লাকসামকে জেলা বাস্তবায়নের দাবীতে মহামান্য রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে দেয়া স্মারকলিপিতে লাকসাম জেলা বাস্তবায়ন পরিষদ, যুক্তরাষ্ট্র শাখার আহবায়ক শিববীর আহমেদ উল্লেখ করেন- বৃটেনের মহারাণী ভিক্টোরিয়া কর্তৃক উপাধী প্রাপ্ত নওয়াব ফয়জুন্নেছা চৌধুরাণীর স্মৃতি বিজড়িত লাকসাম বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে। আলোর শহর বা ‘‘কত লাকসাম কত বাত্তি’’ নামে খ্যাত এই লাকসাম এর প্রায় চার শত একর জুড়ে রয়েছে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রেলওয়ে জংশন যার মাধ্যমে বাংলাদেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত ভ্রমণ করা সম্ভব। এক সময়ের বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম থানা লাকসামকে বিভক্ত করে ইতিমধ্যে চারটি উপজেলা গঠিত হয়েছে। এ চারটি উপজেলা হচ্ছে- লাকসাম উপজেলা, নাঙ্গলকোট উপজেলা, মনোহরগঞ্জ উপজেলা ও সদর দক্ষিন উপজেলা। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ভোটার তালিকা অনুযায়ী এ চারটি উপজেলায় সর্বমোট ভোটার সংখ্যা প্রায় ৭ লাখ।
উল্লেখিত চারটি উপজেলার সাথে চাঁদপুরের শাহরাসিত্ম উপজেলা, নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি উপজেলা এবং কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম ও বরুড়া উপজেলা যুক্ত করা গেলে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ভোটার তালিকা অনুযায়ী প্রস্তাবিত লাকসাম জেলার সর্বমোট ভোটার সংখ্যা দাঁড়াবে প্রায় সাড়ে ১৪ লাখ। এক্ষেত্রে ইতিহাস, ঐতিহ্য, আয়তন, জনসংখ্যাসহ সকল দিক বিবেচনায় লাকসাম জেলা বাস্তবায়নের যৌক্তিক দাবীদার। বাংলাদেশে ইতিপূর্বে অনেক জেলা ঘোষিত হয়েছে যার ভোটার সংখ্যা প্রস্তাবিত লাকসাম জেলা রূপরেখার ভোটার সংখ্যার চাইতে অর্ধেক বা তার চেয়েও কম। উদাহরণ স্বরূপ মেহেরপুর জেলা মাত্র ৩টি উপজেলা নিয়ে গঠিত হয়েছে এবং এ জেলার সর্বমোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ মাত্র। ঝালকাঠি জেলা মাত্র ৪টি উপজেলা নিয়ে গঠিত এবং বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ভোটার তালিকা অনুযায়ী এ জেলার সর্বমোট ভোটার সংখ্যা সাড়ে ৩ লাখ।
নড়াইল জেলা মাত্র ৩টি উপজেলা নিয়ে গঠিত এবং বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ভোটার তালিকা অনুযায়ী এ জেলার সর্বমোট ভোটার সংখ্যা সোয়া ৪ লাখ মাত্র।
বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রণীত ভোটার তালিকা ২০০৯ অনুযায়ী এই রকম প্রায় ২৫টি জেলা পাওয়া যাবে যার ভোটার সংখ্যা লাকসাম জেলা রূপরেখা (লাকসাম, মনোহরগঞ্জ, নাঙ্গলকোট ও সদর দক্ষিণ) এর ভোটার সংখ্যার চাইতেও কম।
লাকসাম জেলা বাস্তবায়ন পরিষদ যুক্তরাষ্ট্র শাখার আহবায়ক মোঃ শিববীর আহমেদ কর্তৃক প্রণীত লাকসাম জেলার সম্ভাব্য রূপরেখা অনুযায়ী লাকসাম জেলা বাস্তবায়ন সম্ভব বলে মনে করেন বিজ্ঞ মহল। আর লাকসাম জেলা বাস্তবায়ন হলে মানুষের জীবন যাত্রার মান পরিবর্তনের পাশাপাশি লাকসামকে শিল্প ও বাণিজ্য নগরে রূপান্তরিত করা সম্ভব হবে।
সমেয়র দর্পণ
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।