আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জামাত-শিবির বহুরুপী সাপ, নিপাত যাক! নিপাত যাক!

বিদায় - পথের নয়, পথিকের... [এই পোষ্ট টি অনেক আগে করেছিলাম, সময়ের প্রয়োজনে এটিকে রিপোষ্ট করলাম, জামাত-শিবিরের স্বরুপ আবার ফুটে উঠুক, বাঙালী তোমার সময় এসেছে জাগার, বাঙালী তোমার সময় এসেছে আবার যুদ্ধে যাবার! ] পোষ্ট শুরুর আগে একটি আই কিউ কুচ্চেন: ১৯৭১ এবং ২০১৩ তে জামাতের কার্যক্রমের সাদৃশ্য কত পারসেন্ট? [পোষ্ট কালঃ ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০০৯] শিবির এমন একটি ছাত্র সংগঠন যারা দাবী করে ইসলাম প্রতিষ্ঠার আল্লাহর দীনকে প্রতিষ্ঠার। অথচ তাদের এই লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য কেবল তাদের চোখ ধাধানো কাজেই সীমাবদ্ধ। মুসলিমের অজ্ঞতাকে তারা কাজে লাগিয়ে ইসলামকে কেবল ঢাল হিসেবে ব্যাবহার করছে, ভূবন-ভোলানোর কথার চেষ্টা চালিয়ে। শিবিরের ইতিহাসে তারা সেই পারফরমেন্সটাকেই চালু রেখেছে। জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের ভূমিকা ঢাকার জন্য নিজেদেরকে বাংলাদেশের অংশ বলে বারবার উচ্চারণ করে তারা নিজেদের রাজনৈতিক অবস্থানের বৈধতা খুঁজছে, অথচ জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশই হলো মুক্তিযুদ্ধের খলনায়ক, পাকিস্তানি হানাদারদের এদেশে অত্যাচার নিপীড়ন চালানোর মূল হোতাই আলবদর, রাজাকার যাদের মূলে ছিল গোলাম আজম, নিজামীদের মতো ও তাদের গং রা, তাদের তখন মূল লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশের ভূমিকে বাঙালী মুক্ত করে উর্দুর পাকিস্তান বানানো, সেখানে তারা মূল হাতিয়ার হিসেবে নিয়েছে ইসলামকে আর পাকিস্তান তাদের দেশ সে হিসেবে।

অথচ মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহন করেছিল সর্বস্তরের জনগন সেই সর্বস্তরের জনগনের ভিতর জামায়াতে ইসলামী কখনোই জড়িত ছিলনা, তারা বাংলাদেশ নামে কোন রাষ্ট্র হবে এটা চায় নি, এমনকি নিশ্চিত ছিল এই জনগনের পক্ষে এ যুদ্ধে(যেটাকে তারা গৃহ যুদ্ধ বলে চালিয়ে দিতে চায়) জেতা সম্ভব নয়, তাই তারা প্রবল প্রতাপে শুরু করে নিজের ইচ্ছা মাফিক আচরন, যখন যেমন খুশি, তখন তাদের মাঝে আর সেই ইসলামী মুল্যবোধ থাকল না, তারা হয়ে গেল হায়েনাদের পা চাটা গোলাম, নিরীহ মানুষকে তুলে দিতে লাগলো তাদের হাতে, মা-বোনদের তুলে দিতে লাগলো হায়েনাদের খাবার হিসেবে তখন তাদের সেই ইসলামী মূল্যবোধ থাকল না তখন তাদের ছিল ক্ষমতার লোভ,যেহেতু তারা নিশ্চিত ছিল এই ভু-খন্ড পাকিস্তানের হবে এবং পাকিস্তানের পক্ষে তারাই এ অংশের দায়িত্ব নিবে এই আশায় তারা পুর্ণ উদ্যোমে লেগে গেল বাংলাদেশী নিধনে। এই সব বর্ণনা আমরা সবাই জানি, তবু জামায়াতে ইসলামী আজ বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে টিকে আছে!! তারা দেখাতে চাচ্ছে তারা কত সফল এই দেশের টাকায় ব্যাংক, টিভি চ্যানেল চালিয়ে তারা আজ দেশের অংশীদারী কিনে নিচ্ছে এমনটাই বোঝাতে চাইছে। আজ তারা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার বুলি আওড়াচ্ছে যে দেশের সার্বভৌমত্ব তারা ধুলিস্যাত করতে চেয়েছে তার সার্বভৌমত্বের নীতিতেই আজ তারা নিজের বা-ডান উভয় হাত গলিয়ে বসে আছে, আর আমরা সেই সাধারন জনগন যাদের ভোটে প্রতিনিধি নির্বাচিত হয় বসে বসে আঙ্গুল চুষছি। জামায়াতে ইসলামী, বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরে আরেকটি উদ্যোগে নামে তা হলো ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র শিবির প্রতিষ্ঠা। এটি অংগ সংগঠন এটা সবারই জানা, তরুন প্রজন্মকে ইসলামের পথে আনার কথা বলে, রক্তের উন্মাদনা কাজে লাগিয়ে, নিজেদের স্বার্থের জন্য যতটুকু দরকার ঠিক ততটুকু হাদীস কুরআনের আয়াত নিজের মতো বুঝিয়ে তারা তাদের কর্মী, সাথী তে রুপান্তরিত করে নিচ্ছে অথচ যে ইসলামের পথে আসার আহবানে তারা এই মানুষদের আহবান জানাচ্ছে, পরবর্তীতে তাদের ভূমিকা ঘুরিয়ে নিচ্ছে রাজনৈতিক অঙ্গনে যেখানে ইসলামকে তারা জীবন দর্শন হিসেবে না নিয়ে ব্যাবহার করছে রাজনৈতিক সংগঠনের ঢাল হিসেবে, এবং এই ঢালই সাধারন জনগনকে তাদের বিপক্ষে অবস্থানের বিরুদ্ধে সাহায্য করছে।

