"বাঙ্গালী জাতির গৌরবময় ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব এবং জাতীয় সংস্কৃতির জন্য অপমানজনক কোনকিছু এই ব্লগে লেখা যাবে না। "শিহরণে সত্তায় তুমি, হে আমার জন্মভূমি"
মানুষ স্বপ্ন দেখে, আশা করে। এগুলো করে দেখেই মানুষ বেঁচে থাকে। জানি না জীবন কিভাবে কাটবে বা কোথায় গিয়ে তার সমাপ্তি ঘটবে। সাধারণ মানুষ অক্ষম হয় কিন্তু ক্ষমতার কর্ণধার রা তো তা নন।
তারা কেন মিথ্যার সাথে, অপমানুষদের সাথে আপোস করেন??
জানি না এ বয়সে এসেও বিস্ময় জিনিসটা আমাকে মানায় কি না!
আমি এখনো অপাঙ্গে বিস্মিত হই।
আমার বিস্ময় দেখে আমার পরিচিতজনরা আমাকে সান্ত্বণার হাসিতে শান্ত রাখার প্রয়াস পান।
আমি একবুক বিসম্য় নিয়ে দেখি "সালাহউদ্দীন কাদের চৌধুরী মুক্তি পরিষদ" গঠিত হয়েছে। সেখানে মিডিয়া কাভারেজ আছে। তার মুক্তির জন্য না কি চট্টগ্রামে কি কি সব ও হয়েছে।
এ মানুষের পেছনে মানুষ রাজনীতি করে? এ লোককে ও কেউ বাবা ডাকে?? বাংলাদেশের কোন নারী এর বউ, এর সাথে দাম্পত্য যাপন করে?এর ঔরসে মেয়ে সন্তান জন্মেছে? সেই মেয়ে এই লোককে "বাবা" বলে সম্বোধন করে?? এ আমার নাদান মনের এক শিশুতোষ বিস্ময় হয়তো!
সামুতে লেখালেখি শুরু করার পর দেখেছি মানুষ ধর্ম আর জামায়াত কে কিভাবে এক করে। এ নিয়েও আমার বিস্ময়ের শেষ নেই। নিজামী, গোলাম আযমদের সমর্থকদের আস্ফালন তো প্রতিদিন সহ্য করেছি, করছি। নিজামী, গোলাম আযম, মুজাহিদ, সাঈদী, বাচ্চু রাজাকার এদের ও পরিবার আছে??এদের নাতি নাতনি হয়?তাদের আদর করে?কেউ না কেউ এদের কাছে নিজের মেয়েকে বিয়ে দেয়...কোন নারী তার গর্ভে এদের সন্তান ধারণ করে?? আমি বিপন্ন বিস্ময়ে এসব ভাবি...তারপর মনে হয় পৃথিবীতে সব সম্ভব।
আমিনীর মতো লোক না কি মুফতি...নিজামী মাওলানা, সাঈদী আল্লামা...
আমাদের নতজানু সরকার ঘুম পাড়ানি গানের মতো গায় "কোরআন সুন্নাহ বিরোধী কিছু করা হবে না"....আমাদের নারী নেত্রীরা মুখে কুলুপ এঁটে বসে থাকে।
আমরা হরতালে কোরআন হাতে নিয়ে নামার হুমকি দেই।
আমরা হিযবুত তাহরী করি, আল্লাহর দল করি...মায়ের জন্য কাঁদি...আমার যে মেয়েটা কাল মা হবে সে ধর্ষিত হলে তাকে জেনার জন্য শাস্তি দেই...তাকে তার অর্জিত সম্পদের উপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করার ক্ষমতা দেবার কথা সংবিধানে না কোন নীতিমালায় বলা হলে আমরা ইসলাম গেল বলে রব তুলি।
আমরা সেই ভারতবর্ষের অংশ যেখানে তেত্রিশ কোটি দেবদেবীর স্থান, মা দুর্গা থেকে শুরু করে কালির পূজা হয়, যে ভূখন্ডে প্রচলিত ইসলামের শেষ নবী এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন "মায়ের পায়ের নীচে সন্তানের বেহেশত"-কিন্তু সেই ভূখন্ডেই আমরা ধর্মের নামে মা কে জীবন্ত চিতায় তুলতে ও দ্বিধা করি না।
এই পোস্ট দেয়ার সাথে সাথে যারা জীবনে পশ্চিম দিকে আছাড় খায়নি তারাও ঝাঁপিয়ে পড়বে, ব্লগের রেটিং বাড়বে।
খোদা নাখাস্তা আমি যদি কোন সাকাচৌ এর আত্মীয় হতাম, লজ্জায় কোনদিন বলতাম না।
যদি এরকম লোকের মেয়ে হতাম পিতাকে হত্যা করতে আমার হাত কাঁপতো না, যদি হতাম স্ত্রী তার সন্তান আমি গর্ভে ধারণ করতাম না, যদি সাধারণ মানুষ হতাম তাকে রক্ষা করার জন্য পরিষদ গঠন করতাম না।
আমি একজন নিজামীর কেইসও লইয়ার হলে লড়তাম না।
আমার আজন্মলালিত ঘৃণা রাজাকারদের প্রতি, দেশের প্রতি ভালোবাসা, আমার জন্মের শুদ্ধতার কসম আমি বিষবিদ্ধ হৃদয়ে এসব বিস্ময় নিয়ে ধীরে ধীরে বিষণ্নই হতে থাকি।
কেউ ভাবলো না আমাদের কথা??
আমরা কি চাই, জানতে চাইলো না কেউ?শুধু আঘাত পাবো এ জন্যই হাজার বছর ধরে পুরুষের পুরুষরূপী নারীদের এভাবে জন্মের ধারা অব্যাহত রাখলাম আমার কষ্টচর্চিত গর্ভে??
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।