প্রথম যে কোন কিছুতেই একটু আলাদা অনুভূতি কাজ করে -সেটা প্রথম প্রেমের স্পর্শ হউক অথবা প্রথম কবিতার বই হউক। "দীঘির জলে রোদের স্নান" আমাদের প্রথম কবিতার বই । তাই হয়ত একটু বেশি অনুভূতি,একটু বেশি আবেগ,এটু বেশি উৎকণ্ঠা,একটু বেশি কৌতূহল,একটু বেশি অপেক্ষা "দীঘির জলে রোদের স্নান"নিয়ে আমার বা আমাদের মধ্যে কাজ করছে । আমাদের ইনবক্স আর সেন্ড মেইল বক্স ভরে উঠেছে দীঘির জলে রোদের স্নানের আপডেটের খবর দিয়ে । সর্বশেষ আপডেট হল আমাদের কবিতার বই "দীঘির জলে রোদের স্নান" এখন বইমেলায় - পাওয়া যাচ্ছে লিটল ম্যাগ চত্বর - স্টল - ভনে ।
যাদের কবিতা আছে
কবির য়াহমদ
পদ্ম
মাসুম আহমদ
ইথার আখতারুজ্জামান
সাজনুস সাহীর
পাওয়া যাচ্ছে - লিটল ম্যাগ চত্বর
স্টল - ভনে ( ২৬ নং ষ্টল )
সিলেটের অভিজাত লাইব্রেরি বিশেষ করে "বই-পত্র" তে পাওয়া যাচ্ছ -
মূল্য - ৮০ টাকা
রোদের পৃথুলা পুত স্নান দেখতে চাইলে লিটল ম্যাগ চত্বর ভনের স্টলে হাতে নিতে পারেন সাইদুর রহমান চৌধুরীর করা নন্দন প্রচ্ছদের "দীঘির জলে রোদের স্নান" বইটি ।
প্রথম ফ্ল্যাপ
আ.শ.ম.এরশাদ
আন্তর্জালিক প্লটে কাব্য সাগরের বালি আহরণে নিয়োজিত ছিল অনেক শ্রমিক। কয়েকজন ছিল বেশ কাছাকাছির। রোদ পুড়া বালির নীচে উপমা খুড়তে গিয়ে এ-কথা সে-কথায় ঐক্যমত্যে তারা হাতে হাত রাখল । তারা হলেন কবির য়াহমদ,পদ্ম,মাসুম
আহমদ,ইথার আখতারুজ্জামান,সাজনুস সাহীর।
ওরা। হ্যাঁ মলাট চাই, মলাটের ভেতরে শুদ্ধতার গুচ্ছ চাই। একখানা বই চাই। নিরেট কবিতার বই। বালিশের নিচে রেখে নির্ঘুম রাত কাটানো যাবার মত একখানা বই চাই তাদের।
পঞ্চ যোগে
পঞ্চেন্দ্রিয়,পঞ্চভূত,পাঁচশালা। সে পঞ্চ নিয়েই পঞ্চ নতুন কবির যৌথ প্রয়াসেরই এক হৃদয় নিংড়ানো নির্মাণ "দীঘির জলে রোদের স্নান। " বইয়ের পরতে পরতে, কবিতার পঙক্তিতে পঙক্তিতে পঞ্চ কবি যেন শরতের নরম রোদ আর পুরা বইটি
যেন সচল দীঘি। আর সে দীঘিরই জল হতে চাইবে অগণন পাঠক। "দীঘির জলে রোদের স্নান"এ আরও আছে রোদের পৃথুলা পুত স্নান, জল রঙে আকা বিশুদ্ধ বাতাসের গান,সাদা ভাত বা শিউলি ফুলের গল্প, কিছু ক্ষ্যাপা তরুণের খুনসুটি বালক বেলা,জ্যোৎস্না ধোয়া রাতের ঘ্রাণ ।
শেষ ফ্ল্যাপ
পদ্ম
