আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

লুসিফারিন/উপদ্রবকারী পতঙ্গ এবং কবিতা

অন্ধকার; মৃত নাসপাতিটির মতন নীরব'
লুসিফারিন নীলকান্তমনি চুর্ন মাখা আকাশের কপালে সাদা ম্যাগনোলিয়ার বিভা লেপটে গেলে দুধরাজের শ্বেতশুভ্র বুকের জমীনের দীপ্তি ছড়িয়ে পড়ে শ্রাবনের মেঘগুলোতে, প্রলম্বিত হয় কৃষ্ণধূসরতা, মুছে যেতে থাকে সৌরচিত্রের ছাপ । পাহাড়বালিকা চামেলীর চোখের মনির সূর্য স্নান শেষে ধোঁয়াটে ক্ষনগুলোকে গিলে ফেলে মহাকাল । গোধুলীর দিগন্তে হলুদের খেলা শেষে বিজন মনের আকাশে অঝরে ঝরে বৃষ্টিঘ্রানমাখা লালরঙের কৃষ্ণচূড়ার ফিঁকে হয়ে আসা অনুভুতিগুলো । অতপর, প্রাগৈতিহাসিক অন্ধকারের গন্ধভরা কালকেউটের দেহ বেয়ে জলগতিতে নেমে আসে সন্ধ্যা । একটা রাতপাখি জলাধার পেরিয়ে লোকালয়ে এসে কিছুক্ষন জিরিয়ে নেয় ।

কিছু ভীরু নক্ষত্রের আলো চোখ মেলে দুধালো বৃত্তপথে । ছায়াপথ ধরে আমি হেঁটে যাই ক্রমেই নিভে আসা অজশ্র তারার দেশ । এক ফালি চাঁদ মেঘ-মন্থর অন্ধকূপে ক্রমেই চূর্ণীকৃত হতে থাকে, জামিরা আঁধার যৌবনবতী হয় আপন আলোয় জাগতিক ক্লেদের যবনিকাতে । ইদানিং পৃথিবীকে আলোকিত করতে অপারগ হয়ে পড়া চাঁদ কিংবা সুর্যের স্থান দখল নিয়েছে, জোনাকির শরীরের লুসিফারিন । ========== উপদ্রবকারী পতঙ্গ এবং কবিতা কবিতা পাঠকরা পোকা গুলোকে চেটেপুটে খেতে থাকে, শিশির বিন্দু শুকিয়ে আসে গোলাপের মখমল পাঁপড়িতে, পোকা কাটা, কুঁকড়ে যাওয়া গোলাপের ঠোঁটে মৌমাছি খোঁজে বিলুপ্ত কামজ উত্তাপ, কবি তাকে গুটিসুটি মেরে বন্দি করে কবিতার খাতায় ।

কবিতার ড্রয়ারগুলো ছিপি আঁটা বোতলের মত সংরক্ষিত, যদিও কবিতার শস্যাগারে উৎসবে আত্মভূত হয় উপদ্রবকারী পতঙ্গ, গৃহস্থলির পরিচালনায় অপরিতোষ আর অতৃপ্ততার পরিণতি স্পষ্ট । বুক পকেট বিক্ষুব্ধ একবিন্দু জোনাক জোছনা নিয়ে আধাঁর সমুদ্র সেঁচে চলে কবি প্রাণভোমরার খোঁজে, নিঃশ্বাস পাক খেতে খেতে আটকে পড়ে হাঙ্গম্যান্স নটে, আফ্রোদিতির আততায়ী হাসিতে । শৈতপ্রবাহ বেড়ে গেলে ড্রয়ারের অন্ধকার তৈজসে দেশলাই ঠুকে কবি আরোহন করেন বৃক্ষের উচ্চবিভব নির্যাস; ঝলসে যেতে থাকে রাত্রিযামীনিরা যৌবনবতী চাঁদের আলোয় । লৌকিক রীতিতে ডেকে উঠে প্রাপ্তবয়স্ক বুনোকুকুর । === বি দ্রঃ পোষ্টটা গত কাল ভুলবসত ডিলিট করে ফেলেছিলাম! আবার পোষ্ট করার জন্য এক্সট্রিমলি সরি!
 


সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।