I am student
কোলেস্টেরল নারী-পুরুষ মানে না। সবারই স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। এতদিন এটাই ছিল চিকিত্সকদের বিশ্বাস। কিন্তু ডেনমার্কের বিজ্ঞানীরা এখন বলছেন, এটা সত্যি নয়। বিশেষ করে নারীদের ক্ষেত্রে এমনটি দিব্যি করে বলা যায় না।
কারণ, গবেষণায় দেখা গেছে কোলেস্টেরলের মাত্রা নারীদের স্ট্রোকের ঝুঁকির মাপকাঠি নয়। সোজা কথায়—নারীদের কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি হলেই যে স্ট্রোক হবে বা হতে পারে, তা বলা যাবে না। তবে পুরুষের বেলায় এটা প্রযোজ্য নয়। তাদের ক্ষেত্রে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি হলে অবশ্যই স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়বে। এ বিষয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে অ্যানালস অব নিউরোলজিতে।
সূত্র : বিবিসি
বিজ্ঞানীরা মানবদেহের রক্তের বিভিন্ন ধরনের চর্বি এবং ট্রিগলিসেরাইড পরীক্ষার মাধ্যমে ঝুঁকির বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছেন। স্ট্রোক অ্যাসোসিয়েশন বলেছে, স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে নিয়মিত ট্রেগলিসেরাইড পরীক্ষা প্রয়োজন।
ব্রিটেনে প্রতিবছর দেড় লাখ মানুষ স্ট্রোকে আক্রান্ত হন। এদের বেশিরভাগই ভোগেন রক্তস্বল্পতাজনিত স্ট্রোকে। ধমনিতে ক্লট তৈরি হওয়ায় মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল ব্যাহত হওয়ায় এমনটি হয়।
কোপেনহেগেন সিটি হার্ট স্টাডিতে অংশ নেন ১৩ হাজার ৯৫১ নারী-পুরুষ। ৩৩ বছর ধরে পরিচালিত গবেষণাকালে ৮৩৭ পুরুষ এবং ৮৩৭ নারী স্ট্রোকে আক্তান্ত হন।
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, নারীদের কোলেস্টেরলের মাত্রার সঙ্গে স্ট্রোকের সংযোগ নেই। তবে পুরুষের ক্ষেত্রে সম্পর্ক রয়েছে। তাদের মাত্রা ৯ এমএমওএল/লিটারের বেশি হলে ঝুঁকির মাত্রা উচ্চ হবে।
ব্রিটেনে পুরুষের কোলেস্টেরলের গড় মাত্রা ৫.৫।
স্ট্রোক অ্যাসোসিয়েশনের গবেষণা বিভাগের উপ-পরিচালক ড. পিটার কোলেম্যান বলেছেন, বিশেষ উদ্বেগের কারণ না হলে যুক্তরাজ্যে নিয়মিত ট্রিগলিসেরাইড লেভেল পরীক্ষা করা হয় না। অথচ এটা খুবই দরকার।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।