আমি খুব ভালো মানুষ
১৯৭১ সনে যা হৈসিল তা আমি মনে করতে পারিনা। আমার বয়স ছিল ১ বছর কয়েক মাস। একটু বড় হওয়ার পরে শুনতাম "গন্ডগোলের সময়" অমুক হৈসে তমুক হৈসে। গন্ডগোল শব্দটা কৈতো একটু কম পড়ালেখা জানা লোকজন। জানিনা ব্লগে আমার বয়সি কয়জন আছেন এবং তাদের কয়জন আমার পক্ষে স্বাক্ষী দিতে পারবেন।
আরো দুইটা শব্দ শোনা যাইতো এবং তা হৈল গোলমাল আর সংগ্রাম। মানুষ "গোলমালের সময়" বা "সংগ্রামের সময়" শব্দ দুইটা দিয়া ৭১ এর ঘটনা ইন্ডিকেট করতো। শেখ মুজিবের বিখ্যাত ভাষনের একটা উক্তি ছিল এমন - এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, স্বাধীনতার সংগ্রাম। যারা মুক্তিযুদ্ধে গেসিল তাদের পাকি মিলিটারির সদস্যরা ডাকতো মুক্তি। কারন এম. আর. আখতার মুকুলের চরমপত্রের কারনে মুক্তিবাহিনী শব্দটা বেশ চাউড় হয়েছিল।
যদিও সত্যিকার অর্থে বাংলার তখনকার দামাল ছেলেরা (এখনকার বুড়া নানারা) সত্যিকার অর্থে যুদ্ধে অবতীর্ন হয় এপ্রিলেরো পরে এবং মোটামুটি হযবড়ল কিসিমে। সেই নাগাদ তাইলে দেশে কি হৈতাসিল? পাকিরা নির্বিচারে হত্যা নির্যাতন অফরন ধর্ষন চালায়া বেড়াইতাসিল। তাগো সংগি হৈসিল এখনকার আমলে অনেক আওয়ামিলীগ, বিএনপি, এবং সর্বোপরি জামাতে ইসলামির রাজনিতির সাথে জড়িত একপাল মাদারফাকার কুলাংগার। আমার বাবামার কাছ থেইকা শুনসি ওরা নাকি পাকি ফৌজিদের সাথে নিয়া যারতার বাড়িতে চড়াও হৈত এবং অভিযোগ করতো, মেজর সাহাব ও মেরা বাপকো মারা, ও মেরা মাকো মারা ইত্যাদি এবং পাকিদের দিয়া মাইরা খাওয়াইতো নিজ দেশের মানুষদের। হয়তো পুরান শত্রুতার জের বা সম্পদ দখলের লোভে এইসব হীন কাজ ওর করসে।
কিন্তু এখনতো সবঐ দিব্যি আছে। ওদের মইধ্যে যারা ঝোপ বুইঝা কোপ মাইরা আম্লিগে ঢুইকা পরছে তারাতো রিতিমত চেতনার হোলসেলার, মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেটের আড়তদার। বিএনপি অলা আর জামাতি গুলাএইমুহুর্তে কিছুটা বেকায়দায় আছে, তারপরেও একবরে খারাপ নাই। যাক, আসল কথায় আসি। মুক্তিযুদ্ধ টার্মটা আসলে কবিসাহিত্যিকদের দান।
তো ঐ মুক্তিযুদ্ধে পাকি সৈন্যতো বাংলাদেশের মাটিতে আছিলোই। ওদের মোকাবেলা করতে মাঠে আসে ভারতে প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত (ঘাস-খালি প্যারেড আর গাদা বন্দুক চালানির শিক্ষারে যদি যুদ্ধের প্রশিক্ষন কওন যায় তাইলে) মুক্তিবাহিনী এবং এদের পরপর আসে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সৈনিকরা। আপনাদের মধ্যে যাদের পাকিস্তানী বা ভারতীয়দের সাথে ১৯৭১ নিয়া কথা বলার সুযোগ হৈসে তারা হয়তো জানেন যে ঐ দুইটা দেশে বাংলাদেশের মুক্ৈযুদ্ধ বলতে কোন টার্ম নাই। ওরা উভয়েই তাদের সন্তানদের শিখায় যে ৭১ এ পাক-ভারত যুদ্ধ হৈসিল। কোথায়? পূর্ব বাংলায়।
