Passion spills Into my sea. Enter in And come with me. The Survival of the fittest…..যোগ্যতমই টিকে থাকবে…অর্থাৎ গুনে মানে সব দিক থেকে যারা উৎকৃষ্ট তারায় টিকে থাকে। কথাটি যদি ব্যক্তি বা গোত্র বা সঙ্ঘ বিশেষের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয় তাহলে ? অর্থাৎ আমি বা আমরা গুনে মানে শক্তিতে ক্ষমতায় সেরা তাই শুধু আমরায় টিকে থাকব অথবা তুমি বা তোমরা নিচু নিকৃষ্ট জঘন্য পশুবত, তোমরা টিকে থাক কি ভাবে? আজকের এই পৃথিবীতে টিকিয়া থাকা মানুষের সার্বজনীন অধিকার তা না হলে অক্ষম যে মানুষ গুল যাদেরকে বলা হয় প্রতিবন্ধী তাদের জন্য তো এতটুকু চেষ্টার অভাব হয় না। তারা আমাদের সন্তান,আমাদের ভাই বা বোন,আমাদেরই কোন আত্মীয় বা বন্ধু। তাদের অসহায়ত্ব আমাদের মননশীলতাকে ক্রিয়াশীল করে তোলে। এমন কি প্রধানমন্ত্রী কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুলেরও ।
আর যে ক্ষেত্রে কোন সক্ষম ব্যক্তি গোষ্ঠী বা সঙ্ঘকে রুঢ় , অর্বাচীন, ধ্বংসাত্মক, নৈতিকতাবিহীন, দেশপ্রেমবিহীন বিরুদ্ধ মতবাদীর আখ্যায় বিশেষায়িত করে তাদেরকে বিচ্ছিন্ন করে নিষ্পেষিত ও নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা করা হয় সে ক্ষেত্রে ? আজকে আবেগ ঘন দেশপ্রেমের বুলি ঝরিয়ে ভিন্ন মতবাদের রাজনৈতিক দল বা দল সমুহকে ইচ্ছামত গালিগালাজ করে তাদের চরিত্র হনন করে নিশ্চিহ্ন করে দেবার চেষ্টা চলছে এটা করার আগে দেখা দরকার নিজেদের চারিত্রিক শুদ্ধতা,দেশপ্রেম ও নৈতিকতার ভিত্তি কত খানি মজবুত? টিকে থাকা মানে শুধু প্রাণে বেঁচে থাকা নয় এর মাধ্যমে আমরা বহন করছি আমাদের সভ্যতা আর সংস্কৃতি। বিভিন্ন পথ বিভিন্ন মত মিলেমিশে একাকার হয়ে আজ আমরা এইখানে দারিয়ে। ধ্বংস নয় রূপান্তর আর পরস্পরিক মিথস্ক্রিয়াই মানব সভ্যতার অগ্রযাত্রার সব চাইতে বর নিয়ামক হিসেবে বিবেচিত। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় বিভাজন নয় ঐক্য আর সম্প্রীতি থেকেয় সুন্দরের সৃষ্টি। আলেকজান্ডার দা গ্রেট ভারতভুমিতে টক্করের একজনকেয় পেয়েছিলেন আর তিনি হলেন পুরু রাজ, যুদ্ধে জয় লাভ করলেন কিন্তু পুরু রাজের বীরত্বে মুগ্ধ আলেকজান্ডার তার সাথে বন্ধুত্ব স্থাপন করলেন আর অন্যদিকে মগধের উচ্চাকাঙ্ক্ষী সেনাপতি চন্দ্রগুপ্ত যে কিনা নিজের রাজ্য আক্রমনে প্ররচনা দিতে আসলেন তাকে করলেন বন্দী।
তিনি স্থানীয় দের সাথে বৈবাহিক সম্পর্কের মাধ্যমে একটি সম্প্রীতির পরিবেশ সৃষ্টি করার প্রয়াস চালিয়েছিলেন। সাম্রাজ্য আর ক্ষমতার মোহে মত্ত অশোক কলিঙ্গ আক্রমণ করেছিলেন কিন্তু রক্তস্নাত যুদ্ধের ভয়াবহতায় বিহব্বল জয়ী সম্রাট শেষে নিজেকে আর পুত্র কন্যাদের শান্তির পথে চালিত করে ভারত ভুমীতে অসাধারন এক যুগের সূচনা করেছিলেন। মুঘল শাসকরাও পারস্পারিক সম্প্রীতির ভিত্তিতে ভারতের ঐক্যকে ধরে রাখতে সচেষ্ট ছিলেন। এখন এমন মনে করা যেতে পারে আমাদের দেশের রাজনীতিবিদদের মধ্যেও পারস্পারিক সম্প্রীতির সদ্ভাব বিরাজ করছে। আদর্শ নিয়ে বিরধ থাকলেও নিজেদের সন্তান সন্ততির মধ্যে বৈবাহিক সম্পর্কের মাধ্যমে আত্মীয়তার বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে একটি হৃদ্যতা পূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি করতে চান এমনকি মুক্তিবাহীনির নেতা নেত্রীর পুত্র কন্যা বা নাতি নাতনির সাথে রাজাকারের পুত্র কন্যা বা নাতি নাতনির বিয়ের মাধ্যমে একটি শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত করে দেশের বুকে একটি নজির তৈরি করতে চান।
