এখনো গেলনা আঁধার............... সারা দেশ জুড়ে বাকশালী গনহত্যার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে পাড়ায় পাড়ায় ‘শান্তি কমিটি’ গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে বৃহত্তর জামায়াতে ইসলামীর বিএনপি শাখা।
আজ এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষনা দেন বৃহত্তর জামায়াতে ইসলামীর বিএনপি শাখার নায়েবে আমীর গৃহবন্দী রুহুল কবীর রিজভী।
বৃহত্তর জামায়াতে ইসলামের শান্তি সম্মেলন
রিজভী বলেন, সারা দেশে আজ চলছে ইতিহাসের বৃহত্তম গনহত্যা। বাকশালী সরকারের পুলিশ রেব বিডিয়ার পাখির মত গুলি করে মানুষ মারছে। মন্দিরে আগুন দিয়ে বাড়ি ফিরে দু মুঠ ভাত খাওয়ার স্বপ্ন চোখে নিয়ে পাটক্ষেতে লাশ হয়ে পড়ে যাচ্ছে তরুন শিবির কর্মী।
রেল লাইন উপড়ানর হাড় ভাঙ্গা খাটুনির পর একটু পানি মুখে দেওয়ার আগে গুলিতে ঝাঝরা হয়ে যাচ্ছে জামাতের কর্মী। ট্রাকে আগুন দেওয়ার গনতান্ত্রিক অধিকার চর্চা করতে গিয়ে ট্রাক চাপা পড়ে মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়ছে শিবির সভাপতি। হিন্দু নারী ধর্ষনের জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে গ্রেফতার হচ্ছে বৃহত্তর জামায়াতের সকল শাখার কর্মীরা।
আবেগঘন কণ্ঠে রিজভী বলেন, আর কত সহ্য করব আমরা? গনতন্ত্রের পথে আর কত বিঘ্ন ঘটাতে চায় বাকশালী সরকার?
অশ্রু মুছে রুহুল কবীর রিজভী বলেন, যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই। শান্তিতে কালী মন্দির চুর্ন বিচুর্ন করতে চাই।
শান্তিতে হিন্দু নারীদের বেইজ্জত করতে চাই। শান্তিতে নাস্তিক জবাই করতে চাই। তাই পাড়ায় পাড়ায় শান্তি কমিটি গঠিত হবে।
নয়া পল্টনে বৃহত্তর জামায়াতে ইসলামীর বিএনপি শাখার কার্যালয়ের সামনের রাস্তায় ককটেল ফাটিয়ে নয়া পল্টন শান্তি কমিটি উদ্বোধন করেন রুহুল কবীর রিজভী।
এ কমিটিতে কারা আছেন এমন প্রশ্নের জবাবে রিজভী একটি প্রাচীন হলদে কাগজ পকেট থেকে বের করে কমিটি সদস্যদের নাম ঘোষনা করেন।
বিএনপি শাখা মনোনীত প্রথম শান্তি কমিটির সদস্যরা হলেন, সৈয়দ খাজা খায়েরুদ্দিন, এ কিউ এম শফিকুল ইসলাম, গোলাম আযম, মাহমুদ আলী, আব্দুল জব্বার খদ্দর, মওলানা সিদ্দিক আহমদ, আবুল কাশেম, মোহন মিয়া, মওলানা সৈয়দ মোহাম্মদ মাসুম, আব্দুল মতিন, অধ্যাপক গোলাম সারোয়ার, ব্যারিস্টার আফতাব উদ্দিন, পীর মোহসেন উদ্দিন, এএসএম সোলায়মান, এ. কে রফিকুল হোসেন, জনাব নুরুজ্জামান, আতাউল হক খান, তোরাহা বিন হাবিব, মেজর (অবঃ) আফসার উদ্দিন, দেওয়ান ওয়ারাসাত আলী, এবং হাকিম ইরতেজাউর রহমান খান।
এ বেপারে রুহুল কবীর রিজভীর বড় ভাই ও প্রধান মন্ত্রীর উপদেষ্টা গওহর রিজভীর সংগে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, রুহুইল্লা ছুটকাল হতেই শান্তি কমিটি গঠন করে অভ্যস্ত। ছুটকালে তার গঠিত একাধিক শান্তি কমিটির হামলায় আমি উপর্যুপরি আহত হতাম। আমার সব ভাল জামা জুতা লুঙ্গি সে শান্তি কমিটির সদস্যদের নিয়ে লুটপাট করেছে। আমি তার নামে এমন মামলা দিব যে বাকি জীবন তাকে গ্রেফতারের ভয়ে বিএনপি কার্যালয়ের ভিতরে কাটাতে হবে।
সালা ঘোচু। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।