আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

খোমাবই লাইকার নিয়ে একটি নাই কাজ খই ভাজ গবেষনা

গহীনে যে শব্দের অশূন্য নিরবতা, আমি সেই শুন্যে খুঁজে ফিরি আমার স্বধীনতা। ।

ফেসবুক বা খোমা বই যাই বলিনা কেনো সেটা এখন আমাদের জীবনের সাথে ডিস্টিং ডিস্টিংভাবে জড়িত। জুকার মামু ফেসবুকে সবচাইতে ইন্টারেস্টিং যে ব্যাপারটা করেছেন তা হচ্ছে লাইক বাটন। আর এই লাইক বাটনের বিবিধ ব্যাবহার নিয়েই এই লেখা।

নানাজনের নানা মতের মত ফেসবুকে আছে নানা জনের নানা ঢং এর লাইক। লাইকের সাথে ক্যারাক্টারিস্টিকের ও তুলনামূলক ব্যাক্তি পর্যায়ের বিশ্লেষন করা হল। ১) লাইক দিতে পয়সা খরচ হয়না লাইকঃ লাইকারদের মাঝে এই প্রজাতি বড় ইন্টারেস্টিং। কি জন্মের খবর কি মরনের খবর সব কিছুতেই দেধারসে তাদের লাইক দেখা যায়। ফেসবুকে লগিন করার পরে চোখের সামনে যাই আসে লাইক দেওয়া হল এই প্রজাতীর কাজ।

এই প্রজাতীর মাঝে কেউ আছে যারা এইটা ভেবে লাইক দেয় যে লাইকের বিনিময়ে লাইক আসবে, তাই লুংগী মারো গোছ, লাইক দাও পোছপোছ। আবার এই প্রজাতীর মাঝে কেউ কেউ লাইক দেয় সবার মনকে রক্ষা করা হবে এই ভেবে। চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যঃ গবেষনায় দেখা গেছে এরা বাস্তব জীবনে বড্ড সুবিধাবাদী আর অলস প্রজাতীর হয়। বন্ধুত্বকে তারা স্বার্থের মাপকাঠি দিয়ে বিবেচনা করে। এরা মিশুক হয়না, মানুষের সাথে সহজে মিশতে পারেনা তারা।

তবে বন্ধু হিসেবে এরা খারাপ না। একবার বন্ধু হলে সেটা স্বার্থের কারনেই হয় এবং নিজের স্বার্থ রক্ষার গোপন আশাতে এরা বন্ধুর স্বার্থ রক্ষার্থেও তৎপর হয়। ব্যাক্তি জীবনে নিজ নিজে মাঠে সফল প্রজাতী। ২) তুমি লাগো আমার মাম্মা তাই নাও তুমি চুম্মা লাইকঃ এরা শুধুমাত্র পছন্দের মানুষদের যেকোন কিছুতেই লাইক দেয়। এরা প্রথম প্রজাতীর চাইতে ভাল কারন এরা অন্তত না পড়ে শুধুমাত্র মন রক্ষার্থে লাইক দেয় না।

চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যঃ এরা প্রচন্ড মিশুক ও বন্ধু বৎসল হয়। তাদের মামার আই মিন বন্ধুর কোন অভাব নাই। মানুষ এদেরকে সহজে গ্রহন করে নিতে পারে। ব্যাক্তিজীবনে এরা কনফিউজড প্রকৃতির হয়। বন্ধু মহল থেকে প্রতারনা পেয়ে থাকে প্রচুর তারপরেও হাল ছাড়েনা।

এদের মেজাজ খিটখিটে হয়। তবে হার্মলেস মেজাজ। সামর্থের গন্ডিটা এদের ছোট অনেক। ৩) এসোনা এসোনা আরো কাছে এসোনা লাইকঃ পারভার্ট শ্রেনীর মানুষরা এই জাতীয় লাইক প্রদান করে থাকে। তাদের ফেসবুকে আসার একমাত্র কারন বিপরীত লিঙ্গের সাথে ভাব জমানো।