শিবিরের ছাত্র সংগঠনটি কেবল আনুষ্ঠানিকতায় সীমাবদ্ধ থেকে রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রবেশ করাচ্ছে সুক্ষ পরিকল্পনার মাধ্যমে কোমলমতি শিশুদের, তারা মেধাবি মুখ গুলিকে তাদের মূল টার্গেট করে নিয়ে তাদেরকে দিয়েই সংগঠনকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, তাদের প্রশ্ন করলে এই মেধাবীদেরই শো-ডাউন করছে নিজেদের সম্পদ হিসেবে দেখিয়ে। ইসলামের জন্য ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য শিবিরের ভূমিকা অতি নগন্যই, বরং এর থেকেও রাজনৈতিক অঙ্গনে তাদের ভূমিকার প্রকটতা চোখে পড়ার মতো, এ থেকেই স্পষ্টই বোঝা যায় তারা ইসলামকে ঢাল হিসেবেই ব্যাবহার করছে, ফিলিস্তিনে, আফগানিস্তানে, ইরাকে মুসলিম গনহত্যার কোন হা হুতাশ তাদের নেই তাদের চোটপাট কেবল বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট কে নিয়ে, তাদের এ সব ভূমিকা থেকে আরো বেশি স্পষ্ট হওয়া যায় যে তারা কতটা সুবিধাবাদী গোষ্ঠী। যে হায়েনার উল্লাসে তারা উল্লসিত ছিল যে ক্ষমতার লোভে তারা উচ্ছসিত হয়ে এদেশের মানুষকে বিপদে ঠেলে দিয়েছে আজ স্বাধীনতা অর্জনের এত কাল পরেও সে লোভ তাদের এখনও দগদগে রয়ে গেছে, যে কারনে তারা একদিকে বলছে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ১৯৭১ সালে যে যুদ্ধ হয়েছিল সেখানে তাদের ভূমিকা ছিল দেশ রক্ষা করার, কারন পাকিস্তান তখন ছিল মুলত একটি দেশ, অপরদিকে তারা বলতে চাইছে তারা বাংলাদেশের একটি অংশ! কথা দুটি পুরোটাই সাংঘর্ষিক, একটি দেশের স্বাধীনতার বিপরীতে অবস্থান করে পরবর্তীতে স্বাধীনতার অংশ বলে দাবী করা কতটা সুবিধাবাদী, লোলুপ চেতনা থেকে আসতে পারে তা সহজেই বোধগম্য। যদি তারা বলে থাকে এদেশের ১৯৭১ এর যুদ্ধে তাদের ভূমিকা সঠিক ছিল তাহলে তাদের নিজেদের যুদ্ধাপরাধী বলে স্বীকার করে নিতে হবে কারন তাদের মতে মুক্তিযোদ্ধারা তখন দেশদ্রোহী ছিল, যদি মুক্তিযোদ্ধারা তাদের কাছে তখন দেশদ্রোহী থাকে তাহলে এখন মুক্তিযোদ্ধারা তাদের কাছে কি? নাকি স্বাধীনতার পর মুক্তিযোদ্ধাদের ভূমিকা পাল্টে গেছে, স্বাধীনতার পূর্ব ও পরে মুক্তিযোদ্ধাদের ভূমিকা একই ছিল দেশের জন্য স্বাধীনতা বরং জামায়াতে ইসলামী, শিবির, রাজাকারদের ভূমিকা পাল্টে গেছে। তারা নিজেদের বাংলাদেশের অংশ বলে দাবী করে কোন বিচারে? দেশের মানুষ আমরা আজও চোখ বন্ধ করেই বসে আছি।

