একজন সাধারন মানুষের ব্লগ ...। । ।
আজ ২৫-শে মার্চ ...
সকালে নাস্তা সেরে টিভির চ্যানেলগুলো সার্ফ করছিলাম। বিজ্ঞাপণের কল্যানে এখনতো বাংলাদেশের চিভি চ্যানেলগুলো দেখা প্রায় বাদই দিয়ে দিয়েছি।
তার পরেও আর-টিভিতে এসে একটা নাটক (সরি... নাম দেখি নাই) আমাকে কিছক্ষনের জন্য সার্ফিং থেকে বিরত রাখল। নাটকের ঘটনা হল – নায়িকা (সারিকা, বাংলালিংকের এড-য়ে দেশ দেশ দেশ ... করে মাত্রাতিরিক্ত লাফালাফির কারণে পরিচিত) মুক্তিযোদ্ধার মেয়ে এবং নায়ক (চিনিনা, মনে হল আগে দেখি নাই কখোনো) আলবদরের ছেলে। নাটকের ঘটনা পরিচিত, আমরা সবাই জানি – নয়িকার মুক্তিযোদ্ধা বাবাকে নায়কের আলবদর বাবা মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে মেরে ফেলে। এরপর বিরতি ... । নায়িকা এবং নায়ক একই ভার্সিটিতে পড়ে এবং তাদের মধ্যে মনে হয় প্রেমভাবও জন্ম নেয়।
ঘটনার এক পর্য়ায়ে নায়িকা জানতে পারে যে তার “ও” রাজাকার-আলবদরের বাচ্চা। তারপর ... উথালপাথাল ঘৃনা ... তোর বাবার কারণে আমার বাবা মারা গেছে ... ইত্যাদি ইত্যাদি। এর পর নায়কের আত্মগ্লানিতে ভোগা এবং ঠান্ডা মাথায় বাবাকে খুন করা। নাটক শেষ ...
এরকম ঘটনা ঘটতেই পারে ... দোষের কিছু নয়। দোষের হল নায়কের লাইফস্টাইল।
সে লেটেষ্টমোটর বাইক, মোবাইল ফোন হিসেবে নোকিয়া কমিঊনিকেটর ব্যবহার করে। করতেই পারে ... অনেক মুক্তিযোদ্ধার বাচ্চাই এখন এটা করে আর রাজাকারের বাচ্চা হলেতো কোন কথাই নাই। নায়কের বাইক এবং ফোনের মডেল দেখে মনে হল নাটকের ঘটনা ২০০৩-এর পরের। রাজাকারের বাচ্চা ২০০৩ সালে ভাসিটিতে পড়তেই পারে কিন্ত একজন মুক্তিযোদ্ধার বাচ্চা কিভাবে ৩০-৩২ বছরেও ভাসিটি পাস করতে পারেনা মাথায় ঢোকে নাই (অবশ্য সারিকাকে দেখে মনে হয় নাই তার বয়স ৩০/৩২ হইছে)।
আমি মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী প্রজন্মদের মধ্যে একজন।
মুক্তিযুদ্ধের গল্প শুনে হওয়া মুক্তিযোদ্ধাদের আচরন এবং কচলানিতে মুক্তিযুদ্ধ এখন আমার কাছে করলা/চিরতার চেয়েও তিতা লাগে। কথিত মুক্তিযুদ্ধ বা মুক্তিযোদ্ধাদের খাটো করা আমার এই লেখার উদ্দেশ্য নয়। অতিআবেগী মগজহীন কাগুজে মুক্তিযুদ্ধের বাহকদের হাত থেকে মুক্তি পাওয়াটাই আমার চাওয়া।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।