বাংলাদেশের মানুষ আমরা গর্ব কৈরা মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযোদ্ধাদের বিরত্বের কথা বলি এবং "পাক-ভারত যুদ্ধ" টার্মটারে আমরা প্রত্যাখ্যান করি। কিন্তু আমরা কি অন্ধ হয়া গেসি? আমরা কি দেখিনা যে পূর্ব বাংলায় এখনো এই পাক ভারত যুদ্ধই হৈতাসে? আমরা দেখিনা কারন এখন আর পাকি বা ভারতীয় সৈনিক নাই। ওদের প্রয়োজনওতো নাই। আমরা নিজেরাইতো নিজেদের মারার জন্য যথেষ্ট। বাংলাদেশের মানুষ এখন দুই ভাগে বিভক্ত।
একদলের নাম পাকি দালাল আরেকটার নাম ভারতীয় দালাল। সংগা দেই। পাকি দালালরা যারে ভারতীয় দালাল ডাকে তারা আবার বিপরীত দলরে পাকি দালাল ডাকে। কিন্তু কেউ নিজেরে পাকি দালাল বা ভারতিয় দালাল হিসাবে পরিচয় দেয়না। আওয়ামিলীগের সবাই যে পাকি দালাল তা না, অনেক গবেটও আছে যারা জন্মসূত্রে আম্লীগ করে, অনেক সুবিধাবাদি আছে যারা তৈলমর্দন কৈরা পেট চালায়।
তবে আম্ললিগের একজন যে ভারতীয় দালাল সেইটা অস্বীকার করার উপায় নাই। সে হৈল শেখ হাসিনা। ভারতের আশির্বাদপূস্ট এই রমনী ভারতীয় এজেন্ডা বাস্তবায়নের উদ্যেশ্যে নির্বাচন নামের এক নাটকের অবতারনা কৈরা রাস্ট্রক্ষমতা হাইজ্যাক করার মাধ্যমে পুনরায় ৫ বছর (হায়াত যদি থাকে) ক্ষমতায় থাকতে বদ্ধপরিকর। ভারত সংগে সংগে এই প্রশ্নবিদ্ধ ক্ষমতায় আরোহনকে বৈধ বলে মত প্রকাশ করে এবং স্বীকৃতি দেয়। এতেও যদি ভারতের সাথে ঐ মহিলার গভীর সম্পরকের ব্যাপারটা কারো কাছে স্পস্ট ভাবে ধরা না পরে তাইলে সেই দোষ আমারনা, তার জন্মের।
এছাড়াও ভারতর নদী ভরাট কৈরা তরিঘরি যাতায়াতের রাস্তা তৈরা কৈরা দেওয়া থেইকা শুরু কৈরা নানান প্রকার বিনামূল্যের (আসলেতো বিনামূল্যের না, মূল্যটা বাংলাদেশবাসী পিশোধ করে বৈলা ঐটা ভারতের লাইগা বিনামূল্য হয়া যায় আরকি) সুবিধাদি দেওয়াটাই যেন উনার প্রধান কাজ।
আবার অন্য দিকে, জামাতে ইসলাম কোন পাকিস্থানপন্থী দল নয়, সরাসরি পাকিস্তানী দলের বাংলাদেশি শাখা। অবাক ব্যাপার হৈলেও ঘটনা সত্য। বাংলাদেশ পাকিস্তান থেইকা বিচ্ছিন্ন হয়া যাওয়ার পরেও কি কৈরা একটা পাকিস্তানী দল বাংলাদেশে রাজনৈতিক কর্ম কান্ড চালায়া যায় এই প্রশ্নটা বিএনপি আম্লীগ দুইডারেই করা উচিৎ। কারন দুইডাই জামাতের কাছে হাংগা বসছিল এবং একটায় এখনো দাম্পত্য জীবন চালায়া যাইতাসে।
খালেদা জিয়া এইমুহুরতে জামাতের লগে আছে বিধায় তার পাকি কানেকশনের ব্যাপরটা উড়ায়া দেওন যায়না।
যাক... মোদ্দা কথা হৈল.... সবার চেতনা অচেতন অবস্থায় আছেতো??? গুঠ নাইঠ
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।