বাংলার জনগন
লিওনেল মেসি আর কোচ পেপ গার্দিওলা—দুজনের জন্যই বার্সেলোনার পরশুর ম্যাচটি ছিল মাইলফলকের। মেসি বার্সার হয়ে ২৫০তম ম্যাচ খেলেছেন, গার্দিওলার ছিল কোচ হিসেবে শততম ম্যাচ। উপলক্ষটা বিষাদে ছেয়ে যেতে পারত। তবে দারুণ এক গোল করে মেসি বার্সাকে রক্ষা করেছেন। অ্যাথলেটিক বিলবাওকে ২-১ গোলে হারিয়ে কোচ এবং তাঁর নিজের মাইলফলক ম্যাচটিকে রাঙিয়েছেন জয়ের রঙে।
তবে মেসির জয়সূচক গোলের আগে দুটি পয়েন্ট হারানোর শঙ্কা ঘিরে ধরেছিল বার্সেলোনাকে। নিজেদের মাঠ ন্যু ক্যাম্পে ৩ মিনিটেই এগিয়ে গিয়েছিল বার্সা। জাভি হার্নান্দেজের ডিফেন্স-চেরা পাস থেকে গোলটি করেছেন ডেভিড ভিয়া। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে বিলবাও স্ট্রাইকার লরিয়েন্তেকে বক্সে ফাউল করে তাদের পেনাল্টি উপহার দেন সার্জিও বুসকেটস। ৪৯ মিনিটে ইরাওলার পেনাল্টি গোলে ম্যাচে ফেরে বিলবাও।
পরে অনেক আক্রমণ করেও কিছুতেই গোল পাচ্ছিল না বার্সেলোনা। অবশেষে জেগে ওঠেন মেসি। পেনাল্টি বঞ্চিত হওয়ার খানিক পর নিজের ২৫তম গোল করে বার্সাকে জয় এনে দেন। রোনালদোর চেয়ে একটি গোল বেশি নিয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতাও এই আর্জেন্টাইন তারকাই।
তবে মেসি ব্যক্তিগত অর্জনের চেয়ে বেশি ভাবছেন দল নিয়ে, ‘আরেকটা হোঁচট আমাদের জন্য ভালো হতো না।
অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা ম্যাচ জিতেছি আমরা। ’ বার্সেলোনা হোঁচট খেলে রিয়াল আরও কাছে চলে আসত তাদের। আগের দিন জয় পাওয়া রিয়ালের পয়েন্ট ২৪ ম্যাচে ৬০। বার্সেলোনার ২৪ ম্যাচে ৬৫।
পরশু বড় হোঁচট খাওয়ার হাত থেকে বেঁচেছে এসি মিলানও।
ইতালিয়ান লিগে শিয়েভোর বিপক্ষে একইভাবে বেঁচেছে মিলান। রবিনহোর গোলে ২৫ মিনিটে এগিয়ে গিয়েছিল তারা, এরপর ফার্নান্দেজের ৬১ মিনিটের গোলে ম্যাচে ফেরে শিয়েভো। তবে পাতো ৮২ মিনিটে গোল করে জিতিয়ে দিয়েছেন দলকে। ২৬ ম্যাচে ৫৫ পয়েন্ট নিয়ে সিরি ‘আ’র পয়েন্ট তালিকার শীর্ষেও আছে এসি মিলান। সমান ম্যাচে ৫২ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে নাপোলি।
এএফপি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।