দ্য কাপালিক ইজ ব্যাক
ড. ইউনুসের বিষয়ে অভিযোগ আসার পরপরই আওয়ামীলীগ সভানেত্রী তাকে 'গরীবের রক্তশোষা' এবং 'যথাযথ তদন্ত করা হবে' বলে যে বক্তব্য দিয়েছিলেন, তখনই বোঝা গেছে ড. ইউনুসের উপর তার ব্যক্তিগত আক্রোশ কতটুকু। একজন প্রধানমন্ত্রী হয়েও দেশের এতবড় সম্মানিত ব্যক্তির সম্বন্ধে কোন অভিযোগ প্রমান ছাড়া এ ধরনের উক্তি তার উপর কতটুকু আক্রোশ থাকলে করা সম্ভব! এর পর থেকে শুরু হয়েছে তাকে হয়রানি করা। দলীয় পাতি নেতাদের দিয়ে মামলা করিয়ে তাঁকে মফস্বলের আদালতে স্বশরীরে হাজির করা। সর্বশেষ তাঁর নিজের গড়া প্রতিষ্ঠান থেকে তাঁকে বয়সের অযুহাতে অব্যাহতি প্রদান!
শেখ হাসিনা নাকি তাকে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ মনে করে, তাই এই আক্রোশ। কিন্তু এই আক্রোশ কি দমিয়ে রাখতে পারবে একজন মহতী মানুষকে? ড. ইউনুস যদি রাজনীতিতে আসে, সেটা করার পূর্ণ অধিকার তাঁর আছে।
এবং আছে যোগ্যতাও। রক্ত চোষার কথা যদি আসে তাহলে বলতে হয়, বড় দুই রাজনৈতিক দল জনগনের ঘাড়ে নল লাগিয়ে ঢক ঢক করে পান করেছে তাদের রক্ত, এবং এখনো করছে। ড. ইউনুস গরীব মানুষের উপকার করার জন্যই তাদের ধার দিয়েছে। রক্ত চোষার জন্য নয়।
ই্উনুস কেলেঙ্কারী আওয়ামীলীগের জন্য নিঃসন্দেহে একটি বিরাট ভুল পদক্ষেপ।
ড. ইউনুসের উপর শেখ হাসিনার এই প্রতিহিংসাই হয়ত জন্ম দেবে ভবিষ্যতে এদেশের জন্য ভালো কিছু।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।