হিমালয় থেকে সুন্দরবন হঠাৎ বাংলাদেশ
সানি লিওন। একজন ভারতীয় বংশোদ্ভূত কানাডিয়ান পর্ণো অভিনেত্রী।
উইকিপেডিয়া তার সম্পর্কে জানাচ্ছে, এই পর্ণো সিনেমার নায়িকা ২০০৩ সালে ইংল্যান্ড থেকে প্রকাশিত পর্ণো ম্যাগাজিন Penthouse এর বিবেচনায় বছরের সেরা পর্ণো তারকা নির্বাচিত হয়। ২০১০ সালে Maxim নামক আরেক ম্যাগাজিন কর্তৃক বিশ্বের প্রথম সারির ১২ জন পর্ণো অভিনেত্রীর একজন নির্বাচিত হয় । সে ২০১১ সালে ‘বিগ বস’ নামক ভারতীয় রিয়েলিটি শোতে অংশগ্রহণ করে।
রিয়েলিটি শোতে দেখে বলিউডের আলোচিত পরিচালক মহেশ ভাট তার ‘জিসম ২’ সিনেমায় তাকে নায়িকা হিসেবে চুক্তিবদ্ধ করে।
সমালোচকরা বলেন, পর্ণো তারকা হিসেবে সানির প্রতি ভারতীয় পুরুষদের, বিশেষ করে তরুণদের আকর্ষণকে কাজে লাগিয়ে নিজের ছবিকে ব্যবসা সফল করাই ছিলো মহেশ ভাটের উদ্দেশ্য। (মজার ব্যপার হলো, এই ছবির নির্মাতাদের একজন হিসেবে মহেশ ভাটের মেয়েও ছিলো। ) ছবি ব্যবসা সফল না হলেও ভারতীয় তরুণ এবং পুরুষদের কাছে সানির পর্ণো ইমেজের আকর্ষণকে কাজে লাগিয়ে পকেট ভারী করার চেষ্টা থেমে নেই। মহেশ ভাটের পর সানি বলিউডের বেশ কয়েক জন পরিচালকের ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে।
ভারতীয় টিভি আর বিলবোর্ডে বিভিন্ন পণ্যের বিজ্ঞাপণে সানিকে এখন হরহামেশাই দেখা যাচ্ছে।
একজন পর্ণো তারকাকে নিয়ে এত মাতামাতি এবং সমাজে এর প্রভাব নিয়ে সবচেয়ে জুতসই এবং বাস্তব বক্তব্যটি দিয়েছেন আলোচিত নারীবাদী লেখিকা তসলিমা নাসরিন। সানি লিওনের জনপ্রিয়তায় হতাশা প্রকাশ করে এক টুইটার বার্তায় তসলিমা নাসরিন বলেন, “লিওনকে জনপ্রিয় করে তোলার মাধ্যমে নিজেদের মেয়েদেরই আসলে পর্নো তারকা হতে উদ্বুদ্ধ করছে ভারতীয়রা। যখন আপনি একজন পর্নো অভিনেত্রীকে সেলিব্রেটি বানিয়ে তুলছেন, আপনি আসলে আপনার মেয়েকে মহাকাশচারী, প্রকৌশলী বা চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন না দেখিয়ে একজন পর্নো অভিনেত্রী হতে উদ্বুদ্ধ করছেন। ”
ভারতীয়রা তাদের কণ্যা, বোন, মাকে পর্ণো তারকা হতে উদ্বুদ্ধ করছে একজন পর্ণো তারকাকে সিনেমার নায়িকা বানিয়ে, বিজ্ঞাপণের মডেল বানিয়ে।
আর আমরা বাংলাদেশিরা উদ্বুদ্ধ করছি ঈদের বাজারে পর্ণো তারকার নামে পোশাক বিক্রি করে। আমাদের দেশের বালিকারা-কিশোরীরা-তরুণীরা-যুবতীরা আজ সানি লিওন নামের চকোমারি পোশাক পরে হাসি মুখে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আর কাল যদি তারাই সানি লিওনের মত কল-গার্ল হওয়ার স্বপ্ন দেখে, পর্ণো তারকা হওয়ার স্বপ্ন দেখে তখন কি তাদের খুব বেশী দোষ দেয়া উচিত হবে?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।