আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আলুটিলার প্রাকৃতিক সুড়ঙ্গ : পর্যটকদের আকর্ষণ



খাগড়াছড়ি প্রবেশের শুরুতেই পর্যটকদের নজরে পড়ে প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্টি হওয়া আলুটিলা গুহা। যা এখানকার প্রধানতম পর্যটন স্পট, সমুদ্রপৃষ্ঠ হতে ৩ হাজার ফুট উঁচু যার পাশেই রয়েছে পাহাড়ি রিছাং ঝরনা আর এর নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে অপরূপ চেঙ্গি নদীর অববাহিকা। যা দেখতে প্রতিবছরই দেশ বিদেশ থেকে ছুটে আসে অনেক পর্যটক যা দিন দিন বেড়েই চলছে। পাহাড়, নদী কিংবা বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতিকে কেন্দ্র করে দেশে দেশে গড়ে ওঠেছে পর্যটন শিল্পের। এ শিল্পকে যথাযথ কাজে লাগিয়ে উন্নত হয়েছে অনেক দেশ।

পার্বত্য চট্টগ্রামের খাগড়াছড়ির আলুটিলাসহ বিভিন্ন পর্যটন স্পট সম্ভাবনাময় এলাকা। এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নদী, পাহাড়, উপজাতিদের জীবনধারা, পাহাড়ি সংস্কৃতি নানাভাবে আকৃষ্ট করে পর্যটকদের। ব্যাপক সম্ভাবনা থাকা সত্বেও পর্যটন স্পটগুলোকে আকর্ষণীয় করে ঢেলে সাজাতে সরকারি কোন মহৎ উদ্যোগ নেই বললেই চলে। কিছু উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা বাস্তবায়নের কোন ভূমিকা দেখা যাচ্ছে না। আলুটিলা প্রাকৃতিক সুড়ঙ্গে যাওয়ার পথে নৈসর্গিক সৌন্দর্য যে কোন পর্যটককেই আকৃষ্ট করে।

শত শত সিঁড়ি পথ বেরিয়ে গুহার মুখে পৌঁছতে উপজাতিদের ঐতিহ্যবাহী ঝুম ঘর চোখে পড়ে। খাগড়াছড়ি শহরের আলোগুলো মিটমিট করে জ্বলতে দেখা যায়, গুহার প্রবেশ মুখেই প্রবাহমান ঝরনার ঝির ঝির শব্দ আর হিমশীতল হাওয়ায় সকল ক্লান্তিগুলো যেন মুছে যায়। পিচ্ছিল ও সংকীর্ণ সুড়ঙ্গপথে মশার আলো জ্বালিয়ে এক পা দুই পা করে এগিয়ে চলা যে কোন পর্যটককে রোমাঞ্চিত করবে। আলুটিলা রহস্যময় সুড়ঙ্গ পর্যটন স্পট ছাড়াও আরো অনেক পর্যটন স্পট রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল মাইচছড়ির দেবতা পুকুর, দিঘিনালার তৈদ্যু ঝরনা, পানছড়ির অরণ্য কুটির, সদরের হেরিটেজ পার্ক, রাগড়ের চা বাগান, লেক, কৃষি গবেষণা কেন্দ্র প্রমুখ।

বাহির থেকে আসা পর্যটকদের থাকার জন্যে রয়েছে চেঙ্গি নদীর পাদদেশে অত্যাধুনিক পর্যটন মোটেল, আলুটিলার ওপরে ইমাং রেস্টুরেন্ট, হোটেল শৈল্য সুবর্না ইত্যাদি। অঙ্গরপতা দহগ্রাম থেকে বেড়াতে আসা পর্যটক শাহাব উদ্দিন মাস্টার জানান, এই গুহায় ডুকে আমি সত্যিই মুগ্ধ হয়েছি। পাহাড়ের কোল ঘেষে এভাবে সুড়ঙ্গ সৃষ্টি হওয়া নিঃসন্দেহে আল্লাহর নিদর্শন মাত্র। সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাহাত হোসেন জানান, পরিকল্পিত উদ্যোগ আর সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা হলে খাগড়াছড়ি পর্যটন শিল্পের উন্নয়নের পাশাপাশি পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর আর্থ সামাজিক উন্নয়নও হবে। এছাড়া এ অঞ্চলটি পাহাড় বেষ্টিত হওয়ায় পর্যটকদের আকর্ষণ থেকেই যাচ্ছে।

আমরা আগত পর্যটকদের আকর্ষণ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে আন্তরিক। চট্টগ্রাম শহর থেকে খাগড়াছড়ির আলুটিলায় যেতে সময় লাগে ৩ ঘণ্টা। আর বাস ভাড়া লাগে, সরাসরি ১৪০ টাকা। আর লোকাল ১১০ টাকা।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।