নিজেকে নিজেই বুঝতে পারিনা।
পাঠক শুভেচ্ছা নিবেন
এ ব্লগে আমি প্রথম, তাই ভুল হলে ..................
গত ১২ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী সেনানিবাসের একজন সেনা কর্মকর্তার স্ত্রী কর্তৃক নির্যাতিত হয়ে গুরতর অসুস্থ হয়ে শিশু সোনিয়া এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার অপরাধ ছিল সে শীত নিবারণ করতে গিয়ে ওই সেনা কর্মকর্তার স্ত্রী'র কম্বল গায়ে দেওয়া। আর এ অপরাধে শিশু সোনিয়াকে বেদম প্রহার করেন ওই সেনা কর্মকর্তার অহঙ্কারী বধু।
খবরটি কোন কোন মিডিয়ায় প্রকাশ হয়েছে তা জানিনা তবে আমি সংবাদটি পড়েছি বাংলানিউজ টুয়েন্টি ফোরডটকমে।
গত ১২ ফেব্রুয়ারির ঘটনা। আজ ২০ ফেব্রুয়ারি সর্বশেষ খবর হলো ওই সেনা কর্মকর্তার স্ত্রী'র বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তবে মামলাটি করেছেন সোনিয়ার পিতা নবাব আলী। দুঃখিত ভুল বশত আমি এতক্ষণ শুধু যারা নির্যাতিত তাদের নামই প্রকাশ করেছি। তবে এখন প্রকাশ করছি কু-শিক্ষায় শিক্ষিত ওই সেনা কর্মকর্তা ও তার স্ত্রী'র।
সেনা কর্মকর্তা হল মেজর আসফাকুর রহমান আর তার অহংকার ও জাতির ধিক্কার কলি বেগম।
যাই হোক এখন মামলা করার বিষয়ে আমার কিছু মন্তব্যঃ প্রায় ৮ দিন পর মামলা হল ওই ডাইনীর বিরুদ্ধে। কিন্তু এ সময়ের মধ্যে কি কোন আইনজীবীর চোখে কিংবা কোন মানবাধিকার সংগঠনের চোখে কি সংবাদটি পড়েনি। যদি পড়ে থাকে তাহলে কেনও তারা এ বিষয়ে রিট করেনি। না কি মিসেস কলি একজন মেজরের স্ত্রী, তাই ?
বাংলা নিউজের তথ্য মতে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, লোহার রড দিয়ে শিশু সোনিয়ার একটি হাত ভেঙে দিয়েছেন কলি।
এই অবস্থায় সোনিয়া একদিন মেঝতে পড়ে থাকে। পরের দুই দিন তাকে বাথরুমে আটকে রাখা হয়। দুইদিন পরে বাথরুম থেকে বের করে কিছু পঁচাবাসি খাবার খেতে দেওয়া হয়। গায়ে গরম পানি ঢেলে দেওয়া হয়। এতে সোনিয়ার শরীরে ফোস্কা পড়ে যায়।
১৫ ফেরুয়ারি মেজর আসফাক ঢাকা থেকে বাসায় এসে সোনিয়ার এ অবস্থা দেখে বাড়িতে খবর দেন। সেখান থেকে তাকে নিয়ে এসে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়।
আমি আর কিছু লিখতে চাচ্ছিনা। এ ডাইনীটিকে অবিলম্বে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। পাশপাশি সরকারের প্রতি অনুরোধ অতিশীঘ্রই গৃহপরিচারিকাদের নির্যাতন বন্ধে নতুন করে কঠোর আইন প্রণয়ন করুন যা ভ্রাম্যমান আদালত তাৎক্ষনিকভাবে পরিচালতি করতে পারে।
ধন্যবাদ
পাঠক বৃন্দ
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।