যুদ্ধপরাধীদের বিচারের প্রশ্ন এখন কেবল রাজনৈতিক চাল বলেই মনে হয়, না হলে নিজামী, আজম গংরা এতটা ঔদ্ধত্য প্রদর্শন করে কেমন করে এই স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশে, যাকে ধুলিস্যাত করার জন্য এরাই সবচেয়ে বেশি তৎপর ছিল। স্বাধীনতা প্রাপ্তির ৩৮ টি বিজয় দিবস পালন করেও বিজয়ের মাসেই শুনতে হয়, জামায়াতে ইসলামী, শিবির এরা বাংলাদেশের অংশ!! আর কতদিন আমরা চোখ বন্ধ করে থাকব, নিজেদের ধুলিস্যাত প্রাপ্তির অপেক্ষায় কি আমরা আছি?? জামায়াত-শিবিরের ভন্ডামির কিছু লিংকঃ ভাবছি এখন থেকে জামায়াট-শিবিরের ভন্ডামির মুখোশ খোলার জন্য যেখানে যেমন লিংক পাবো এই পোষ্টে আপডেট করবো। আপনারাও আমাকে সাহায্য করতে পারেন লিংক দিয়ে। ১। http://mjalam.amarblog.com//posts/95102/ ২।

Click This Link ৩। তারা মুক্তিযোদ্ধাদের ভারতীয় এজেন্ট বলেছিল। ৪। শান্তি কমিটি গঠন ৫। জামায়েতের নেতা মেজর জেনারেল ওমরাও খান পাকিস্তানের শত্রুদের (মুক্তিকামী জনগণকে) ধরিয়ে দিতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞা ব্যক্ত করেন।

৬. জামাতের নেতা মওলানা ইউসুফ খুলনার শাহজাহান আলী রোডে অবস্থিত আনসার ক্যাম্পে ৯৬ জন জামাত কর্মী নিয়ে প্রথম রাজাকার বাহিনী গড়ে তোলেন। ৭. জামায়াতের ততকালীন আমির মওদুদী বলেছেন পাকিস্তানী বাহিনীর হস্তক্ষেপ যৌক্তিক। ৮. জামাত সাধারণ সম্পাদক আব্দুল খালেকের আহ্বান- গ্রামে গ্রামে রক্ষীদল গঠন করুন। ৯. সামরিক আইনে রাজাকারদের যে কোন লোককে গ্রেফতার করার ক্ষমতা প্রদান করায় জনগণের উপর তাদের অত্যাচার বৃদ্ধি হয়। ১০. পাক সেনারা আমাদের ভাই, তারা জেহাদী চেতনায় উজ্জীবিত – মতিউর রহমান নিজামী।

১১. পাকিস্তান অখন্ডতা ও সংহতি সংরক্ষণ এ্যাকশন কমিটি গঠন – দৈনিক সংগ্রাম ৯ই আগস্ট, ১৯৭১ । ১২. তথাকথিত বাংলাদেশ আন্দোলনের সমর্থকরা ইসলাম, পাকিস্তান ও মুসলমানদের দুশমন – গোলাম আযম ১৩. জামাতের একজন সদস্যও পূর্ব পাকিস্তানে বাংলাদেশ আন্দোলনে নিজেদের কোন ক্রমেই জড়িত করেনি – মওলানা আব্দুর রহিম – দৈনিক সংগ্রাম ১৪. ছাত্রসংঘ কর্মীরা পাকিস্তানের প্রতি ইঞ্চি জায়গা রক্ষা করবে – মতিউর রহমান নিজামী ১৫. জামাতে ইসলামী নিরলসভাবে শান্তি কমিটির সাথে কাজ করে যাচ্ছে – গোলাম আজম ১৬. আল বদর বাহিনীর অভিযান: ৪০ মুক্তিযোদ্ধা গ্রেফতার- দৈনিক সংগ্রাম ১৭. বুদ্ধিজীবি ও মুক্তিযোদ্ধাদের ব্যাপারে আব্বাস আলী খান বলেন এদের নির্মূল করার ব্যপারে শান্তি বাহিনী ও সেনা বাহিনীকে সহায়তা করুন বিবেক আপনার কাছে, ধর্ম মানবতার জন্যে এসেছে, ধর্মের নামে বানিজ্যের বাজারে নিজের বিবেককে বিকিয়ে দিচ্ছেন নাতো? ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।