আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শেইম "প্রজন্ম-চত্ত্বর" শেইম

১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট সপরিবারে জাতির জনককে সপরিবারে হত্যার মাধ্যমে শুধু স্বাধীনতার চেতনাকে হত্যা করা হয়নি; একই সাথে নৈতিক মূল্যবোধের ও সলিল সমাধি ঘটানো হয়। কতিপয় দূর্নীতিবাজ, চোর, চরিত্রহীন এবং দেশ বিরোধী চক্রের চক্রবাকে দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, কৃষ্টি এবং বাঙালী মানসিকতাকে ভূ-লন্ঠিত করে পাকিস্তানের পরাজয়ের প্রতিশোধ এবং স্বাধীনতার প্রয়াস কে ভূল প্রমান করার নগ্ন মানসিকতার কড়াল গ্রাসে গত প্রায় ৩৮ বছর কেটেছে। অপরাজনীতি এবং হীনমন্যতা সমাজের প্রতিটি স্তরে মহামারী আকারে ছড়িয়ে দিতেও সক্ষম হয় এই স্বাধীনতা বিরোধী জোট। একই পতাকার নিচে দাড়িয়ে জাতিসত্ত্বায় আঁকা হয়েছে স্পষ্ট বিভাজন রেখা। সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ব্যক্তি স্বার্থের মিথ্যা ইতিহাস ও পুজিঁবাদকে কেন্দ্র করে।

ব্যক্তিগত হীনমন্যতা, দূর্নীতি, অপরাজনীতি এবং স্বাধীনতাবিরোধীদের সকল অপপ্রয়াসকে নস্যাত করতে স্বাধীনতার তৃতীয় প্রজন্ম আজ উদ্বেলিত এবং সংগ্রামী। স্বাধীনতা লাভের দীর্ঘ চার দশক পর জাতিসত্ত্বার চেতনার প্রশ্নের সমাধানের আশায় তারুন্য আজ বিপ্লবী। এই সমাধানের চেষ্টা আমাদের পূর্ববর্তী প্রজন্মের বিপ্লবীরাও করেছিল তাদের শুরু করা সেই প্রয়াসেরই ধারাবাহিকতা এই প্রজন্ম-চত্ত্বর। গত কিছুদিন ধরে প্রজন্ম চত্ত্বরের নেতৃবৃন্দ এবং তাদের মুখপাত্র মাধ্যম থেকে বিপ্লব এর আলোচক-সমালোচকদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন কু-রুচিপূর্ণ ভাষা ব্যবহার করে বক্তৃতা-বিবৃতি দেয়া হচ্ছে এবং প্রচার করা হচ্ছে। যা অবশ্যই নৈতিকতা বিবর্জিত একটি কাজ।

প্রজন্ম-চত্ত্বর এর উদ্দেশ্য এবং ভাল-মন্দের রায় দেবে ইতিহাস। প্রতিক্রিয়াশীল বিপ্লব কখনও সার্বজনীন হতে পারে না। আন্দোলনের শুরু থেকেই বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম কে এবং ধারাবাহিক ভাবে সকল ডানপন্থী/বামপন্থী সমালোচকদের নিয়ে বিভিন্ন ব্যঙ্গ-চিত্র এবং কুরুচিপূর্ণ ভাষা ব্যবহার করে বিভিন্ন লেখা প্রকাশ করে গন-জাগরন চত্ত্বর এর ফেসবুক পেজ প্রজন্ম-চত্ত্বর। আমি কুরুচিপূর্ন এবং ব্যঙ্গার্থক সকল কর্মকান্ডের ইতি টানার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। কোন সমালোচক যদি আন্দলোন সম্পর্কে ভূল বা অপব্যাখ্যা করেন বা করার চেষ্ঠা করেন তাহলে তাদের জাগরন মঞ্চে এসে অথবা তাদের নির্বাচিত স্থানে গন-বিতর্কের আহ্বান জানান।

আপনারা আপনাদের যুক্তি এবং তাদেরকে তাদের মতধারা উপস্থাপনের মাধ্যমে যৌক্তিকতা নিরুপনের দায়িত্ব জনগনের উপর ছেড়ে দিন। প্রজন্ম-চত্ত্বর এর দাবী সত্যের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত হলে তাতে করে জন-সমর্থন বাড়বে, কেউ নোংরামীর অপচেষ্ঠা করলে তাদের চরিত্রও জন-সন্মুখে প্রকাশিত হবে। এতে করে মিথ্যাচার আপনা-আপনি বন্ধ হয়ে যাবে এবং আন্দোলনে সকল শ্রেনীর দায়বদ্ধতা থাকবে। ভবিষ্যতের তথ্য-ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা সহজ হবে। প্রজন্ম-চত্ত্বর এর ভাবাবেগ যদি সত্যিকারের অদর্শ সমাজ প্রতিষ্ঠার স্বপ্নের ভিত্তিতে হয় তাহলে ব্যক্তির বিরুদ্ধে সমালোচনা বন্ধ করতে হবে।

তা নাহলে রাজনৈতিক নৈতিকতার পরিবর্তনের যে স্বপ্ন আমরা লালন করছি তা ব্যর্থ হবে বলে মনে করি। প্রজন্ম-চত্ত্বর থেকে নৈতিকতার পথভ্রষ্ট কোন বিষবৃক্ষ যেন জাতিসত্বাকে গ্রাস করতে না পারে তা সম্পর্কে সজাগ থাকাও তো একটা আন্দোলন। আত্নসুদ্ধিই হোক নতুন প্রজন্মের অহংকার। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।