দক্ষিন আমেরিকার এই মাছটি পৃথিবীতে মিঠাপানির মাছের মধ্যে সর্বোবৃহত। ব্রাজিলে একে বলে পিরারুকু ও পেরুতে এটি পাইছে নামে পরিচিত। এদের মধ্যে কোন কোনটির আকার ১০ফুটের বেশি হয় এবং ওজন হয় ২০০কেজির মতো। অবাধে মাছ ধরা এদেরকে হুমকিতে ফেলেছে বিধায় ব্রাজিল ও দঃআমেরিকায় অনেক জায়গায় একে সংরক্ষিত মর্যাদা দেয়া হয়েছে। ফুসফুস থাকাতে এদেরকে বাতাস হতে শ্বাস নিতে হয়,ফলে তারা সহজে শিকার হয়ে যায়।
এরা আমাজন বেসিন ও ততসংলগ্ন হ্রদ জলাভুমিতে ঘুরে বেড়ায়। এদের আছে প্রশস্ত দেহ,মোটা আশঁ যুক্ত আবরন এবং ক্রমশ দেহ থেকে সরু মাথা। একেকবারে এরা ২ঘন্টার মতো পানির নিচে থাকতে পারে। পানির নিচ থেকে এরা শ্বাস বা শিকার ধরার জন্য হঠাত করে ভেসে উঠে। এরা প্রধানত মৎসভোজি,তবুও পানিতে পাখি পড়লে সেটাও খায়।
এরা প্রায় ১৫-২০ বছর বাচেঁ। আরাপাইমার নরম হাড়ের মত একটি জিভ আছে,যা দাতেঁর সাথে শক্ত করে আটকানো। আমাজনের আদীবাসিরা এটি সংগ্রহ করে কোনকিছু ঘষামাজা করার জন্য,তারা এর শক্ত আশঁকে অলংকার হিসেবেও ব্যবহার করে। এদের প্রজনন অনেকটা তেলাপিয়া মাছের মত। পুরুষ আরাপাইমা বাচ্চাদের মুখের ভিতর রাখে,নিরাপদ দেখলেই কেবল বাচ্চাদের বাইরে বিচরন করতে দেয়।
নিচে ছবি দিলাম
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।