অনেক কিছু লিখতে ইচ্ছে করে,কিন্তু ভালো লিখতে পারিনা
ছোটবেলায় মা বাবারা প্রায়ই বিখ্যাত ব্যক্তিদের কাজ কর্ম তাদের ছেলেমেয়েদের সামনে উপস্থাপন করার চেষ্টা করে। এবং আমরা সবাই তা চিরন্তন সত্য হিসেবে বিশ্বাস করতাম বা এখনো করি। কিন্তু কোনদিন কি ভেবে দেখেছি এর ঠিক কতগুলো সত্য?
যাই আমি ছোটবেলায় পড়াশুনা করতে চাইতাম না,এখনো চাইনা কারণ আমার পড়াশুনা ভালো লাগেনা। আমি যখন পড়তে চাইতাম না। তখন আমার মা বাবা প্রায়ই আমার সামনে একজনের উদাহরণ টেনে ধরার চেষ্টা করতেন।
যার উদাহরণ দেয়ার চেষ্টা করতেন ,তিনি হচ্ছেন ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগর। তার অনেক কাহিনী আজও লোকমুখে শোনা যায় যেমন: লাইট পোস্টের নিচে পড়াশুনা করা, মায়ের অসুখের সময় প্রবল ঝড়ের মধ্যে সাতার কেটে নদী পার হওয়া ইত্যাদি।
আমার মনে হয় আমার মত যারা পড়াশুনা করতে চাননা(আমার ধারনা এরকম খুব কম আছে) তাদের মা বাবা অন্তত একটা কথা তাদের কে বলছে সেটা হলো “জানিস ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগর লাইট পোস্টের নিচে বসে পড়াশুনা করতো,আর তুই.....................”
যাইহোক এবার আসি আসল কথায়। ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্ম ১৮২০ সালের ২৬ এ সেপ্টেম্বর । আর টমাস আলভা এডিসন বৈদ্যুতিক বাতি আবিস্কার করে ১৮৭৯ ।
এখন প্রশ্ন হলো কি করে ভারতের একটি গ্রামে১৮৭৯ সালের আগেই লাইটপোস্ট থাকে?
আচ্ছা ধরে নিলাম ,লাইটপোস্ট ছিলো কিন্তু সেখেন বৈদ্যুতিক বাতির পরিবর্তে অন্যকোন ধরনের বাতি ছিলো। এখন আমার প্রশ্ন হলো সেই সময়ে কি আদও কোন প্রতিষ্ঠান (যেমন ইউপি,সিটি কর্পোরেশন) ছিলও যার দায়িত্ব ছিলও মানুষের সুবিধার্থে রাস্তায় বাতি জালানো? আমার জানামতে ভারতে তখন জমিদারী প্রথা ছিলও, আশা করি জমিদারদের এইরকম জনহিতকর মানসিকতা কখনো ছিলোনা। তাহলে কিভাবে ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগর লাইট-পোস্টের নিচে পড়াশুনা করতো?
আরেকটা কথা ওনার যদি পড়াশুনার এতই আগ্রহ থাকতো তাহলে উনি দিনের বেলায় কি করত?
বি.দঃ আমার পোস্ট ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগরের বিরুদ্ধে না। আমি তাকে শ্রদ্ধা করি। কিন্তু আমার সমস্যা তাকে নিয়ে রচিত মনগড়া গল্প নিয়ে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।