কাপুরুষের শেষ আশ্রয় হল দেশপ্রেম
বাংলাদেশে দ্রুতগতির (?) ইন্টারনেট ব্যবহারের উপায় কী কী ?
- তারযুক্ত ব্রডব্যান্ড (ডেস্কটপে ব্যবহার করা যায়, কিন্তু ল্যাপটপে? বিরক্তিকর...)
- তারহীন জিএসএম নেটওয়ার্কভিত্তিক জিপিআরএস/এজ মডেম অথবা সিডিএমএ নেটওয়ার্কভিত্তিক মডেম
- ওয়াইম্যাক্স ( বাংলালায়ন, কিউবি )
সবক্ষেত্রেই কোন না কোন বাড়তি মডেম বা ডঙ্গল ব্যবহারের ঝামেলা!
বেশ কিছুদিন ধরেই ভাবছিলাম, ভ্রমণকালীন ইন্টারনেট ব্যবহারের সহজ কোন পদ্ধতি থাকা দরকার। ঢাকার বাইরে ওয়াইম্যাক্স সার্ভিসদাতাদের নেটওয়ার্ক নাই, জিপিআরএস/এজ মডেম নেটওয়ার্ক থাকতেও পায় না। শেষে একটা বুদ্ধি বের করলাম, ভাল মানের মোবাইলের শক্তিশালী এন্টেনাই তো নিরবিচ্ছিন্ন ইন্টারনেট ব্যবহারের সবচেয়ে সহজ উপায় হতে পারে। সেই অনুযায়ী গ্রামীণফোনের বিরক্তিকর এজ মডেম বিক্রি করে দিয়ে আমার মোবাইল নোকিয়া ৬২২০ ক্লাসিক থেকে নেটবুকে ইন্টারনেট ব্যবহার শুরু করলাম। না কোন ইউএসবি কেবল নয়, শুধু ব্লুটুথ পেয়ারিং এর মাধ্যমেই আরামে ইন্টারনেট ব্যবহার করছি।
পকেটে মোবাইল এবং হাতে নেটবুক...ভ্রমণকালীন ইন্টারনেট ব্যবহারের সবচেয়ে সহজ উপায় (অনেকের কাছেই বিষয়টি পুরনো হতে পারে!)
তারপর ভাবলাম, সামনে দেশে ৩জি চালু হতে পারে। তখন ধীরগতির ২জি প্রযুক্তি ও ব্লুটুথের ২.০ স্পিডে ইন্টারনেট ব্যবহারের কোন মানে হয় না। কিন্তু বিকল্প কী হতে পারে?
ইন্টারনেটে খুঁজতে খুঁজতেই সমাধান পেয়ে গেলাম। ওয়াই-ফাই !
কিন্তু এখানেও সমস্যা! ওয়াই-ফাই ব্যবহার করে সরাসরি পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট লোকাল নেটওয়ার্ক করা যেত না। হয় এড-হক (জটিল পদ্ধতি) অথবা ওয়াই-ফাই রাউটার ব্যবহারের প্রয়োজন পড়ে।
আশার কথা হল, সম্প্রতি ওয়াই-ফাই অ্যালায়েন্স ওয়াই-ফাই ডাইরেক্ট নামে নতুন প্রযুক্তি চালু করেছে। ইতিমধ্যে স্যামসাং মোবাইল সহ অনেক ডিভাইসে এই প্রযুক্তি চলে এসেছে। এর মাধ্যমে ব্লটুথের মত সরাসরি পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট নেটওয়ার্ক সম্ভব। এমনকি একসাথে কয়েকটি ডিভাইস নেটওয়ার্কে আনা যাবে। ওয়াই-ফাই অ্যালায়েন্সের দাবী অনুসারে শুধু একটি ফার্মওয়ার আপডেটের মাধ্যমেই প্রচলিত ওয়াই-ফাইযুক্ত ফোনে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা যাবে।
তবে এটাই প্রথম নয়। এইচটিসি মোবাইল কোম্পানী তাদের ডিজায়ার এইচডি মডেলের ফোনে ওয়াই-ফাই টিথারিং প্রযুক্তি ব্যবহার করেছে যার কার্যকারিতা ওয়াই-ফাই ডাইরেক্ট এর মতই।
আবার জইকুস্পট নামে সফটওয়্যার কোম্পানী অনেক আগে থেকেই সফটওয়্যারের মাধ্যমে এই নেটওয়ার্ক প্রযুক্তি ব্যবহারের সুবিধা দিয়ে আসছে। শুধু এন্ড্রয়েড চালিত ফোন নয়, তাদের দাবী অনুসারে ওয়াই-ফাই যুক্ত সিমবিয়ান এস৪০ ও এস৬০ চালিত ফোনেও এই সফটওয়্যারের সাহায্যে ওয়াই-ফাই পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট নেটওয়ার্কিং করা যায়।
ব্লুটুথ ৩.০ প্রযুক্তি অবশ্য ওয়াই-ফাইয়ের মতই উচ্চগতির ডাটা ট্রান্সফারের সুবিধা দিবে কিন্তু সেক্ষেত্রে দুটি ডিভাইসেই ব্লুটুথ ৩.০ থাকতে হবে।
কিন্তু ওয়াই-ফাই ডাইরেক্ট প্রযুক্তিতে একটি ডিভাইস ওয়াই-ফাই ডাইরেক্ট ফিচারযুক্ত হলেই চলবে।
তাহলে কি ইনফ্রারেড প্রযুক্তির মত ব্লটুথ প্রযুক্তিরও বিদায় ঘন্টা বেজে যাবে?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।