ছেলেদের মাঝে এর সংখ্যা আশঙ্কাজনক। যেকোন মেয়ের আইডি পেলেই এরা এয়াড পাঠায় আর মেয়েদের এক্টিভিটি যাই হোউক তাতে তাদের লাইক মিস হবেনা। খুঁজে খুঁজে তারা কেবল বীপরীত লিঙ্গের সাথেই এক্টিভ থাকে ফেসবুকে। চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যঃ হার্মফুল প্রজাতী। প্রচন্ড রকমের স্বার্থপর এবং বেইমান টাইপের হয়।

এদের সাথে শুধু বন্ধুত্ব নয় কোন প্রকার সম্পর্কই সুবিধাজনক না। এদের মাঝে অনেকের সার্টিফিকেট থাকলেও তারা সুশিক্ষায় শিক্ষিত নয়। এদের জীবনে দুঃখ কষ্টের সীমা নেই। মানুষ খুব সহজের এদের চরিত্র ধরে ফেলতে পারে এবং সবার দ্বারাই তারা সহজেই উপেক্ষিত হয়। এরা খুব খরুচে হয়।

সঞ্চয় করতে পারেনা। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তারা বংশানুক্রমিক ধনী হয়। ৪)আমি আছি এই ভবের রঙ্গে মস্তক তাই সর্বদা তুঙ্গে লাইকঃ এরা ভাবিস্ট লাইকার, লাইক দিতে অনেক চিন্তা ভাবনা করে। কোন জিনিস ভাল লাগলেও অনেক সময় লাইক দেয় অনেক সময়ে দেয় না। এদের লাইকের তালিকায় সাধারনত গবেষনা টবেষনা জাতীয় জিনিস প্রায় ই দেখা যায়।

চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যঃ এরা অনেক মেধাবী হয়। উচ্চ মূল্যবোধ সম্পন্ন হয়। তবে বিপরীত লিঙ্গ ঘটিত ব্যাপারে তাদের সমস্যা দেখা যায়, আই মিন হালকা ক্যারেক্টারে সমস্যা টাইপ। এই ধরনের মানুষের সাথে প্রেমের সম্পর্ক খুবই রিস্কি তবে বন্ধুত্বের সম্পর্ক খুব দৃঢ় এবং ভাল হয়। যদিও এদের বন্ধু সংখ্যা অনেক কম ই থাকে তবে এই কম মানুষরাই এই প্রজাতী থেকে অনেক অনেক উপকৃত হয়।

এদের মানুষকে কনভিন্স করার ক্ষমতা আশ্চর্যজনক। এরা জীবনের অনেক ঘাত প্রতিঘাত অতিক্রম করে আসা মানুষ, তাই বাস্তবধর্মী চারিত্রিক বৈশিষ্ট এদের মাঝে দেখা যায়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এরা ক্রিয়েটিভ হয় নানা ক্ষেত্রে। ৫) উদাসিত জোছনা, লাগিবে বদনা লাইকঃ সকল প্রকার নিরাশাবাদী ব্যাপার স্যাপার এদের লাইকের তালিকায় থাকে। সাহিত্যিক ব্যাপার স্যাপার ও তাদের লাইকের তালিকায় থাকে।

চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যঃ বুদ্ধি শুদ্ধি কম টাইপের কিন্তু নিজেদের ভীতরে ভীতরে অনেক জ্ঞানী ভাবে। নিজেদের চিনতে পারেনা কখনো। বেশিরভাগ ব্যাপার স্যাপারে তাদের ওভারজাজিং মেন্টালিটি কাজ করে ফলে এরা মানুষের কাছে বিরক্তির কারন হয়ে দাঁড়ায় অধিকাংশ সময়ে। বন্ধুত্বের ব্যাপারে এরা প্রথম প্রজাতীর মত। সাধারনত বাহিরে বীপরীতলিং বিদ্বেষী মনোভাব প্রকাশ করলেও ভীতরে ভীতরে লুল প্রজাতীর।

এরা শারিরিকভাবে ও মানসিকভাবে সাধারনত দূর্বল হয়। .................. .................. ..................... .................. আরো নানা প্রকারের লাইকার আছে তবে আপাতত এতটুকোই মাথায় আসছে। পরে আরো আসলে সিরিজ আকারে প্রকাশ করা হবে। মূলত কিছু লিখতে ইচ্ছা করছিল তাই এই আজাইড়া জিনিস লিখলাম। আপাতত ঘুমাতে গেলাম।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।