লাল তরঙ্গ, লাল বিপ্লবের বার্তা বয়ে আনে
আমার জ্যাডা ভীষণ বিপদে পড়েছে।
বেচারার মেশিন এমন লুজ হইছে পেশাব করতে গেলে স্যান্ডেল ভিজা যায়।
জ্যাডা দিনে ১০-১২ বার পেশাব করেন, আর ভিজা পাধুইতে কলপাড় যান।
কলের ডান্ডাও লুজ ক্যাকো ক্যাকো করে।
জ্যাডার রাগও বাড়ে।
কলপাড়ে সিমিটের (সিমেন্ট) মেঝেতে পা ঠোকেন আর রাগে গড় গড় করেন।
নিত্যদিনের এই কারবারি কারো নজর এড়ায় না। ভতিজারা বেশ উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন।
সবার এক কথা কিছু একটা করতে হবে।
ভাতিজারা সবায় বসলো, কি করা যায়।
প্রথমেই শুরু হলো বাহাস। কোন ভাতিজা ডাক্তার, কোন ভাতিজা মোক্তার, কোন ভাতিজা এনজিও করে, কোন ভাতিজা ভাড়াখাটা দালাল। যে যার পেশাদারিত্ব থেকে বুদ্ধি উপস্থিত করলো। কারো প্রস্তাবই সর্ব সম্মত হইলো না।
তখন পেঙ্গুই স্টাইলের কোর্ট পরা এক ভাতিজা রেগেমেগে ফায়ার হয়ে গেলেন।
তিনি দরাজ কণ্ঠে বলেন, আমার জ্যাডা। এই দেশের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। জ্যাডার অসুবিধা নিয়া যে কেউ পরামর্শ দিতে পারে না। কোন গণতন্ত্র দিয়া জ্যাডার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হবে না। জ্যাডার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত দেওয়ার একমাত্র হক আছে আদালতের হাকিমের।
অন্য সব ভাতিজারা হায় হায় করে উঠলো। হাকিমের কথা মুখে আনা হইছে। হায়, হায়!! কাচারিতে না গিয়ে তো আর জ্যাডার মেশিন ঠিক করা যাবে না।
সবাই গেল আদালতে। দীর্ঘ শুণানী হইলো।
প্রধান হাকিম রায় দিলেন, সারা দুনিয়ার নজির ভ্রায়াগ্রা খাইলে মেশিন খাড়ায়। এ ছাড়া মেশিন খাড়া করার বৈজ্ঞানিক ও আন্তর্জাতিক মানদন্ডের কোন উপায় নাই। বিপত্নীক জ্যাডাকে প্রতি দিন একটা করে ভায়াগ্রা সেবন করলে মেশিন যতটুকু বলপ্রাপ্ত হবে তাতে পেশাব সীমান্ত পাড় কর্তে পারবে। তবে বলে রাখা দরকার এমিকাস কিউরিরা একটি শারীরীক সমস্যার এমন সমাধানকে আদালতের এখতিয়ার বহির্ভূত বলে শুণানীতে অংশগ্রহণ করেননি। তারা বললেন প্যাঙ্গুইন কোট পরা দুষ্ট লোক ডাক্তারী এখতিয়ার আদালতে এনে আদালত অবমাননা করছে।
হাকিমদের ডাক্তারের স্তরে নামিয়ে আনছে। মনে রাইখেন প্যাঙ্গুনই কোটঅলারা আদালতের ঘাড়ে বন্দুক রাইখ্যা যা করে, তার মধ্যে দুর্ঘটনা মাস্ট ঘটবেই। কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে ভায়াগ্রা সেবন করে উপকার পাওয়া হাকিম এসব সাবধানবাণী শুনলেন না।
ভাতিজারা বিজ্ঞ প্রধান হাকিমের রায় মতো জ্যাডাকে এক বটিকা ভায়াগ্রা সেবন করাইলেন রাইতের বেলা। জেডা ভায়াগ্রা সেবন করে বেশ আরামবোধ করলেন।
মেশিন দাড়াইছে। পেশাব করে তিনি শান্তি পাচ্ছেন। তবে এক বটিকা খাওয়ায় তার মুশকিল আসান হয়নি। মেশিন যতটুকু দাড়ায় তাতে পুরা পেশাব প্যানে পড়েনা। ছিটা-ফোটা তাকে স্পর্শ করেই।
জ্যাডা ভেবে দেখলেন, যখন এক বটিকায় স্যান্ডাল বাচানো যায়, নিশ্চয় অধিক বটিকায় অধিকতর সুবিধা পাওয়া যাবে। জ্যাডা তিনচারটা ভায়াগ্রা পানির সাথে ঢকঢক করে গিলে ফেললেন। এই ঘটনা জ্যাডা যখন ঘটান তখন রাত ১২ টা। গ্রাম দেশ। সবাই ঘুমিয়ে পড়েছেন।
কিন্তু বৈজ্ঞানিক ও আন্তর্জাতিক মানদন্ডের ভায়াগ্রা ঘুমায়নি। চাচার মেশিনকে মিসাইলে পরিণত করে ফেলেছে। ...
প্রিয় পাঠক সমাজ, তারপরের ঘটনা জানতে নিশ্চয় আপনারা উৎসুক। কিন্তু বিস্তারিত বিবরণে আমরা যাইতে পারি না। ১৮+ লিখে দিলেই সব কিছুর রগরগে বর্ননা দেয়া যায় না।
তবে আপনাদের জানিয়ে রাখি দুনিয়ার কোন এক দেশের আদালতে দুইটা মামলা হইলো ।
১.এক বৃদ্ধলোকের প্রতিবেশীরা তাদের ছাগল, গরু, মহিষ ইত্যাদি গবাদী পশুর জন্য মামলা করলেন।
২.এক কলামিস্ট পত্রিকায় কলাম লিখলেন আদালতের ডোজের বাইরেও বেশি সংশোধন করা হয়েছে পবিত্র সংবিধান।
অনেক অনেক দিন পরের এক বইমেলায় একখানা আত্মজীবনী প্রকাশিত হইলো। প্রধান হাকিম তার কর্মজীবনের অভিজ্ঞতা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে লিখেছেন...
‘জ্যাডাদের ভ্রায়াগ্রা দেওয়া মস্ত বড় বিচারিক ভুল’
আরেকটা অধ্যায়ে প্রধান হাকিম বলেন,
‘প্যাঙ্গুইন কোট পরা ভাতিজাদের সংবিধান সংশোধনের দায়িত্ব দেওয়াও ভুল।
তারা অতিরিক্ত উত্তেজনা গ্রহণ করে অধিকতর সংশোধন করিয়া দেয়’
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।