আমি নাই।
কোকাকোলা ও পেপসিকে রঙিন করতে ব্যবহৃত উপাদানে ক্যান্সারের ঝুঁকি রয়েছে। এ কারণে এ উপাদানের ব্যবহার পানীয়সহ অন্যান্য খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন বন্ধ করা উচিত। ওয়াশিংটন ভিত্তিক স্বাস্থ্যবিষয়ক প্রভাবশালী লবি গ্রুপ সেন্টার ফর সাইন্স ইন দ্যা পাবলিক ইন্টারেস্ট (সিএসপিআই) সম্প্রতি এ দাবী করেছে। গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক মাইকেল এফ জ্যাকবসন যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ড্রাগবিষয়ক প্রশাসন বরাবর এ ব্যাপারে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আবেদন করেছেন।
সিএসপিআই দাবি করেন, কোকাকোলা, পেপসিসহ অন্যান্য খাদ্যদ্রব্য প্রস্তুত করতে ব্যবহৃত কৃত্রিম বাদামি রং তৈরীর উপাদান ( ক্যারামেল কালারিং) ব্যবহৃত হয়।
এর ২টি রাসায়নিক পদার্থ টু-এমআই ও ফোর- এমআই- এর ফলে ক্যান্সার হয়। কোকাকোলার ৫টি পণ্যে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ফোর-এমআই পাওয়া গেছে। এতে হাজার হাজার মানুষের ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় বিষবিদ্যা বিষয়ক প্রকল্পের (এনটিপি) অধীনে পরিচালিত গবেষনায় ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা বলেন, টু-এমআই ও ফোর-এমআই প্রাণীর শরীরে ক্যান্সার তৈরি করে।
এর সপক্ষে স্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া গেছে। গবেষনাগারে এই
২টি রাসয়নিক পদার্থের বিক্রিয়ায় ইদুরের ফুসফুস ও যকৃতে ক্যান্সার অথবা থাইরয়েড ক্যান্সার অথবা লিউকেমিয়া হওয়ার কারণ হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে।
জ্যাকবসন বলেন, খাদ্যদ্রব্য প্রস্তুত করতে ক্যারামেল কালারিংয়ের কোনো
স্থান নেই। এগুলো বিশেষভাবে কেবল প্রসাধন তৈরীতে ব্যবহৃত হতে পারে। সিএসপিআই ৪ ধরনের ক্যারামেল কালারিং পেয়েছে।
এদের ২টি তৈরী হয় আ্যামোনিয়া থেকে। এ ২টি ক্যারামেল কালারিং কে নিষিদ্ধের পক্ষে সিএসপিআই। এনটিপির ৫জন নামকরা ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ এতে সমর্থন জানিয়েছেন। সূত্রঃ ডেইলি মেইল ।
এরকম আরো যত পানীয় খাদ্যদ্রব্য বর্তমানে বাংলাদেশে রয়েছে তাতেও কিন্তু ভয়াবহ রোগের আশংকা বিদ্যমান।
যেমন, পানীয় টাইগার, আরচি ও সেভেনআপ ইত্যাদি। কারণ, এ ব্যাপারেও তো আমরা অজ্ঞ। জানি না কোন উপাদান থেকে উৎপাদিত। তাই আমাদের জীবন বাচাতে হলে এ সমস্ত পানীয় দ্রব্যাদি পান করার পূর্বে জানতে হবে। বুঝতে হবে এবং অন্যকে বুঝাতে হবে।
আজকাল উঠতি বয়সী যুবকরা যা কিছুই বাজারজাত হয়, তাই ফ্যাশন হিসাবে এই সমস্ত পানীয় দ্রব্যাদি না জেনে, না বুঝে পান করতে উঠে পরে লাগে। তারা জানতে চায় না, চায় না বুঝতে।
তারা তাদের জীবন ঝুঁকিতে ফেলতেও দ্বিধাবোধ করে না। মনে করে এটাই জীবন, এটাই জীবনের ফ্যাশন। হালাল-হারাম তো দূরের কথা, কেউ কি কোনদিন চিন্তা করেছে যে, এই সমস্ত পানীয় দ্রব্যাদি কে উৎপাদন করে, কোত্থেকে উৎপাদিত হয়? আসলে আধিক্যের দিক দিয়ে এই সমস্ত জিনিসে হারাম যেমন তেমন এমন কিছু মিশ্রন করে যা জীবনের ঝুঁকিই বেশীর ভাগ সম্ভাবনা ।
এজন্যই মানুষ বেশীর ভাগ রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।