আবাও যৌতুকের দাবি পূরণ না হওয়ার পাষন্ড স্বামীর অমনাসিক নির্যাতন। শারীরিক নির্যাতনে জ্ঞান হারানোর পর মুখে বিষ ঢেলে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা। ভাগ্যক্রমে ওই যাত্রায় বেঁচে যান গৃহবধূ হাসিনা ইসমিন হাসি (৩২)। তবে সাত দিন মৃত্যযন্ত্রণা ভোগের পর অবশেষে মৃত্যুর কাছেই হার মানলেন তিনি। গতকাল ভোর ৫টার দিকে ধানমন্ডির ইবনেসিনা হাসপাতালে মারা যান হাসি।
এ ঘটনায় গতকাল বিকালে শেরে-ই-বাংলা নগর থানায় বিলাপ করছিলেন হাসির চাচা স্কুলশিক্ষক আবদুল খালেক। তিনি বলেন, হাসির চয় বছর বয়সের সময় তার বাবা আবদুল হামিদ মারা যাওয়ার পর হাসি ও খুশির (দুই বোন) দায়িত্ব নেন তিনি। বিয়ে করেন তাদের মাকে। কোনো সময় তাদের বাবার অপূর্ণতা বুঝতে দেননি। লেখাপড়া শিখিয়েছেন।
দেড় বছর আগে হাসিকে ধুমধাম করে বিয়ে দিয়েছিলেন সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার মেষড়া গ্রামের শাহ আলীর ছেলে শফিকুল ইসলাম স্বাধীনের সঙ্গে। তিনি আরও বলেন, তবে বিয়ের দুই মাস পর থেকেই যৌতুকের জন্য হাসিকে নির্যাতন করত স্বাধীন। এ কারণে ওই সময় তিনি স্বাধীনকে আড়াই লাখ টাকা দেন। তবে মুক্তি পায়নি হাসি।
চার মাস আগে স্বাধীনের র্মিমম অত্যাচারে হাসির চয় মাস বয়সী বাচ্চা নষ্ট হয়ে যায়।
পরে বাধ্য হয়ে স্বাধীনকে ঋণ করে আবারও তিন লাখ ৭৫ হাজার টাকা যৌতুক দিয়েছিলেন। এতেও সে তুষ্ট হয়নি। স¤প্রতি আও দুই লাখ টাকা যৌতুক না দেওয়ার কারণে মেরেই ফেলল আমার ভাতিজিকে। মঙ্গলবার ভোররাতে সে ধানমন্ডির ইবে সিনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। শেরে-ই-বাংলা নগর থানা সূত্র জানায়, হাসি রাজধানীর ইবনে সিনা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে কাজ করতেন।
তার স্বামী স্বাধীন চাকরি করতো এসি.আই কোম্পানির মার্কেটিং বিভাগে। বিয়ের পর থেকে হাসি স্বামীর সঙ্গে ১৮/৮ তল্লাবাগের বাসার দ্বিতীয় তলায় ভাড়া থাকতেন।
তাই আর যেন হাসির মত কোন মেয়েকে অকালে যৌতুকের জন্য এভাবে অত্যাচার করা না হয় এবং স্বাধীনের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য আমি আইন প্রশাসনের কাছে বিনীত ভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।