এইটা আমার ব্লগ।
শেয়ার বাজারের পতনের নায়ক, হাসিনার এদ্ভাইজার সাল্মান এফ দরবেশ বাবার বিরুদ্ধে লাগার কারনে, শেখ হাসিনার আনুকুল্য হারানোর পর পরেই রনির উপর পুরো সিস্টেম এর খড়গ যেভাবে নেমে এসেছে, তাতে বোঝা যায় আওয়ামী লীগ এর হাতে রাষ্ট্রের সব যন্ত্র গুলো কিভাবে ধ্বসে পড়ছে এবং রাজনইতিক শক্তির সাথে প্রশাসনের সেপারাশন বিলীন হয়ে কিভাবে প্রশাসন সম্পূর্ণ ভাবে রাজনৈতিক শক্তির আজ্ঞাবাহি হয়েছে।
বাংলানিউজে দেখলাম দুদক গত মাত্র পাঁচ দিনেই রনির বিরুদ্ধে তদন্ত সম্পন্ন করেছে এবং তার অবৈধ সম্পদের তালিকার রিপোর্ট জমা দিছে। একই সাথে প্রথম আলোতে এসেছে, রনির করা মামলা খারিজ করে দিছে পুলিশ এবং মাত্র ৫ দিনের মধ্যেই সাল্মান এফ রহমান নির্দোষ বলে রিপোর্ট দিয়ে দিছে। কোর্ট এর শুনানি ১৯ তারিখ।
ওয়াও! চমৎকার এফিসিয়েন্সি। এই এফিসিয়েন্সি নিয়ে আওয়ামী লীগ এর প্রতিটা এমপির সম্পদ নিয়ে যদি ইনভেস্টিগেট করত দুদক বা পুলিশ যদি সাগর রুনি বা শেয়ার কেলেঙ্কারি বা অন্যান্য ইস্যুতে তদন্ত করত, বাংলাদেশ মালয়েশিয়া বা থাইল্যান্ড এর সমতুল্য দেশ হয়ে যেত এই পাচ বছরেই।
গোলাম মওলা রনি যে সিস্টেমের বাকি সবার মত কম বেশি দুর্নীতিগ্রস্ত তা নিয়ে সন্দেহ করার কোন কারন নাই। কিন্তু, কিইন্তু ইস্যুটা আরও সিরিয়াস। এই খানে দেখার বিষয় হচ্ছে, পুলিশ, দুদক, বিচার বিভাগ কি নির্লজ্জভাবে সরকার এর ক্রিড়ানকে পরিণত হইছে।
এই প্রতিষ্ঠান গুলো আমাদের দেশের সাক্রেড প্রতিষ্ঠান, যা নাগরিকের রক্ষা কবচ, যা দেশকে রক্ষা করার জন্যে তৈরি- সেই প্রতিষ্ঠান গুলোর স্বাধীনতা এবং সেপারেশান এই ভাবে বিলিন হয়ে গেলে -দেশের সম্পদ,নাগরিক অধিকার, নাগরিক সাম্যতা সব বিলীন হয়ে আমরা একটা সিস্টেমেটিক এলিটদের আজ্ঞবাহি রাষ্ট্রে পরিণত হই।
এক্সিকিউটিভ বিভাগ বা প্রশাসনের এর সাথে আইন প্রনেতা বিভাগ এবং বিচার বিভাগ এর সেপারেশান এর দেশের নাগরিকের অধিকার রক্ষা আর সসুশাসন প্রতিষ্ঠার ভিত্তি। আমাদের চোখের সামনে এই প্রতিষ্ঠানগুলো ধংশ হয়ে যাচ্ছে, দুক্ষ আমরা এমন একটা জাতিতে পরিনত হইছি, এই অবভিয়াস ইস্যু গুলো যার উপর আমাদের অস্তিত্ব নির্ভর করতাছে, তা নিয়ে আমরা প্রতিবাদ করিনা।
আমাদের তরুনদের আন্দলনের এক সাইডে আছে কোটার বিরুদ্ধে আন্দোলন, আরেক সাইডে যুদ্ধপরাধের বিচার চাওয়া।
এই এক্সট্রিম গুলোর মধ্যে আটকে আছে আজকের মধ্যবিত্তের রাজনৈতিক চেতনা।
এই দুরবিত্ত রাজনৈতিক শক্তি যে এই রাষ্ট্রের মধ্যে তার এবং তার সন্তানের বেচে থাকার কাঠামো ধ্বংস করে দিয়ে,একটা পাতলা রশির উপর তাকে দাড় করায় রাখছে, যাতে সামান্য বাতাসেই, সামান্য প্রবলেমেই সে অতল খাদে পরতে থাকবে, তা বোঝার শক্তি যেন তার নাই। এবং এই উদাসীনতা থেকে তরুনরা মুক্তি না পাওয়া পর্যন্ত এই দেশ এর মুক্তির কোন উপায় নাই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।