বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে গতকাল শনিবার ভারতের দোর্দন্ড প্রতাপের সামনে একপ্রকার অসহায়ই ছিলেন বাংলাদেশের বোলাররা। বলা যায়, তেমন কেউই দাঁড়াতে পারেননি সেওয়াগ-কোহলির সামনে। আর এই মারমুখো ভারতের খেলার সময় সবচেয়ে বেশি যার কথা মনে হচ্ছিলো বাংলাদেশের দর্শকদের, তিনি হলেন বাংলাদেশের আগের দুইবার ভারত-বধের নায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। ভারতের সঙ্গে বরাবরই দুর্বার মাশরাফি। ৮৩’র বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে আগের যে দুটি জয় আছে বাংলাদেশের সেখানে ‘ম্যাচ সেরা’ হয়েছিলেন মাশরাফি।
২০০৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ভারতের বিপক্ষে অলরাউন্ড নৈপূণ্য দেখিয়েছিলেন। ব্যাট হাতে ৩১ রান নিয়ে অপরাজিত এবং ৯ ওভার বল করে ৩৬ রানে দুই উইকেট পেয়ে ম্যাচ সেরা। ত্রিনিদাদের পোর্ট অব স্পেনে ঐতিহাসিক বিজয়ে নড়াইল এক্সপ্রেসের অবদান অনেক। ৯.৩ ওভার বল করে ৩৮ রানে চার ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়েছিলেন। বিশ্ব ক্রিকেট বোদ্ধারা সেদিন ম্যাচ সেরার পুরস্কার তুলে দিতে ভুল করেননি মাশরাফির হাতে।
বাংলাদেশের প্রথম বোলার হিসেবে যিনি কাঁপন ধরিয়েছিলেন শত্রু-শিবিরে, দুইবারের ভারত-বধের সেই মহানায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা এই বিশ্বকাপে কেবলই দর্শক। কারণ তিনি ফিট নন! যদিও মাশরাফির দাবি, তিনি এখন শতভাগ ফিট। গত ক’দিনে নেটে যাঁরা বোলিং দেখেছেন, এ দাবির সঙ্গে তাঁদের দ্বিমত করার উপায় নেই। তাঁর ভেজাকান্না সঙ্গী করেই শুরু হলো বাংলাদেশের বিশ্বকাপ অভিযান।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।