নারীনীতি, শিৰানীতি এবং আদালতের ফতোয়াবিরোধী আদালতের রায় নিয়ে ধর্মীয় জিকির তুলে বিভ্রানত্মি ছড়াচ্ছেন চারদলীয় জোটের সহযোগী বিতর্কিত নেতা ফজলুল হক আমিনীরা। আমিনীর হুমকি-নারীনীতি, শিৰানীতি ও ফতোয়াবিরোধী রায় বাতিল করা না হলে হাসিনা সরকারকে তছনছ করে দেয়া হবে। বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের কথা উলেস্নখ করে আমিনীর ঔদ্ধত্য মুসলমানের এ দেশে কোন হিন্দুকে দিয়ে সংবিধান সংশোধন হতে পারে না। আরেক মৌলবাদী নেতা আহমাদুলস্নাহ আশরাফ বলেছেন, হাসিনা-খালেদা খালাত বোন। তাঁরা ক্ষমতায় যাওয়ার আগে ছাড় দিয়ে কথা বললেও ক্ষমতায় গিয়ে ইসলামকে ছাড় দেয় না।
নারী নেতৃত্বই এ দেশে রাখা যাবে না।
শুক্রবার জুমার নামাজের পর রাজধানীর মুক্তাঙ্গনে আগামী ৪ এপ্রিলের হরতালের সমর্থনে আয়োজিত সমাবেশে তারা এসব কথা বলেছেন। আমিনী বলেন, 'আওয়ামী লীগ নেতা সাজেদা বলে আমাকে নাকি নারীরা ঘেরাও করবে। বেপর্দা নারীরা ঘেরাও করলে বোরখা পরা নারীরা আমাকে বাঁচাতে আসবে। ' তিনি আরও বলেন, নারীনীতিই ইসলামবিরোধী, কোরানবিরোধী।
অবিলম্বে ইসলামবিরোধী এই নারীনীতি, শিক্ষানীতি বাতিল করতে হবে। হাসিনা ও তার সরকার ইসলামবিরোধী এটা প্রমাণ করা লাগে না। শিক্ষানীতি করিয়েছেন স্বঘোষিত নাসত্মিক কবির চৌধুরীকে দিয়ে। সংবিধান সংশোধন করানোর দায়িত্ব দিয়েছেন একজন কট্টর হিন্দুকে। মুসলমানের এ দেশে কোন হিন্দুকে দিয়ে সংবিধান সংশোধন হতে পারে না।
আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে আমিনী হুঁশিয়ারি দেন, আজকে পুলিশ সঙ্গে আছে বলেই তোমরা আমাদের ওপর হাত তুলছ। মনে রেখ, ক্ষমতায় আমরাও আসতে পারি। তখন পুলিশ আমাদের কথাই শুনবে। ইসলামী আইন বাসত্মবায়ন কমিটির চেয়ারম্যান আমিনী অবিলম্বে নারীনীতি বাতিলের দাবি জানিয়ে বলেন, কোরানের বাইরে গেলে হাসিনার সরকার তছনছ হয়ে যাবে। তিনি সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর একটি মনত্মব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে পবিত্র কোরান শরীফ হাতে তুলে ধরে বলেন, কোরাান ছুঁয়ে শপথ করে বলছি, হরতাল ঘোষণার আগে বা পরে এখন পর্যনত্ম বিরোধীদলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে কোন কথা বলিনি।
আমিনী বলেন, সাজেদা মিথু্যক, হাসিনা মিথু্যক। এরা মিথ্যা কথাই বলে। সরকারের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি দিয়ে আমিনী আরও বলেছেন, কোরান ও ইসলাম রক্ষার দাবি না মানলে ৪ এপ্রিলের পর লাগাতার হরতাল দেয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত যেসব মন্ত্রী আছেন তারা মিথ্যা ছাড়া কোন কথাই বলেন না। প্রশাসনের লোকেরা তাকে হরতাল বন্ধ করতে হুমকি ধমকি দিচ্ছেন অভিযোগ করে বলেন, আমাকে ধমকাবেন না।
দেশে ইসলামের জাগরণ এসেছে। আগামীতে আমি ক্ষমতাসীন হয়েও যেতে পারি। মুক্তাঙ্গনে একই সময় বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। খেলাফত আন্দোলনের আমির আহমাদুলস্নাহ আশরাফ বলেন, যারা নারীনীতি করেছে তারা ইসলামবিরোধী।
ইসলামবিরোধীদের ছাড় দেয়া হবে না।
নারী নেতৃত্বের 'ফেতনা' দেশে রাখা যাবে না মনত্মব্য করে আশরাফ বলেন, হাসিনা-খালেদা খালাত বোন। তারা ক্ষমতায় যাওয়ার আগে হয়ত ছাড় দিয়ে কথা বলবে। কিন্তু ক্ষমতায় গেলে ইসলামকে ছাড় দেবে না। সমাবশে খেলাফত মজলিশের আমির হাবিবুর রহমান বলেন, 'কোরানের ইজ্জত রক্ষা না করা পর্যনত্ম আমরা ঘরে ফিরব না। এবারের সংগ্রাম কোরান রক্ষার সংগ্রাম।
এসব কর্মসূচীতে আরও বক্তব্য রাখেন ইসলামী আইন বাসত্মবায়ন কমিটির মহাসচিব মুফতি ওয়াক্কাছ, ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব আব্দুল লতিফ নেজামী, খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব জাফরম্নল্লাহ খান, মহানগর আমির মুজিবুর রহমান প্রমুখ। সামবেশ শেষে মুক্তাঙ্গন থেকে তিনটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিল জাতীয় প্রেসক্লাব ও বায়তুল মোকাররম এলাকা প্রদক্ষিণ করে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।