সম্মানিত পাঠকবৃন্দ, আমার সালাম নিবেন। ব্লগ থেকে আমি অনেক কিছু জেনেছি এবং আমি অনেক শিখেছি। তাই আমি আমার ক্ষুদ্র অভিজ্ঞতা থেকে কিছু লেখার চেষ্টা করেছি। যেসব লেখা আমার নয় সেসব লেখার যথাযথ সোর্স উল্লেখ করা হয়েছে।
কিছুদিন আগে স্টার জলসাতে বিজ্ঞাপন দিত- এখন থেকে পাল্টে যাবে আপনার দুপুরগুলো।
দেখুন দুপুরের জলসা। যখন থেকে দুপুরের জলসা শুরু হল আমার সংসারে ও দুপুরের দৃশ্যগুলো পরিবর্তন হতে শুরু করল। এখন অফিস থেকে দুপুরে বাসায় আসলে দেখি আমার বধু, ওগো বধু সুন্দরী নিয়ে ব্যস্ত। একটি নাটক শেষ হতে না হতেই আরেকটি শুরু। আমার কথা আমার বধুর মনেই নেই যে আমি লাঞ্চ করার জন্য বাসায় এসেছি।
আমার আগের দুপুরগুলো ছিল অন্যরকম। বাসায় আসা মাত্র টেবিলে খাবার দিয়ে আমার পাশেই বসে থাকত। কখন কি লাগবে, লাঞ্চ ভাল হয়েছে কিনা, আর ও কত কি জিজ্ঞেস করত! কিন্তু পাল্টে গেছে আমার দুপুরের বাসা। এখন আমাকে দেখা মাত্র তড়িঘড়ি করে খাবার টা দিয়েই আবার মনোযোগ স্টার জলসার সিরিয়াল দেখার জন্য। আমি কিছু বললেই বলে, তুমি যখন কম্পিউটার নিয়ে পড়ে থাক তখন আমি কি তোমাকে ডিস্টার্ব করি? না আমার ম্যাডামকে কিছুই বলা যাবে না।
এতদিন তো রাতে জ্বালাতন করত এখন দিনে ও আমার আর কম্পিউটার ওপেন করার জো নেই। একটার পর একটা সিরিয়াল হতেই থাকে। আর আমার ম্যাডামের ও সিরিয়াল গুলো না দেখে উপায় নেই। রাতে বিদ্যুৎ নেই তো, খুব ভোরে উঠে যাবে পুনঃপ্রচার দেখার জন্য। আমার আলাদা টিভি নেই।
টিভি কার্ড দিয়েই টিভি দেখতে হয়। স্টার জলসার সিরিয়াল গুলো আমাদের ম্যাডামদের এতই প্রিয় হয়ে উঠেছে যে, ওনারা ওনাদের খাবার খাওয়ার সময় ও পর্যন্ত টিভি সেটের সামনে বসে থাকে। এজন্য স্টার জলসা পরিবার কে আমার আন্তরিক ধন্যবাদ আমার দুপুরের,রাতের, সকালের বাসার দৃশ্যপট পাল্টে দেওয়ার জন্য।
জয় হোক স্টার জলসার, ডুবে যাক আমার সংসার।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।