ তথ্য বের করেন । “জার্নাল অব রিপ্রোডাক্টিভ মেডিসিন” এর প্রকাশিত গবেষণা রিপোর্টে তিনি জানান, যেসব মহিলাদের উচ্চতা বেশি তাদের যমজ সন্তান জন্মদানের সম্ভাবনাও বেশি! অনেকে অবাক হতে পারেন এই ভেবে যে, মায়ের উচ্চতার সাথে যমজ সন্তান জন্মদানের সম্পর্ক কি! সম্পর্ক আসলে আছে।

আমাদের শরীরের বেড়ে ওঠার জন্য কিছু বিশেষ বিষয় কাজ করে,যাদেরকে বলা হয় “গ্রোথ-ফ্যাক্টর”, যে ফ্যাক্টর গুলোর একটি হচ্ছে ইনসুলিন নামের এক বিশেষ ধরণের প্রোটিন। এই ইনসুলিন বোন সেল (Bon cells) এর বৃদ্ধিকে তরান্বিত করে একইসাথে মেয়েদের লম্বা হবার প্রবণতা ও যমজ সন্তান জন্মদানের ব্যপারটিকে নিয়ন্ত্রিত করে। যমজদের ব্যপারে আরো কিছু চমকপ্রদ তথ্য বের হয়ে এসেছে বিভিন্ন গবেষণায়। ১) একই ধরণের চেহারার অধিকারী হওয়া সত্ত্বেও যমজদের মধ্যে আচরণগত ভিন্নতা- বিজ্ঞানের ভাষায় ‘আইডেন্টিক্যাল টুইন’ বলে একটা কথা আছে। যেসব যমজের চেহারা দেখতে হুবহু একই রকম, তাদেরকে এই নামে অভিহিত করা হয়।

এরা একই ধরণের জিন শরীরে বহন করলেও দেখা যায়,তাদের আচরণ পুরোপুরি ভিন্ন। এমনকি তাদেরকে ছোটবেলায় একই ভাবে বড় করা হলেও। বিজ্ঞানীদের ধারনা, একই চেহারার যমজদের আচরণগত পরিবর্তনের জন্য তাদের পারিপার্শ্বিক অবস্থা দায়ী হয়ে থাকতে পারে। পরিবেশের কারণে,এই যমজদের শরীরে থাকা জিন-এ কিছু পরিবর্তন চলে আসার ফলে যমজদের আচরণ-ও ভিন্ন হয়ে যায়। ২) “মিরর-ইমেজ “ যমজ- অনেক যমজদের মাঝে আবার দেখা যায় আরেক ধরণের বৈশিষ্ট্য।

দেখা গেলো,এক জোড়া যমজ ব্যক্তিদের মাঝে একজন হয়ত বাঁ-হাতে বেশিরভাগ কাজ করেন,আরেকজন হয়তো ডান হাতে। আবার হয়তো মুখেও কিছু বিশেষ বৈশিষ্ট্য উলটো হতে পারে। যেমন যমজদের একজনের বাম গালে তিল,তো আরেকজনের ডান গালে। এই ধরণের যমজদেরকে বলা হয় মিরর-ইমেজ টুইন। কারণ যখন আপনি আয়নাতে তাকান, তখন আপনারই মতো আরেকজনকে আয়নাতে দেখা যায়।

শুধু পার্থক্য এই যে আপনার ডান হাত,আয়নার মানুষটির বাম হাত। “মিরর-ইমেজ টুইন”রা পরস্পরের মুখোমুখি দাঁড়ালে এরকমই হয় বলে এই নাম করণ। কেন এরকম হয়? গবেষণা বলছে, যখন একটি ঊর্বর ডিম্বাণু ভ্রূণীয় দশাতে স্বাভাবিকের চেয়ে দেরিতে পরিস্ফুটিত হয়,তখনই এই ধরণের ঘটনা হয়ে থাকে। ৩) যমজদের রয়েছে তাদের নিজস্ব আবিষ্কৃত ভাষা- যমজদের উপর চালানো এক জরিপে দেখা গিয়েছে ৪০% এরও বেশি যমজ ব্যক্তিরা তাদের ছোট বেলায় নিজেদের মধ্যে সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরণের ভাষায় কথা বলতো। তাদের নিজেদেরই আবিষ্কৃত সে ভাষায় থাকে,তাদের নিজেদেরই উদ্ভাবিত কিছু শব্দ,কিছু বিশেষ শব্দ নির্ভর মৌখিক প্রকাশভঙ্গি,যা কিনা শুধু তারাই বুঝতে পারে;অন্যরা নয়।

। মজার ব্যপার হলো, এই ভাষাগুলো বয়স বাড়ার সাথে সাথে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই যমজদের মাঝ থেকে হারিয়ে যায়। ৪) দেখতে হুবহু একই হলেও যমজদের হাতের রেখায় থাকে ভিন্নতা- বাহ্যিক ভাবে দেখতে অনেক যমজ প্রায় একই রকম হলেও তাদের হাতের রেখাতে থাকে ভিন্নতা। সেই সাথে আঙ্গুলের ছাপও আলাদা হয়ে থাকে। এই ঘটনা কেন হয় যদিও তারা একই জাইগোট থেকে এসেছে? যখন তাদের মায়ের তাদেরকে গর্ভে ধারণ করেছিল,সেই সময় শুক্রাণু ও ডিম্বাণুর মিলিত কোষ জাইগোট জরায়ুতে কিছুটা ভিন্নভাবে অবস্থান নেয়।

