আপনি প্রতিদিন জামাতে সব সালাত আদায় করছেন তো ?? আজ জুম্মা বার ।
আসুন এক নজরে জেনে নিই জুম্মাবারের করণীয় এবং বর্জনীয়
। - – -জুম্মার দিন যা করণীয়- – - ১) ফজরের সালাত অবশ্যই আজ থেকে জামাতে আদায় করা শুরু
করুন যারা প্রতিদিন করেন না । (আল-বায়হাকী , সহীহ আল)
২) সালাত আল-জুম্মার পূর্বের এবং পরের করণীয়
> জুম্মার দিন গোসল করা
** (সহিহ বুখারী এবং সহিহ মুসলিম : ১৯৫১ এবং ৯৭৭) > জুম্মার সালাতে শীঘ্রই উপস্থিত হওয়া
** (সহিহ বুখারী এবং সহিহ মুসলিম : ৯২৯ এবং ১৯৬৪)
> পায়ে হেঁটে মসজিদে গমন করা
** (আল-তিরমিজি, ৪৯৬)
> মনোযোগ সহকারে জুম্মার খুৎবা শোনা
** (সহিহ বুখারী ৯৩৪ এবং সহিহ মুসলিম ৮৫১) ৩) জুম্মার দিন আপনার দুয়া কবুল হবার সেই মুহূর্তটির
অনুসন্ধান করুন
** (সহিহ বুখারী এবং সহিহ মুসলিম : ৯৩৫ এবং ১৯৬৯)
৪) সূরা কাহাফ তিলাওয়াত
** (আল-হাকিম, ২/৩৯৯; আল-বায়হাকী, ৩/২৪৯)
৫) আমাদের নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপর
দুরদ পাঠ
** (ইবনে মাজাহ ১০৮৫ , আবু দাউদ , ১০৪৭)
৬) জুম’আর ফরজ নামাজ আদায়ের পর মসজিদে ৪ রাকা’আত
সুন্নাত সালাত আদায় করা অথবা বাসায় ফিরে ২ রাকা’আত
সুন্নাত আদায় করা । দুটোই সহিহ ** (সহিহ বুখারীঃ ১৮২, সহিহ মুসলিমঃ ৮৮১, আবু
দাউদঃ ১১৩০)
৭) জুম’’আর সালাতের জন্য সুগন্ধি ব্যবহার করা।
** (সহিহ বুখারীঃ ৮৮০)
৮) দু’রাকা’আত ‘তাহিয়্যাতুল মাসজিদ’ সালাত আদায়
করা ছাড়া না বসা। ** (সহিহ বুখারীঃ ৯৩০) - – - যা বর্জনীয়- – - ১> ঘুমের ভাব বা তন্দ্রাচ্ছন্ন হওয়া উচিত নয় ।
হলে জায়গা পরিবর্তন করে বসা উচিত ।
** (সহিহঃ আবু দাউদঃ ১১১৯)
২> খুৎবার সময় কেউ কথা বললে চুপ করুন’ এটুকুও
বলা যাবে না ।
**(নাসায়ীঃ ৭১৪, সহিহ বুখারীঃ ৯৩৪) ৩> ভাগ ভাগ হয়ে, গোল গোল হয়ে বসা উচিত নয়, যদিও
এটা কোন শিক্ষামূলক অনুষ্ঠান হোক না কেন ।
** (সহিহ হাদিসঃ আবু দাউদঃ ১০৮৯)
৪> আর যারা ধূমপান করেন তাদের উদ্দেশ্যে বলছি, আজ
থেকে ধূমপান ছাড়ার পরিকল্পনা করুন । এটি মাখরুহ নয়,
তামাক জাতিয় সকল পণ্য পান করা হারাম । ________________________________
মহান আল্লাহ তা’আলা পবিত্র আল কুরআনে বলেনঃ
“আল্লাহ ও তাঁর ফেরেশতাগণ নবীর প্রতি রহমত প্রেরণ করেন
। হে মুমিনগণ ! তোমরা নবীর জন্যে রহমতের
তরে দোয়া কর এবং তাঁর প্রতি সালাম প্রেরণ কর । ”
** (সূরা আল আহযাব ৩৩:৫৬) তাই আসুন আমরা দুরুদ পড়ি এবং অন্যকে উদ্ধুদ্ধ করি ।
আল্লাহ তা’আলা জুম্মার এই দিন সম্পর্কে পবিত্র
কুরআনে বলেনঃ
” মুমিনগণ, জুমআর দিনে যখন নামাযের আযান দেয়া হয়, তখন
তোমরা আল্লাহর স্মরণের পানে ত্বরা কর
এবং বেচাকেনা বন্ধ কর । এটা তোমাদের জন্যে উত্তম
যদি তোমরা বুঝ । অতঃপর নামায সমাপ্ত
হলে তোমরা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড় এবং আল্লাহর অনুগ্রহ
তালাশ কর ও আল্লাহকে অধিক স্মরণ কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও । “
(সূরা জুমুআ ৬২:৯-১০)
_________________________________
চাইলে শেয়ার করে অন্যকে জানিয়ে দিতে পারেন
।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।