ঢাকা, ১ এপ্রিল (শীর্ষ নিউজ ডেস্ক): পাকিস্তানের একটি আদালতে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে বিশ্বকাপ সেমিফাইনাল ম্যাচটি ভারতের অনুকূলে ফিক্সিং করা হয়েছে অভিযোগ এনে পিটিশন দায়ের করা হয়েছে। ওই পিটিশনে পাকিস্তানের ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এফআইএ) ও ন্যাশনাল একাউন্টাবিলিটি ব্যুরোর (এনএবি) মাধ্যমে বিষয়টি তদন্ত ও অনুসন্ধান করার দাবি করা হয়। মুহাম্মদ ইরফান মুখতার নামে এক ব্যক্তি পিটিশনটি লাহোর হাইকোর্টে দায়ের করেন।
পিটিশনে অভিযোগ তোলা হয়, ম্যাচ হওয়ার সময়ে দু'দেশের মধ্যে ক্রিকেটীয় কূটনীতি আসলে জুয়াড়িদের জন্য তাদের অপরাধ সংগঠনের একটি সুযোগ সৃষ্টির ষড়যন্ত্র ছিল। পিটিশনে মুখতারের পক্ষে আইনজীবী মুহাম্মদ আজহার সিদ্দিকী।
আজহার ওই পিটিশনে অভিযুক্তদের তালিকায় রেখেছেন পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্র ও তথ্যমন্ত্রীসহ অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদি, মিসবাহ-উল-হক, উমর আকমল, কামরান আকমল ও তাদের পক্ষে বার্তাবাহক হিসেবে কাজ করা দু'জনের নাম। ওই দুই বার্তাবাহক ভারত, ব্রিটেন ও আরব আমিরাতের জুয়াড়িদের সঙ্গে অভিযুক্তদের যোগসাজশ ঘটিয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।
বুধবার অনুষ্ঠিত সেমিফাইনাল ম্যাচ দু'দেশের প্রধানমন্ত্রী মাঠে গিয়ে উপভোগ করেন। আর সে ম্যাচে ভারত সহজেই পাকিস্তানকে ২৯ রানে পরাজিত করে। পিটিশনে অভিযোগ করা হয়েছে, যেভাবে পাকিস্তান দল ভারতের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে তাতে স্পষ্টই প্রতীয়মান যে ম্যাচটি ফিক্সিং হয়েছে।
আর এক্ষেত্রে ক্রিকেটীয় কূটনীতি একটি গভীর ষড়যন্ত্রের পথ তৈরি করে দিয়েছে। সে ক্ষেত্রে পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্র ও তথ্যমন্ত্রীর জড়িত থাকার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যায় না।
মুখতার মন্তব্য করেন, পাকিস্তান জাতীয় দলের পরাজয়ে জাতি প্রচ- আঘাত পেয়েছে। তাই ব্যপারটি এফআইএ ও এনএবি'র মাধ্যমে অবশ্যই তদন্ত পরিচালনা করা উচিত। তাছাড়া রাজস্ব বোর্ড ও পাকিস্তান স্টেট ব্যাংকের উচিত হবে তাদের ব্যাংক একাউন্ট আগাগোড়া পরীক্ষা করে দেখা।
সেই সাথে খুঁজে বের করা খেলোয়াড়দের সঙ্গে কারা যোগাযোগ করেছিল।
(শীর্ষ নিউজ ডটকম/ এমআর/ এস/ ০০.২৫ ঘ.)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।