ডাক্তার মানুষ, অনেক ব্যস্ত
প্রযুক্তিপ্রেমী মানুষদের জন্য এক ঘোরতর দুঃসংবাদ নিয়ে এসেছে বাংলাদেশ সরকার। কপিরাইট আইনের নামে বাংলাদেশের মানুষের কাছ থেকে প্রযুক্তির সুবিধা কেড়ে নেয়ার অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে।
যেখানে বাইরের দেশে সফটওয়্যার কিংবা কোন বই এর আসল কপির দাম সকলের হাতের নাগালে কিংবা সেদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় প্রচুর -- সেখানে আমাদের দেশের মতো স্বল্প আয়ের দেশে টিকফা চুক্তি বাস্তবায়নের আগে সবার কথা ভাবা উচিত ছিল। এক্ষেত্রে কিছু পদক্ষেপ আগেই নেয়া উচিত ছিল , যেমন -
i ) টিকফা চুক্তি সইয়ের আগে দেশে সহজলভ্য ও সুলভ মূল্যে অরিজিনাল সফটওয়্যার ও বই সরবরাহ করার প্রয়োজন ছিল।
ii ) শিক্ষার্থীদের ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিনামূল্যে কম্পিউটারের যাবতীয় সফটওয়্যারের অরিজিনাল কপি বিতরণ।
iii ) টেকনিক্যাল স্টাডিজ: যেমন - মেডিকেল ও ইঞ্জিনিয়ারিং এর প্রায় সব বই বাইরের এবং এগুলোর মূল্য অত্যন্ত বেশি ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের নাগালের বাইরে। একারনে তারা অধিকাংশই বইগুলোর ফটোকপি ব্যবহার করে থাকে ( আমি নিজেও ) । এখন তাদের পক্ষে সবসময় লাইব্রেরী থেকে বই নেয়া সম্ভব না কারণ লাইব্রেরীতে বই নেয়ার একটা নির্দিষ্ট সীমা আছে যার বাইরে বই নেয়া নিয়মবহির্ভূত। সুতরাং এসকল বই আমাদের দেশের প্রকাশনী কর্তৃক ছাপানোর ব্যবস্থা করা।
iv ) নিম্নবিত্তের কাছে প্রযুক্তির ব্যবহার এর ফলে আকাশকুসুম কল্পনা ছাড়া আর কিছুই হবে না।
সুতরাং "সকলের কাছে প্রযুক্তি" এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হলে অবশ্যই সুলভ মূল্যে এসকল পণ্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে হবে।
v ) এদেশের অনেক তরুন Outsourcing এর মাধ্যমে নিজেদের কর্মসংস্থান নিজেরাই করছেন ও প্রচুর বৈদেশিক মূদ্রা অর্জন করছেন। হঠাৎ এই চুক্তি হলে তাদের পেটে লাথি মারা ছাড়া আর কিছুই হবে না। সুতরাং তাদের কথাও ভাবতে হবে।
### আমার কথাগুলো নীতিনির্ধারকদের কানে পৌঁছাবে কিনা জানি না...তবে দেশে শিক্ষা ও তথ্যপ্রযুক্তির বিস্তারে আগে এই বিষয়গুলো মাথায় রেখে পরে টিকফা চুক্তি এবং কপিরাইট ও পাইরেসি প্রতিরোধ আইন করলে ভালো হতো বলে আমি মনে করি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।