আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

Drug খেয়ে বেশী নম্বর পাইছে আমার ছেলে

আমার এই পথ চাওয়াতে আনন্দ......

ছেলে যতদিন পর্যন্ত নিজে পছন্দ করা না শিখেছে - ততদিন পর্যন্ত আমি আর ছেলের বাবাই ওর সব কেনাকাটা করতাম । কোনো দোকানে ঢুকেই কিভাবে কিভাবে যেনও দুজন দুদিকে চলে যেতাম । মন ভরে কাপড় পছন্দ করতাম তারপর হাত ভর্তি কাপড় নিয়ে পেমেন্ট কাউন্টার এ এসে একজন আরেকজনকে খোঁজা শুরু করতাম । অবশেষে ফোন করে দুজন এক জায়গায় হতাম । তারপর দেখা যেতো একে অন্যকে পচানো শুরু হয়ে গেছে ।

কারটা বেশী সুন্দর আর কারটা অল্প সুন্দর এইটা নিয়ে। শেষমেস সব কাপড় নিয়েই বাসায় ফিরতাম । এবার যুদ্ধ শুরু হতো কারটা আগে পরানো হবে তা নিয়ে । এখনও প্রায়ই এরকম হয় । শুধু পার্থক্যটা হলো এখন আমি আর ছেলের বাবা থাকি এক দলে আর ছেলে থাকে তার নিজের দলে এখন ছেলে নিজেই তার পছন্দমতো কেনাকাটা করতে পারে ।

শুধু দোকানের ভিতরে ঢুকতে যতক্ষন লাগে, ব্যাস - এরপর শুধু তার পেছনে আমি আর তার বাবা চাকরের মতো ঘুরতে থাকি । সে আরেক কাহিনী । কিন্তু আজকে বলবো অন্য ঘটনা । ছেলে তার টিশার্ট হিসাবে কার্টুন আঁকা গুলো বেশী পছন্দ করে । আর তার বাবার পছন্দ হলো - দুনিয়ার যতো উল্টাপাল্টা কথা লেখা আছে এমন টিশার্ট ।

আর আমি কিনি সিঙ্গেল কালারের পোলো শার্ট , অথবা স্ট্রাইপ ক্যাজুয়াল শার্ট । তাই মোটামুটি এই তিন ধরনের কাপড়চোপড় আরদি পরে । আর পরানোর সুবিদার্থে ডিজাইন অনুযায়ী আমরা নিজেদের মতো করে টিশার্ট গুলোর নাম রেখেছি। যেমন কোনোটার নাম উল্টায় পড়ে গেলো , একটার নাম পানিতে ডুবে যাচ্ছে, আরেকটার নাম তিনটা ব্যাটারি গান গাচ্ছে - এমন সব আজব নাম গত সপ্তাহে গেলাম ৩জন মিলে কাপড় কিনতে । ঘুরতে ঘুরতে একটা টিশার্ট খুব পছন্দ হলো আমার ।

কালো রংয়ের উপরে সাদা দিয়ে লেখা "I scored high on my last drug test " আমারতো মাথা খারাপ এটা নিতেই হবে ( কেনার পর ছেলের বাবার যে মধুর/খোঁচাখুচি মূলক বাক্যগুলো আমাকে শুনতে হয়েছিল - সেটা আর নাই বললাম ) তো সেদিন আমাদের কিছু বন্ধু বাসায় আসলো । গল্পের এক পর্যায়ে ঠিক হলো আমরা বাইরে খেতে যাবো । আর যাওয়ার আগে একটা কফি পর্ব হয়ে যাক । সময় বাঁচানোর জন্য ছেলের বাবাকে বললাম " আমি কফি বানাচ্ছি তুমি ছেলেকে রেডি করো । " আমি রান্নাঘরে আর সামনেই বন্ধুরা বসে আছে ।

এমন সময় ছেলের রুম থেকে বাবা জোরে জিজ্ঞেস করলো " ছেলেকে কোন কাপড়টা পরাবো ?" আমি এপাশ থেকে উত্তর দিলাম " ঐযে ড্রাগ খেয়ে তোমার ছেলে বেশী নম্বর পাইছিলো ওই গেঞ্জিটা পরাও " এরপরের দৃশ্যটুকু কি আর বলবো । আমার বাসায় হাসির একটা কেয়ামত হয়ে গেসিলো

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।