আমাদের জন্মের মতো আমাদের মৃত্যুগুলোও হয়ত কোথাও লিখা থাকবে না। প্রতিদিন ঘুমাতে যাওয়ার আগে দেখা শেষ দৃশ্যগুলোও বিলীন হয় নিঃশব্দ রাতে। কিন্তু এরই মাঝে কিছু অনুভূতি জেগে উঠে দ্রোহে, চৌচির হয় রুঢ় বাস্তবতায়,
আবার কখনো বা মেতে উঠে উল্লাসে সুখ সুশীতল প্রাপ্তির খাতায়। আমরা নিয়ে এসেছি তেমনি সব অনুভূতির গল্প, কাব্যকথায়। যা কখনো আমাদের সামনে থেকে দেখা আবার কখনো বা কল্প শক্তির ক্যানভাসে আঁকা, প্রশান্ত দীঘির জলে রৌদ্রজ্জ্বল
কবিতায়।
এই বইয়ের প্রতিটি পাতায়। আমাদের বিশুদ্ধ অনুভূতিগুলো ছাপার অক্ষরে জমাট হতে যারা সহযোগিতায় হাত বাড়িয়েছেন, কিংবা যারা একটিও কবিতা পড়েছেন, তাদের সবাইকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।
কৃতজ্ঞতা - কবি তমিজ উদ্দীন লোদী,কবি সুমিন শাওন,সাইদুর রহমান চৌধুরী,আ.শ.ম.এরশাদ ।
"দীঘির জলে রোদের স্নান" থেকে একটি কবিতা
সুনীলে'র বরুণা
পদ্ম
কোন এক ঝড়ো সন্ধ্যায় জড়িয়ে ধরে বরুনা বললো,
“নাও ধর, যেদিন আমাকে তুমি ভালবাসবে
সেদিন এই সাপটাও ফুল হয়ে আমার কথা কবে”
বরুণা বললো, বিশ্বাস কর, সাপটা একটুও কামড়াবে না,
সাপটা বড় হবে, ফণা তুলবে,
সাপে সাপে খেলা হবে,
কিন্তু কামড় দিবে না।
এক লক্ষ্মী পূর্ণিমার রাতে
পূজার প্রতিমার সামনে দাড়িয়ে মা বলেছিলেন,
“বাবা, বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহুদূর”
বরুনার ক্ষেত্রে আমি মায়ের কথাটা অক্ষরে অক্ষরে পালন করলাম।
আমি তর্কে যাইনি,
আমি বিশ্বাস করলাম,
বরুনার হাতে রাখলাম হাত,
যাত্রা শুরু করলাম সর্পিল পথে।
আমি হাটি, সাপ হাটে,
আমি ঘুমালেও সাপটা হাটে,
থেমে থাকেনি কখনো।
গতি ছিল তার, কখনো মন্থর, কখনো দূর্বার,
নিয়ে নিলো দখল যা ছিল আমার
অতুল অনন্ত অপার।
বর্ণীল আগ্রহে শুরু হল অনিমেষ ভালবাসার শ্লোগান
আজ সাপের গায়ে আমার গায়ের সুতীব্র গন্ধ।
বরুনা, সাপটা একেবারেই কামড়ায়নি…ঠিক যেমনটি তুমি বলেছিলে…।
অতঃপর, এক অমাবস্যা রাতে যখন ফুলের প্রত্যাশায়-
আমার এত দিনের বিশ্বাসের ফলন দেখার তাড়নায় উজ্জীবিত
ঠিক তখনি--দিয়েছে ছোবল
আমার এতদিনের পোষা কাল নাগিনী।
বরুনা, কোথায় সে ফুল? আজ কোথায় তুমি???
সাপের ছোবলে করলে নীলাভ আমার ভালবাসার পুণ্যভূমি !!!!
বরুনা? তবে তোমাকে ভালবাসা কি আমার হলো পাপ?
নয়তো ভালবাসা কেন ফুল না হয়ে রয়ে গেল বিষাক্ত কাল সাপ??
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।