এই সামান্য অবস্থানগত ভিন্নতা জন্মের পর যমজদের বিভিন্ন সূক্ষ্ম দৈহিক পার্থক্যের কারণ হতে পারে। ৫) শরীরের ঘ্রাণ শুঁকে যমজদের আলাদাভাবে চিনতে পারে কুকুর- সাধারণ মানুষ বেশিরভাগ সময়ই হুবহু একই চেহারার যমজদের আলাদাভাবে চিনতে পারে না। কিন্তু প্রশিক্ষিত জার্মান শেফার্ড কুকুরদের জন্য এটা তেমন কোন ব্যপারই নয়। তারা শরীরের ঘ্রাণ শুঁকে একই চেহারার কিংবা ভিন্ন চেহারার যমজদের আলাদা করে চিনতে পারে। ইন্টরেস্টিং ! তাই নয় কি? ৬) সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান যা বলে- আপনারা জেনে অবাক হবেন,সাম্প্রতিক বছর গুলোতে যমজ সন্তান জন্মগ্রহণের হার অনেক বেড়ে গিয়েছে।

১৯৮০ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত এই বৃদ্ধির হার ৭৬% । ১৯৮০ সালে সদ্যভূমিষ্ঠ শিশুদের প্রতি ৫৩ জনের একজন হতো যমজ,২০০৯ সালে তা এসে দাঁড়ায় প্রতি ৩০ জনে একজন। এর কারণ কি? সম্ভবত মানুষের প্রজনন ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন চিকিৎসা-প্রচেষ্টা। একইসাথে ত্রিশোর্ধ মহিলাদের মাঝেও দিন দিন যমজ সন্তান জন্মদানের প্রবণতা বাড়ছে। - See more at: Click This Link জুলকারনাইন মেহেদী's picture জুলকারনাইন মেহেদী Monday, 29 July 2013 - 12:32pm অনেক সময় একই চেহারার দুইজন মানুষকে দেখে আমরা থমকে যাই।

কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকার পর বুঝে নেই যে তারা যমজ। যমজ মানুষদেরকে নিয়ে কিন্তু আমাদের সবারই কিছুটা কৌতূহল কাজ করে, আর সেটাই মনে হয় স্বাভাবিক। যমজ সন্তান জন্মদানকারী মায়েদের উপর গবেষণা চালিয়ে একজন ওবস্টেট্রিসিয়ান এক চমকপ্রদ তথ্য বের করেন । “জার্নাল অব রিপ্রোডাক্টিভ মেডিসিন” এর প্রকাশিত গবেষণা রিপোর্টে তিনি জানান, যেসব মহিলাদের উচ্চতা বেশি তাদের যমজ সন্তান জন্মদানের সম্ভাবনাও বেশি! অনেকে অবাক হতে পারেন এই ভেবে যে, মায়ের উচ্চতার সাথে যমজ সন্তান জন্মদানের সম্পর্ক কি! সম্পর্ক আসলে আছে। আমাদের শরীরের বেড়ে ওঠার জন্য কিছু বিশেষ বিষয় কাজ করে,যাদেরকে বলা হয় “গ্রোথ-ফ্যাক্টর”, যে ফ্যাক্টর গুলোর একটি হচ্ছে ইনসুলিন নামের এক বিশেষ ধরণের প্রোটিন।

এই ইনসুলিন বোন সেল (Bon cells) এর বৃদ্ধিকে তরান্বিত করে একইসাথে মেয়েদের লম্বা হবার প্রবণতা ও যমজ সন্তান জন্মদানের ব্যপারটিকে নিয়ন্ত্রিত করে। যমজদের ব্যপারে আরো কিছু চমকপ্রদ তথ্য বের হয়ে এসেছে বিভিন্ন গবেষণায়। ১) একই ধরণের চেহারার অধিকারী হওয়া সত্ত্বেও যমজদের মধ্যে আচরণগত ভিন্নতা- বিজ্ঞানের ভাষায় ‘আইডেন্টিক্যাল টুইন’ বলে একটা কথা আছে। যেসব যমজের চেহারা দেখতে হুবহু একই রকম, তাদেরকে এই নামে অভিহিত করা হয়। এরা একই ধরণের জিন শরীরে বহন করলেও দেখা যায়,তাদের আচরণ পুরোপুরি ভিন্ন।

