চুশীল/প্রগুদিশীল/প্রচুদিশীল ব্লগার দ্বারা সাম্প্রদায়িক ঘোষণা করা হয়েছে।
ঐশ্বরিয়া যেহেতু মঙ্গলিক তাই অভিষেক বচ্চন'কে বিয়ে করার আগে তাকে পিপাল নামক পবিত্র গাছ অথবা কলাগাছকে বিয়ে করার জন্য পরামর্শ দেন কোন এক জ্যোতিষী। তা না হলে ঐশ্বরিয়ার স্বামী মারা যাবে অথবা তাদের দাম্পত্য জীবনে বড় ধরণের ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে, ইহা বিশ্বাস করা হয় বা বিশ্বাস করানো হয়। এই জ্যোতিষী আর কেউ নন, বচ্চন পরিবারে তিনি পুজা অর্চনার দায়িত্বে আছেন। পবিত্র গাছের সাথে বিয়ের এই ঘটনাকে কুম্ভ বিবাহ বলে।
শেষ পর্যন্ত ঐশ্বরিয়া কলাগাছ বা পিপাল গাছকে বিয়ে করেছিলেন কি-না জানা যায়নি, তবে বচ্চনের ইচ্ছা যে সেরকমই ছিল সেটা বুঝা গেছে তখনকার মিডিয়ায় প্রচারিত খবরাখবরে। আর তাছাড়া অমিতাভ বচ্চন হিন্দুধর্মে গোঁড়া বিশ্বাসী এবং মন্দির বা পুজা-অর্চনায় কোটি কোটি টাকা অনুদান দিয়ে থাকেন। পরে অভিষেকের সাথে বিয়ের পর বচ্চন সাহেব আত্মপক্ষ সমর্থন করতে গিয়ে মিডিয়াকে বলেন, "যে গাছের সাথে ঐশ্বরিয়াকে বিয়ে দেয়া হয়েছে সেই গাছকে খুঁজে আনুন" । এবং ঐশ্বরিয়া যে কোন গাছকে বিয়ে করেনি সে বিষয়টা নিশ্চিৎ করেন ।
তবে বচ্চন পরিবার যে কু-সংস্কারাচ্ছন্ন সেটা পরিস্কার হয়েছে গত শনিবারের ক্রিকেট বিশ্বকাপ খেলার দিনে।
উনার ধারণা, তিনি খেলা দেখলেই নাকি ভারত হারে৷ তাই ভারতের খেলা থাকলে সেই বিগ বি কিছুতেই মাঠে যান না, এমনকি টিভিও দেখেন না৷ একদা অ্যাংরি ইয়ংম্যান হিরো এবং সর্বকালের সেরা ভারতীয় চলচ্চিত্র ব্যাক্তিত্বের বিশ্বাস আর সংস্কার এ বিষয়ে প্রবল৷ তিনি খেলা দেখলেই নাকি ভারত হারে৷ অতএব এই বিশ্বকাপ ফাইনালে কোন ঝুঁকি নেন নি তিনি৷ নিজের ঘরে সারাক্ষণ বসেছিলেন অমিতাভ৷ স্ত্রী জয়া বচ্চন কিংবা বাড়ির অন্য কেউ না কেউ একেকবার তাঁকে ঘরে গিয়ে স্কোরটা জানিয়ে আসছিলেন সারাক্ষণ৷ ভারত জেতার পরে অবশ্যি বাড়ির বাইরে বেরিয়ে বাংলোর সামনে জড়ো হওয়া জনতার সঙ্গে উল্লাস করেছেন, নাচগান হৈ-হল্লা সবই হয়েছে৷ কিন্তু, কিছুতেই আসল খেলাটা দেখেন নি৷
বচ্চন পরিবারের আরেক সদস্য অভিষেক বচ্চন। কুসংস্কারের বেলায় তিনি আরেক কাঠি সরেস। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচে বসার ঘরের সোফার যে কোণায় যেভাবে বসেছিলেন, শনিবারের বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলাটাও সেই একই জায়গায় একই ভঙ্গীতে বসে পুরোটা দেখেছেন৷ ভারত জেতার পর তবে সেখান থেকে ওঠার ছুটি৷
এবার আসুন আমির খান আর প্রীতি জিনতার বিষয়ে। পাকিস্তান ভারতের খেলা দেখতে মোহালিতে যে জামাকাপড় পরেছিলেন বলিউডের তিন খানের অন্যতম, আমীর খান, সেই ‘পয়া' নীল টি-শার্ট আর গা থেকে নামান নি শনিবার ওয়াংখেড়েতেও৷ অঙ্গে পাকিস্তান ম্যাচের সেই একই জামা গায়ে দিয়ে শনিবার মাঠে এসেছিলেন বলিউডের গালে টোল, মিষ্টিদুষ্টু নায়িকা প্রীতি জিন্টাও৷ দুজনেরই যুক্তি, এই জামাটা পরেছিলাম বলেই ভারত পাকিস্তানকে হারিয়েছিল৷ আর কী সে জামা না পরে ফাইনাল দেখা সম্ভব?
খবরে প্রকাশ, আমীর খানের জামায় ঘামের গন্ধ এত তীব্র ছিল যে, ভক্তরা তার কাছেই ভিড়তে পারেনি৷
ধন্যবাদ সবাইকে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।