পথের প্রান্তে আমার তীর্থ নয় ,,,,,পথের পাশেই আছে মোর দেবালয়
বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব প্রিন্সিপাল ইব্রাহীম খাঁ অনুদিত একটি বই পড়েছিলাম ছোটবেলায়। নাম ' সূর্যি মামার রথে" দুনিয়ার প্রায় সব দেশের একটি করে ছোট ছোট উপকথা বইটিতে স্থান পেয়েছিল। তার মধ্যে একটা গল্প ছিল 'মাকড়সার কোমর এত চিকন কেন'? সেটা কোন দেশের উপকথা এখন আর মনে নেই। যাক গল্পটা বলি।
আমরা এখন মাকড়সার কোমর যেমন চিকন দেখি একসময় কিন্ত তা ছিল না।
যথেষ্ট মোটাসোটা কোমড় নিয়ে তারা পৃথিবীতে ঘুরে বেড়াতো। তেমনি সময় এক দেশে এক মাকড়সা ছিল ভীষন লোভী আর পেটুক টাইপের। কোনখানে রান্নাবান্নার গন্ধ পেলে তাকে আটকে রাখা দায়।
সেই গ্রামে কোন ভোজসভা হয়েছে আর মাকড়সা মশাই যায়নি এমনটা খুব কমই ঘটেছে। কিন্ত অনেক সময় খবর না পাওয়ায় সে কোন কোন ভোজনপর্বে হাজির হতে পারতোনা ।
এটা ছিল তার জন্য ভীষন মনবেদনার এক কারন।
অনেক ভেবে ভেবে সে একদিন একটি বুদ্ধি বের করলো । বুদ্ধিটা হলো যদি সে তার কোমরে একটি দড়ি বেধে ভাড়া করা দুজনের হাতে দিয়ে রাখে তবে যেদিকে টান পড়বে বুঝবে সেখানেই খাওয়া দাওয়া চলছে। যা ভাবা তাই কাজ। কোমরে একটা লম্বা দড়ি বেধে দুজনের হাতে দিয়ে মাকড়সা মনের সুখে ঘুমায়।
আর দড়ির যেদিকে অর্থাৎ ডান দিকে টান পড়লে ডান দিকের দাওয়াত খেয়ে আসে, বা দিকে টান পড়লে বাদিকে। এভাবে ভালোই দিন কেটে যাচ্ছিল।
কিন্ত একদিন ঘটলো বিপত্তি। সেদিন একই সাথে দুটি ভোজসভা তাও আবার গ্রামের দুই প্রান্তে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আর মাকড়সার নির্দেশ মত সাথে সাথে দুজনই তখন প্রচন্ড জোরে দড়ি ধরে দুদিকে টানতে শুরু করলো।
মাঝখানে বেচারা মাকড়সার কোমর। সেই প্রচন্ড টানাটানির চোটে মাকড়সার কোমড় এত চিকন হলো যা আমরা এখন দেখে থাকি। আর যা কিনা কোনদিনই আগের মত হলো না। তারপর থেকে সারা দুনিয়ার সব মাকড়সার কোমরই চিকন
আমাদের অবস্থাও বর্তমানে সেই মাকড়সার মত হতে চলেছে ? তবে হলে মন্দ না !! চিকন কোমর কিন্ত সৌন্দর্যের প্রতীক ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।