দাম দিয়া কিনেছি বাংলা
শেখ হাসিনা এবং খালেদা খালেদা জিয়া আজ পর্যন্ত কত বার হজ্ব ও ওমরা পালন করেছেন কেউ হিসাব দিতে পারবেন? রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্পীকার, ডেপুটি স্পীকার, চিফ হুইপ, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী, তত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা, মন্ত্রী মর্যাদার প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সহ ভূড়ি মোটা অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ গত চল্লিশ বছরে রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে কি পরিমাণ অর্থ হজ্ব ও ওমরা পালনে ব্যয় করেছেন তা খুব জানতে ইচ্ছা করে। একজন বান্দা ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান পালনের উদ্দেশ্যে স্ত্রী-পরিজন, সাঙ্গ-পাঙ্গ সহ রাষ্ট্রীয় খরচে পবিত্র মক্কা মদিনায় যাচ্ছেন। শুনেছি বদ্দা নাকি কাফেলা নিয়ে যেতেন। দূঃখের বিষয় তিনি শত ভাগ কাজ সম্পন্ন করে যেতে পারলেন না। আমার প্রশ্ন, তাদের এই পূন্যকর্ম রাষ্ট্র ও জনগনের জন্য কি মঙ্গল বয়ে আনে।
অবস্থাদর্শনে মনে হয় তারা সেখান থেকে ফিরে আসেন বহু গুনে শক্তিশালী হয়ে। রাষ্ট্র সংসারে চলতে কিছু ত্র“টি বিচ্যূতি ঘটে, জনগনের সেবা করতে গিয়েই পাপের ছোয়া লাগে। সূতরাং রাষ্ট্রীয় অর্থে তীর্থে যাবেন এটাই স্বাভাবিক, আর নিজ অর্থ ব্যয় করার ন্যাকামি তারা নিশ্চয় করতে পারেন না, ওসব অর্থ তো জনগনের থেকেই পাওয়া।
বহু দলীয় সংসদীয় গনতন্ত্রের দেশ, গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ, প্রজা সাধারনের মধ্যে থেকে তারা আসেন, যা কিছু করার প্রজা সাধারনের জন্যই করেন অবশেষে সেই প্রজা সাধারনের দ্বারাই বিতাড়িত হন। নেতাদের মুখে শনেছি জিয়াকে নাকি জনগন খুজে এনে ক্ষমতায় বসিয়েছিলেন।
ঘটনা সত্যি ধরে নিলেও মুশকিল, খাল কেটে কুমির আনা বলে একটি প্রবাদ আছে।
সেদিন পত্রিকায় একটি ফটো ছাপা হয়েছিল, সাদা পোষাকে একদল নারী পুরুষ ওমরাহ পালন করছে। তাদের মাঝে কেবল একজনের পোষাক কালো। আমাদের প্রতি তিনি যে ক্ষুদ্ধ বোধকরি তা জানিয়ে এলেন। তাঁর ভিন্ন রংয়ের পোষাক দেখে একটি কটু প্রবাদ মনে পড়েছিল, “তোমার ঘাড় কেন কাঁত, আমরা এক জাত”।
সেদিন অন্য একটি ফটোও ছাপা হয়েছিল, প্রধানমন্ত্রী জনৈকা দুস্থ মহিলাকে দালান বাড়ী উপহার দিচ্ছেন। নিন্দুকদের উপকারে ঘটনাটি উল্লেখ করলাম, দেখুন কোন কাজে আসে কিনা। দেশে এতো সমস্যা একা কিভাবে সামাল দিবেন জানিনা, মন্ত্রী-উপদেষ্টা সভায় তিনিই যে একমাত্র পুরুষ। ত্রাতা কে ছোট বেলায় শোনা ছড়ার ছোটনের মতোই লাগছে, “ সোনা নয় রুপো নয় দিলাম মতির মালা, তাইতো ছোটন ঘুমিয়ে আছে ঘর করে উজ্বালা”।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।