এমনকি তাদেরকে ছোটবেলায় একই ভাবে বড় করা হলেও। বিজ্ঞানীদের ধারনা, একই চেহারার যমজদের আচরণগত পরিবর্তনের জন্য তাদের পারিপার্শ্বিক অবস্থা দায়ী হয়ে থাকতে পারে। পরিবেশের কারণে,এই যমজদের শরীরে থাকা জিন-এ কিছু পরিবর্তন চলে আসার ফলে যমজদের আচরণ-ও ভিন্ন হয়ে যায়। ২) “মিরর-ইমেজ “ যমজ- অনেক যমজদের মাঝে আবার দেখা যায় আরেক ধরণের বৈশিষ্ট্য। দেখা গেলো,এক জোড়া যমজ ব্যক্তিদের মাঝে একজন হয়ত বাঁ-হাতে বেশিরভাগ কাজ করেন,আরেকজন হয়তো ডান হাতে।

আবার হয়তো মুখেও কিছু বিশেষ বৈশিষ্ট্য উলটো হতে পারে। যেমন যমজদের একজনের বাম গালে তিল,তো আরেকজনের ডান গালে। এই ধরণের যমজদেরকে বলা হয় মিরর-ইমেজ টুইন। কারণ যখন আপনি আয়নাতে তাকান, তখন আপনারই মতো আরেকজনকে আয়নাতে দেখা যায়। শুধু পার্থক্য এই যে আপনার ডান হাত,আয়নার মানুষটির বাম হাত।

“মিরর-ইমেজ টুইন”রা পরস্পরের মুখোমুখি দাঁড়ালে এরকমই হয় বলে এই নাম করণ। কেন এরকম হয়? গবেষণা বলছে, যখন একটি ঊর্বর ডিম্বাণু ভ্রূণীয় দশাতে স্বাভাবিকের চেয়ে দেরিতে পরিস্ফুটিত হয়,তখনই এই ধরণের ঘটনা হয়ে থাকে। ৩) যমজদের রয়েছে তাদের নিজস্ব আবিষ্কৃত ভাষা- যমজদের উপর চালানো এক জরিপে দেখা গিয়েছে ৪০% এরও বেশি যমজ ব্যক্তিরা তাদের ছোট বেলায় নিজেদের মধ্যে সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরণের ভাষায় কথা বলতো। তাদের নিজেদেরই আবিষ্কৃত সে ভাষায় থাকে,তাদের নিজেদেরই উদ্ভাবিত কিছু শব্দ,কিছু বিশেষ শব্দ নির্ভর মৌখিক প্রকাশভঙ্গি,যা কিনা শুধু তারাই বুঝতে পারে;অন্যরা নয়। ।

মজার ব্যপার হলো, এই ভাষাগুলো বয়স বাড়ার সাথে সাথে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই যমজদের মাঝ থেকে হারিয়ে যায়। ৪) দেখতে হুবহু একই হলেও যমজদের হাতের রেখায় থাকে ভিন্নতা- বাহ্যিক ভাবে দেখতে অনেক যমজ প্রায় একই রকম হলেও তাদের হাতের রেখাতে থাকে ভিন্নতা। সেই সাথে আঙ্গুলের ছাপও আলাদা হয়ে থাকে। এই ঘটনা কেন হয় যদিও তারা একই জাইগোট থেকে এসেছে? যখন তাদের মায়ের তাদেরকে গর্ভে ধারণ করেছিল,সেই সময় শুক্রাণু ও ডিম্বাণুর মিলিত কোষ জাইগোট জরায়ুতে কিছুটা ভিন্নভাবে অবস্থান নেয়। এই সামান্য অবস্থানগত ভিন্নতা জন্মের পর যমজদের বিভিন্ন সূক্ষ্ম দৈহিক পার্থক্যের কারণ হতে পারে।

৫) শরীরের ঘ্রাণ শুঁকে যমজদের আলাদাভাবে চিনতে পারে কুকুর- সাধারণ মানুষ বেশিরভাগ সময়ই হুবহু একই চেহারার যমজদের আলাদাভাবে চিনতে পারে না। কিন্তু প্রশিক্ষিত জার্মান শেফার্ড কুকুরদের জন্য এটা তেমন কোন ব্যপারই নয়। তারা শরীরের ঘ্রাণ শুঁকে একই চেহারার কিংবা ভিন্ন চেহারার যমজদের আলাদা করে চিনতে পারে। ইন্টরেস্টিং ! তাই নয় কি? ৬) সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান যা বলে- আপনারা জেনে অবাক হবেন,সাম্প্রতিক বছর গুলোতে যমজ সন্তান জন্মগ্রহণের হার অনেক বেড়ে গিয়েছে। ১৯৮০ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত এই বৃদ্ধির হার ৭৬% ।

১৯৮০ সালে সদ্যভূমিষ্ঠ শিশুদের প্রতি ৫৩ জনের একজন হতো যমজ,২০০৯ সালে তা এসে দাঁড়ায় প্রতি ৩০ জনে একজন। এর কারণ কি? সম্ভবত মানুষের প্রজনন ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন চিকিৎসা-প্রচেষ্টা। একইসাথে ত্রিশোর্ধ মহিলাদের মাঝেও দিন দিন যমজ সন্তান জন্মদানের প্রবণতা বাড়ছে। - See more at: Click This Link

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.