মেঘ দেখে তোরা কেও করিস নে ভয়, আড়ালে তার সূর্য হাসে।
অনেক কষ্ট, হাহাকার আর হতাশা নিয়ে এই লিখাটা লিখতে বসছি। বাংলাদেশ ক্রিকেট দল এই মাত্র west indies এর কাছে লজ্জাজনক ভাবে হেরে গেসে। বাংলাদেশ দলের হয়ে কোন সাফাই আমি গাইব না। গাওয়ার মত কিছু আসলেই নাই।
তবে আমার ক্রিকেট প্রেমি বন্ধুদের উদ্দেশে আমি আজ দুটি কথা বলতে চাই।
বিশ্বকাপ এই প্রথমবারের মত আমাদের দেশে এ হচ্ছে, উৎসাহের কোন কমতি নেই। ছেলে বুড়া থেকে শুরু করে ফকির মিসকিন রাও আছে উৎসবের আমেজে। বাঙালি এই প্রথম পৃথিবীর সামনে নিজেদের প্রকাশ করার সুযোগ এলো আমাদের। কেও তা হাতছাড়া করতে চায় না।
সবাই একযোগে একসাথে মিলেমিশে ঢাকাকে পরিষ্কার রাখার প্রানবন্ত চেষ্টা করছে। একটা উধাহরন দেই। আমার এক বন্ধু আছে যে কিনা শিকল ধূমপায়ী (chain smoker). সবসময় তার কাছে ২টা goldleaf এর প্যাকেট তার প্যান্টের ২ই পকেট এ থাকে। এবং সে রাস্তাঘাটে, বাসে, ছিএঞ্জিতে, মাঠে ময়দানে, বাথরুমে ঃ সোজা কথা সব জায়গায় সে বিড়ির উপর আছে। কিন্তু এই বিশ্বকাপ আসার পরথেকেই তার মধ্যে বিরাট এক পরিবর্তন।
না না ভাববেন না যে সে বিড়ি খাওয়া ছেরে দিসে, বরং এখন তার কাছে ২ তার বদলে goldleaf এর ৩তা প্যাকেট থাকে। মজার ব্যাপার হোল তার ৩ নাম্বার প্যাকেট টাতে কোন বিড়ি থাকে না, ওইটা তে থাকে বিড়ির পশ্ছাতদেশ, অর্থাৎ Astray. এখন সে আর যেখানে সেখানে বিড়ির গোরা ছুরে ফেলে না। তার মত আরও অনেকেই আছে। সবাই প্রশংসার দাবীদার। তারমানে চাইলেই আমারা আমাদের ঢাকা কে পরিষ্কার পরিচ্ছন রাখতে পারি।
জাতিগত ভাবে আমরা নোংরা নই।
কিন্তু জাতিগত ভাবে যে আমার হুজুগে তাতে আমার কোনই সন্দেহ নাই। নাহলে মাঠে ৬ wicket পরে যাবার পরও কেন মাত্র ১রান নিলে সবাই এমন চিৎকার করে উঠে? আর একটা ব্যাখ্যা অবশ্য আমার অনুরবর মস্তিস্ক থেকে বের হয়েছে। সেটা হল যখন এক রান হয় তখন মাঠের মধ্যে থাকা বাচ্চা, অ্যান্টিরা ( যাহারা ক্রিকেট খুউব ই কম বুঝেন) এবং একজাতীয় পুরুষ বিকট হা করে ফুসফুসের সব শক্তি দিয়ে গগনবিদারী চীৎকার দেয়। সাথে যোগ দেয় গুজুগে বাঙালি।
আমি মনে করি যখন আমরা দর্শকরা matured হবো, আমাদের খেলোয়াড় দের স্নায়ুর উপর চাপ তত কম পরবে। সুধু সুধু বাড়তি চাপ দিয়ে লাভ কি? আর খেলার পরপরই লক্ষ করলাম অনেকেই কুউব খেপে গেছেন, গালিগালাজ করছেন ক্রিকেটার দের। কিন্তু একবার চিন্তা করুন সবথেকে বেশি কষ্ট কি তারা নিজেরাই পাচ্ছে না? এই সৃতি কি তাদেরকে দুঃস্বপ্নের মত তারা করবে না? কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা দিয়ে কি লাভ? আমার বিশ্বাস একদিন আমাদের খেলোয়াড় রা একদিন না একদিন ঠিকই বিশ্ব জয় করবে। যে জাতি হাজার বছর ধরে অন্যায় আর অত্যাচারের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছে সে তো এত সহজে হার মানবে না। একদিন নতুন সূর্য উঠবেই, নতুন ভোর হবেই, হতেই হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।