যদি জাতির ভালোর জন্যয় এমন করে থাকেন তাহলে নাহয় ভাবা যেত কিন্তু এই সম্পর্কের কথা প্রকাষ্যে আলোচিত হোক তারা তা চান না বা উঠে আসলে বিব্রত বোধ করেন। যারা তা করেছেন সম্পূর্ণ নিজেদের স্বার্থের আর নিজেদের সুবিধার জন্যয় করেছেন। এখন দেখা যাক ইংরেজ devid and rull আমাদেরকে কি দিল ? আধুনিক শিক্ষা পাশাপাশি পারস্পারিক হিংসা বিদ্বেষ অবিশ্বাস আর শোষণের নানাবিধ ফরমুলা। এই ধারায় চলতে চলতে আমরা পেলাম পাকিস্তান আর ভারত আর ২৪ বছর দ্বন্দ্ব সঙ্ঘাতে আর বঞ্ছনায় কাটিয়ে রক্তস্নাত যুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশ। তারপর কেটে গেল ৪২ টা বছর।
এখন কোন খানে আমরা দাড়িয়ে ? উভয় সংকীর্ণমনা জাতি ভারতী আর পাকিস্তানিদের চাইতে অনেক বেশী সুখি থাকার কথা আমাদের। অথচ আমরা ? একটা প্রশ্ন ঘুরপাক খায় মনে,একই ভাষাভাষীর সংখ্যা গরিষ্ঠ জাতির এই দেশে আজো আমরা কেন একতবদ্ধ হতে পারছি না নাকি আমাদের এক হয়ে উঠতে দেওয়া হচ্ছে না ? ৪২ বছর চলে গেল এখনও আমাদের জাতীয়তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এই জাতীয়তার কারণেই এক সময় পাহাড়ে রক্ত ঝরে ছিল ইদানিং আবার নতুন করে এই প্রস্ন উত্থাপিত হচ্ছে। হিন্দু মুসলিম খ্রিষ্টান বৌদ্ধ পাহাড়ী সবায় মিলেমিশে বাংলাদেশী এটায় তো সর্বজনীন ও সুন্দর। কিন্তু আমার সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে আমার বাঙালী জাতিসত্তার আস্ফালন ঘটিয়ে এদেশের অন্য জাতিসত্তার মানুষের মনে হীনমন্যতার প্রবেশ করাব কেন ? ৭১এ এর প্রয়োজন পরেছিল আমার স্বাধীন স্বত্বার বিকাশে কিন্তু এখন আমি স্বাধীন এখন আমার এই বিভাজনের রেখা টানতে হবে কোথায় কিসের স্বার্থে? বাঙালী সহজসরল, উদার, আবেগি অতিথিপরায়ণ আবার এই বাঙালীয় সময়ে বিদ্রোহী।
বাঙালীর ওপর জোর করে কিছু চাপান যায় না। পাকিস্তানের সময় রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় বাঙালীকে দিয়ে উর্দুর চর্চা করানোর বিফল চেষ্টা হয়েছিল কিন্তু এখন এই সময়ে দেশের ঘরে ঘরে সাদরে প্রবেশ করেছে হিন্দি আর ভারতীয় বাংলা টিভির যাবতীয় অনুষ্ঠান আর সিনেমা, কিছু শিশুরা ঘরে স্কুলে হিন্দিতে কথা বলছে, শাদীবিয়েতেয় হোক আর পাড়া মহল্লার অনুষ্ঠানে হোক বা অন্যকোন গানবাজনার অনুষ্ঠানই হোক হিন্দি গানের সাথে সমানে চলছে নর্তন কুর্দন। ভারতীয় শিল্পীরা আসেন বাধ ভাঙ্গা জোয়ারের মত বাঙ্গালী আছড়ে পরে। কেউ কেউ বলতে পারেন পাকিস্তানিরা যা পারে নাই সে ক্ষেত্রে আপনা থেকেয় ভারতীয় সংস্কৃতির সফল প্রয়গ ঘটানো গেছে এদেশবাসির মধ্যে এবং এই সাংস্কৃতিক প্রভাব তার সাথে রাজনৈতিক যোগসূত্র ইত্যাদি….. সেটি এখানে নয় অন্য এক আলচনা। বাঙ্গালীর সম্পর্কে আসলে কোন পূর্ব ধারনা প্রষন করা কঠিন বাঙ্গালী যদি শিলা কি জাওয়ানিতেও মসগুল থাকে তারপরও শুক্রবারে তাকে পাওয়া যাবে জুম্মার নামাজে।
জাতির সব চাইতে আবেগঘন বিষয়টি নিয়ে রাজনীতি শুরু করেছে সরকার, সমালোচনা করলেয় বলা হচ্ছে রাজাকারের দোসর না হয় নব্যরাজাকার। অথচ এই বিচারের প্রক্রিয়ায় নানা অনিয়ম অবহেলা ছিল তা খোদ সরকারের এম পি গোলাম মউলা রনি পত্রিকায় প্রকাশ করেছেন। রায় নিয়ে আপডেট আসছে এখন সব পত্রিকায়। আর ধর্ম রাজনীতি ও জনগণ এই নিয়ে সুস্পষ্ট বিভেদ সৃষ্টির পায়তারা হচ্ছে , একটি স্বাধীন দেশে লোকজনকে উস্কে দিয়ে গুলি করে মেরে প্রতিপক্ষ তৈরি করা হচ্ছে কিসের স্বার্থে?........ক্ষমতায় টিকে থাকা ? ক্ষমতার মালিক উপরে আল্লাহ বা ঈশ্বর আর জমিনে জনগণ নরনারায়ণ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।